সোমবার ● ২০ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » নদী গর্ভে বিলীন ৪টি হুমকির মুখে ২টি বিদ্যালয় : গাইবান্ধায় পানি এখনও বিপদসীমার উপরে
নদী গর্ভে বিলীন ৪টি হুমকির মুখে ২টি বিদ্যালয় : গাইবান্ধায় পানি এখনও বিপদসীমার উপরে
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি আজ সোমবার পর্যন্ত এখনও বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তি রয়েছে। পানি কমতে শুরু করায় বন্যা কবলিত জেলার গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে।
নদী ভাঙনে ফুলছড়ি উপজেলার চর কাবিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝানঝাইড় কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কালাসোনা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এজন্য বিদ্যালয়টি ৪টি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া হুমকির মুখে পড়েছে জিগাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চৌমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এদিকে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘরে এখনও হাটু থেকে কোমর পানি থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছে পানিবন্দী চরাঞ্চলের মানুষগুলো। দ্বিতীয় দফায় বন্যায় নদী ভাঙনে ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া হুমকির মুখে পড়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
বন্যার পানি দীর্ঘ স্থায়ী হওয়ায় ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ও ফজলুপুর ইউনিয়নের চরগুলোর পানিবন্দি মানুষেরা চরম দুর্ভোগে রয়েছে। ফলে মানুষরা গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপদসীমার ৭৪ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি ৫১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বেতন ও মূল্য পরিশোধের দাবিতে শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষীদের রেলপথ অবরোধ
গাইবান্ধা :: বকেয়া বেতন ও আখের মূল্য পরিশোধের দাবীতে চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জের রংপুর চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষীরা আজ সোমবার আধাঘন্টাব্যাপী মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। এ সময় মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনে পুলিশ, রেলপুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীসহ প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধ শতাধিক সদস্য আইন শৃংখলা রক্ষায় তৎপর ছিল। রেলপথ অবরোধ শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল মহিমাগঞ্জের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এসময় বক্তব্য রাখেন, রংপুর চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আবু সুফিয়ান সুজা, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল, সহ-সম্পাদক ফারুক হোসেন ফটু, রচিক সিডিএ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, আখচাষী নেতা জিন্নাত আলী প্রধান প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, দেশের সকল বিভাগের চাকুরীজীবীদের ঈদ বোনাস দেয়া হচ্ছে। অথচ এখানকার শ্রমিক-কর্মচারীরা চার মাস ধরে তাদের দেয়া শ্রমের মূল্যটাই দেয়া হচ্ছে না। মানবিক কারণে হলেও আসন্ন ঈদের আগেই ছয় মাস পূর্বে চিনিকলে সরবরাহ আখের মূল্য ও গত চার মাস ধরে বকেয়া থাকা অর্ধ সহস্রাধিক শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতনভাতা পরিশোধের দাবী জানান।