শনিবার ● ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বনরুপা বাজারের মুল সড়কটির মধ্যে আবর্জনার স্তুপ
বনরুপা বাজারের মুল সড়কটির মধ্যে আবর্জনার স্তুপ
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৬: বাংলাদেশ সময় ১১.৫৭ মিঃ) রাঙামাটি শহরটি রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি ও বনরুপা মুলত এই তিনটি জনবহুল এলাকা নিয়ে গঠিত ৷ রাঙামাটির প্রাণকেন্দ্র বনরুপা বাজারে প্রতিদিন লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়৷
১২ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত হঠাত্ মুশলধারে বৃষ্টি হওয়াতে বনরুপা কাঁচা বাজার ও তার মূল সড়কটি হাটু পানিতে ডুবে যায়, এক ঘন্টা পরে পানি রাস্তা থেকে সরে গেলে বনরুপা বাজারের মূল সড়কটি কাঁদা পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়াতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে, রাস্তার মধ্যে ময়লা আবর্জনা স্তুপ জমা হয়ে থাকতে দেখা গেছে ৷ এসময় বনরুপা বাজারে বাজার করতে আসা স্থানীয় জনসাধারণ চরম ভোগান্তিতে পরে৷ স্থানীয় দোকানদারেরা জানান, রাঙামাটি পৌরসভাকে বারবার আবেদন নিবেদন করেও রাস্তার পাশে পঁয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেনি৷ একটু বৃষ্টি হলেই এপথে যাতায়াতকারী স্কুল কলেজের ছাত্র/ছাত্রী, দোকানমালিক, ব্যবসায়ী, পর্যটক ও বাজার করতে আসা হাজার হাজার লোকের পরতে হয় চরম ভোগান্তিতে ৷ আরেকজন দোকানদার আক্ষেপ করে বলেন, রাঙামাটি শহরে বসবাসরত প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা, গণমাধ্যম কর্মীরা ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা জনগণের ভোগান্তি, ব্যবসায়ীদের এ দুরবস্থা স্বচক্ষে দেখেও না দেখার ভান করে চলে যান৷ বনরুপা বাজার ঘুরে দেখা গেছে মাছ বাজার, মাংস বাজার ও শুটকির দোকানগুলো চলছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে৷ বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলার কোন ডাষ্টবিন বাজারের ভিতরে নাই৷ রাঙামাটি পৌরসভা রাঙামাটি চট্টগ্রাম মূল সড়কে চলাচলের রাস্তার পাশে এবং বন বিভাগের বিশ্রামাগার, রাঙামাটি প্রধান বন সংরক্ষকের কার্যালয়ের সামনে ট্রাফিক পুলিশের বক্সের পাশে একটি ডাষ্টবিন তৈরী করে রেখেছে ৷ এই এলাকাটি চলাচল করতে হয় নাকে রুমাল দিয়ে৷ উল্লেখ্য রাঙামাটি পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করে অধিকাংশ সময় দেখা যায় দিনের বেলায় এসব ডাষ্টবিন থেকে ময়লা আবর্জনা খোলা গাড়ীতে করে তাদের নির্দিষ্ট স্থানে অপসারন করতে ৷ প্রধান বন সংরক্ষকের কার্যালয়ের সামনে খোলা ডাষ্টবিন নির্মান করাতে প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ সামশুল আজম বলেন, এধরনের সরকারী অফিসের সামনে খোলা ডাষ্টবিন তৈরী করা পৌর কর্তৃপৰের মোটেও উচিত্ হয়নি, এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে, বেড়াতে আসা পর্যটকরা একবার এই পথ দিয়ে আসলে দ্বিতীয়বার আসতে চায়না, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক৷
এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে পৌর মেয়র মোঃ সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর মোবাইল ০১৮১৭৫৬৪১১৯ ও ০১৭১৫৮৯৩২৮২ নাম্বারে বারবার চেষ্টা করেও মেয়র মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি৷
রাঙামাটি শহর হচ্ছে মুলত পর্যটন নগরী, রাঙামাটি পৌরকতৃপক্ষ কর্তৃক অপরিকল্পিত ভাবে পরিবেশ ও জনস্বাস্থের ক্ষতি করে ডাষ্টবিন নির্মান করা পৌর কর্তৃপক্ষের হতকারীতা ও উদাসীন সিদ্ধান্ত বলে স্থানীয়রা ক্ষোভ জানিয়েছেন৷