শনিবার ● ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » বিশ্বনাথে অনত্মঃসত্ত্বা নারীর লাশ উদ্ধার
বিশ্বনাথে অনত্মঃসত্ত্বা নারীর লাশ উদ্ধার
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (১৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৬: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩.৩২ মিঃ) সিলেটের বিশ্বনাথে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী হেপি বেগম (২২) এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ তিনি উপজেলার পূর্ব চানশিরকাপন গ্রামের বুলবুল আহমদের স্ত্রী৷ ১৩ ফেব্রুয়ারী শনিবার সকাল ৯টায় উপজেলার পূর্ব চানসির কাপন গ্রামের বুলবুলের বসতঘরের পূর্বে পাশে একটি গাছের সঙ্গে কাপড় দিয়ে পেছানো অবস্থায় ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়৷ খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে৷ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন৷
এদিকে, অন্তঃসত্ত্বা নারী হত্যা না আত্নহত্যা নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে৷ নিহতের পিত্রালয়ের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে৷ জানাগেছে, উপজেলার পূর্ব চানশির কাপন গ্রামের আলখাছ আলীর ছেলে বুলবুল আহমদের সঙ্গে উপজেলার আজিজনগর গ্রামের ওয়ারিছ আলীর মেয়ে হেপি বেগমের বিয়ে হয়৷ বর্তমানে হেপি বেগম ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা৷ বিয়ের পর থেকে তাদের সংসারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া চলে আসছিল৷ ইতিমধ্যে এলাকার কয়েকজন এনিয়ে শালিস বৈঠক করেছেন৷ কিন্তু শনিবার সকালে হেপি বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ খবর পেয়ে এলাকার শতশত মানুল ওই বাড়িতে তাকে একনজর দেখতে ভিড় করেন৷ নিহত নারী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে তার পিত্রালয় সূত্রে জানাযায়৷
এব্যাপারে নিহতের পিতা ওয়ারিছ আলী বলেন, মেয়ের বিয়ের পর থেকে তাকে যৌতুকের জন্য তার স্বামীর বাড়ির লোকজন চাপ সৃষ্টি করে আসছে৷ ১২ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সকালেও হেপি বেগমকে তার স্বামীর বাড়ির লোকজন মারধর করে৷ খবর পেয়ে মেয়ের স্বামীর বাড়ি আসি৷ পরে বিষয়টি স্থানীয় কয়েকজন অবহিত করে চলে যাই৷ কিন্তু শনিবার ভোর বেলায় জানতে পারি মেয়ে মারা গেছে৷ তবে সে আত্মহত্যা করেনি,তাকে হত্যা করে গাছের সঙ্গে তার মৃত দেহ রাখা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন৷
নিহতের স্বামীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি৷
স্থানীয় ইউপি সদস্য রহমত আলী বলেন, ভোর বেলায় বুলবুল আহমদ তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে জানায়৷ পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করি৷
থানার এস আই হাবিব বলেন, খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করি৷ তবে প্রাথমিক তদন্তে লাশের শরীরের কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি৷ লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসার পর বলা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা ৷