রবিবার ● ২৬ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » এ কেমন ডাকাত
এ কেমন ডাকাত
মিরসরাই প্রতিনিধি :: এ কেমন ডাকাত ! সিঁদেল চুরির ঘটনা অহরহ ঘটলেও এবার সিঁদেল ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে মিরসরাইয়ের এক বাড়িতে। ডাকাত দল বাড়ির নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ঘরের আঙিনায় প্রবেশ করে।
ডাকাত দলের এক সদস্য ঘরের দরজার নিচে সিঁদ কেটে ঘরে প্রবেশ করে ঘরের দরজা খুলে দিলে অন্য ডাকাতরা ঘরে প্রবেশ করে। ব্যাপক ভাঙচুর সহ লুট-পাট চালায় ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নারি-পুরুষ সহ দুইজনকে আহত করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
গত শুক্রবার ( ২৪ জুলাই) দীপ্রহর সাড়ে তিনটায় উপজেলার শফিউল্লাহ পাড়ার আমিনুল হকের বাড়িতে এই ব্যতিক্রমী সিঁদেল ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতির ঘটনায় আহতরা হলেন আমিনুলের পুত্র ফখরুল ইসলাম রাসেল (২৯) ও পুত্র বধু হাসিনা আক্তার ( ২৬)।
আহত রাসেল জানান, ঘুমের মধ্যে ছয় ডাকাত তাকে চেপে ধরলে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ডাকাতদের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলো পাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে, আরো ৫থেকে ৬ জন ডাকাত তার স্ত্রী হাসিনা ও
দুই মাসুম সন্তানদের হাত মুখ বেধে পেলে। স্ত্রী হাসিনার কানের দুল ছিনিয়ে নেয়ার সময় মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লাগে।
ফখরুল ইসলাম রাসেল আরো বলেন, ডাকাতরা সংখ্যায় প্রায় ১২ থেকে ১৪ হবে প্রত্যেকের হাতে ধারালো চুরি, কারিচ ও ধামা ছিল। ডাকাত দল ঘরের আলমিরা ও আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। নগদ ৬০ হাজার টাকা, দুই জোড়া কানের দুল, চারটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
এছাড়া ঘরের ব্যাহার্য জিনিসপত্র খুন্তি, কোদাল, মাছ মারার জাল এমনকি ফ্রীজের মাছ-মাংস ও নিয়ে যায়।
ডাকাতির ঘটনায় স্থানিয় চেয়ারম্যান ও মিরসরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন আমি ঘটনা স্থল পরিদর্শক করেছি। তারা সিঁদেল চুরির ষ্টাইলে ঘরে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
আরো দঃখের বিষয় হলো মাত্র একদিন আগেই আমি মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে স্থানিয়দের সাথে মাদক ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময় সভা করেছি।
আমি মিরসরাই আসার সাথে সাথে মাদক, চুরি-চিন্তাই, ডাকাতি ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছি। প্রচুর পরিমানে মাদক উদ্ধার সহ মাদকসেবি ও মাদক কারবারিদের গ্রেফতার করেছি।
হয়তো একটা অপশক্তি চায় না মিরসরাই মাদক, চুরি-চিন্তাই, ডাকাতি ও সন্ত্রাস মুক্ত হোক।
তাই হয়তো আমাকে ও আমার পুলিশ বাহিনীকে বেকায়দায় ফেলার জন্যই এই ডাকাতির ঘটনা।
তবে কাওকেই ছাড় দেয়া হবেনা পুলিশ যেভাবে এই থানায় মাদক, চুরি-চিন্তাই, ডাকাতি ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে তা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।