শনিবার ● ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » জাতীয় » বিশ্ব অলি ছৈয়দ চাঁদ শাহ (রহঃ) এর ১৮৭ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ উদযাপিত
বিশ্ব অলি ছৈয়দ চাঁদ শাহ (রহঃ) এর ১৮৭ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ উদযাপিত
অামির হামজা,রাউজান প্রতিনিধি :: বাংলাদেশে ইসলামের পবিত্র ঈমানী দায়িত্ব নিয়ে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে চট্রগ্রাম কদলপুর গ্রামে হযরত শাহসুফি আল্লামা ছৈয়দ চাঁদ শাহ (রহঃ) শেষ পর্যায়ে ইরাক থেকে তিনি রাউজান উপজেলার কদলপুর গ্রামে আসেন। তিনি প্রথমে পূর্ব রাউজান রাবার বাগানের গহীন জঙ্গলে এক টিলায় রেয়াজত সাধনা করতেন। সে সময় বিভিন্ন হিংস্র জন্তু-জানোয়ারেরা উনার কাছাকাছি থাকত। ঐ টিলা এখন হযরত চাঁদ শাহ টিলা অাস্তানা শরিফ নামে পরিচিত। পরবর্তীতে কোন এক সময় তিনি বর্তমান ভিটায় আগমন করেন। তাঁর বাড়িটি বর্তমানে হযরত চাঁদ শাহ (রহঃ) দীঘি নামে পরিচিত। হযরত চাঁদ শাহ (রহ.) একজন উঁচু স্তরের দরবেশ ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ছিলেন আল্লামা ও ইসলামের প্রচারক দরবেশ।দিন-ইসলাম ত্বরিকত এবং সর্বোপরি ধর্মীয় সার্বিক বিষয়ে জ্ঞানদানের ব্যাপারে তৎপর ছিলেন চাঁদ শাহ। বিশেষ করে সহি শুদ্ধভাবে কোরআন শরীফ তেলোয়াত, নামাজ, রোজাসহ আরো বিভিন্ন ব্যাপারে মানুষ ও এলাকাবাসীকে উৎসাহিত করতেন। সবচেয়ে আশ্চর্য ও অলৌকিক ব্যাপার হল এই মহান অলি নিজ হাতে লিখে পবিত্র কোরআন শরীফের বিভিন্ন কপি তৈরি করে বিভিন্ন মানুষের কাছে বিতরণ করতেন। যার কপি তাহার উত্তরসুরীদের কাছে এখনো যত্ন সহকারে সংরক্ষিত আছে। আল্লাহর এই প্রিয় বান্দার আধ্যাত্নিক প্রভাব শুধু মানুষদের মধ্যে ছিল না, জ্বীন, সাপ, হাতি, বাঘসহ অন্যদের উপরও তাঁর রূহানী প্রভাব বিরাজমান ছিল যা ওফাতের পরেও কার্যকরী। মাজার শরীফে হাতি, সাপ এসে সালাম, ভক্তি করত, বর্তমানে মুসলিম, হিন্দু, বড়ুয়াসহ সকল জাতীর অাগমনে মাজার শরীফ প্রাঙ্গন। আল্লাামা ছৈয়দ চাঁদ শাহ (রহঃ)-এর মাজার রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের মীরবাগিচা এলাকায় প্রধান সড়কের সন্নিকটে অবস্থিত। এবার এ মহান সাধকের ১৮৭তম বার্ষিক ওরশ উদযাপিত হচ্ছে। ধর্ম বর্ণ নিবিশেষে সকল মানুষের মনের অাশা মহান অলির দরবারে পুর্ণ হউক।