রবিবার ● ২৬ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » ১০ দফা দাবীতে হাফিজ জুট মিল শ্রমিকদের তিন দিনের আলটিমেটাম
১০ দফা দাবীতে হাফিজ জুট মিল শ্রমিকদের তিন দিনের আলটিমেটাম
সীতাকুন্ড প্রতিনিধি :: বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাসসহ ১০ দফা দাবীতে সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়াস্থ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল হাফিজ জুট মিল শ্রমিকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মানববন্ধন করেছেন।
শনিবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০ টা থেকে এক ঘন্টার মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে বিশাল একটি মিছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পদক্ষিণ করে। বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।
মানববন্ধনকে ঘিরে যেকোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে হাফিজ জুট মিলস এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
সীতাকুণ্ড মডেল থানা ও ইন্ড্রাস্টিরিয়াল পুলিশের বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত হয়।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড সার্কেল এএসপি শম্পা রানী সাহা, মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লাসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তরা বলেন, সরকার সারাদেশের ২৫ টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তার আগে স্রমিকদের সকল পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত দেওয়ার কোন খবর নেই। অন্যদিকে আর কয়েকদিন পর ঈদুল আযহা অথচ বেতন, বোনাসোর কোন খবর নেই।
একদিকে করোনা ভাইরাস অন্যদিকে হঠাৎ করে মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়ে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবতার জীবন ধারণ করছে।
এ অবস্থায় বিজেএমসি’র এমন আচরণে জুট মিলের কর্মরত অস্থায়ী, দৈনিক, বদলী শ্রমিকদের মধ্যে চরম হতাশা ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
দাবীগুলোর মধ্যে রয়েছে ২৫ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বদলী, অস্থায়ী, দৈনিক ভিক্তিক ও ক্যাজুয়েল শ্রমিকদের সাধারণ ছুটির মজুরী প্রদান।
মজুরী কমিশন ২০১৫ অনুযায়ী বদলী, অস্থায়ী,দৈনিক ভিক্তিক ও ক্যাজুয়েল শ্রমিকদের গ্রেড ভিক্তিক মূল মুজরী অনুযায়ী বোনাস প্রদান করা।
সকল বয়েয়া সপ্তাহের মজুরী ঈদের বন্ধের আগে প্রদান করা।স্থায়ী শ্রমিকদের ন্যায় বদলী, অস্থায়ী, দৈনিক ভিক্তিক ও ক্যাজুয়েল শ্রমিকদের বৈশাখী ভাতা প্রদান এবং মজুরী কমিশন ২০১৫ চালু হওয়ার পূর্বের প্রাপ্য বকেয়া মজুরী এরিয়ার প্রদান করা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পাটকল জাতীয় শ্রমিক লীগ নেতা ও হাফিসজুট সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলমসহ বিভিন্ন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা ঈদের আগে ঈদ বোনাস, বকেয়া বেতনসহ সকল পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার দাবী জানান। অন্যতায় কঠোর আন্দোলনের ঘোষণার দেওয়া হবে বলে জানান।