সোমবার ● ২৭ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » তদন্তকারি পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাদিকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ
তদন্তকারি পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাদিকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: গাইবান্ধা সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের অসহায় দরিদ্র অটোবাইক চালক বুলবুল সরকারের মেয়েকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের অশ্লীল ছবি ভিডিওতে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকিসহ নানা অপকর্মের দায়ে অভিযুক্ত মামলার আসামি ইয়াবা সেবনকারি তাজকিদুল ইসলাম জামিনে মুক্ত হয়ে ধর্ষিতা ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি, মামলা তুলে নেয়াসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। এর প্রতিকার দাবিতে আজ ২৬ জুলাই রবিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষিতার অসহায় মা হেলেনা বেগম ও ধর্ষিতার ভাই লিখিত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তার কাছে এই অন্যায়ের প্রতিকার ও তাকে পুনরায় গ্রেফতারসহ তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার এসআই মো. নুরুজ্জামান আসামি তাজদিকুলের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাদের কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় তাদেরকে অন্য মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এতে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মামলার বাদিকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, প্রতিবেশী হিরু মিয়ার পুত্র ইয়াবা সেবী ও মাদকাসক্ত তাজদিকুল ইসলাম তাদের বাড়িতে যাতায়াত করার সুবাদে তার মেয়ে ইলমা সিদ্দিকা (১৭) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে তাকে একাধিক দিন তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে। এছাড়া গত ২ মার্চ তাজদিকুল সকাল ১১টার সময় ইলমাকে গাইবান্ধা স্টেডিয়ামে নিয়ে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এই টাকা না দিলে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। এসময় বিষয়টি অবগত হয়ে ধর্ষিতা ইলমা সিদ্দিকার পিতা গত ৫ মার্চ সদর থানায় একটি মামলা (নং ১৮) দায়ের করে। এই মামলার আসামি তাজদিকুল ২৪ জুন জামিন পেয়ে মামলা তুলে নেয়াসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয় এবং মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। এতে বাধ্য হয়ে আত্মরক্ষাতে গত ২ আগস্ট গাইবান্ধা সদর থানায় একটি সাধারণ ডাইরী (নং ৮৪) করে। এতে আরও আসামি তাজদিকুল ইসলাম আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে নানাভাবে হয়রানী করতে থাকে। ফলে ওই পরিবারটি নিরুপায় হয়ে গত ৯ আগস্ট পুলিশ সুপার বরাবরে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলে সদর থানার ওসিকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। উপরন্ত তদন্তকারি পুলিশ কর্মকর্তা আসামি তাজকিদুলের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো তাদের কাছে টাকা দাবি করছে এবং নানাভাবে হয়রানিসহ হুমকি দিচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা কৃষকলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালন
গাইবান্ধা :: মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ কৃষকলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাইবান্ধা সদর উপজেলা কৃষকলীগ বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করেছে।
গতকাল রবিবার (২৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় সদর উপজেলার খোর্দ্দ মালিবাড়ী উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী আয়োজন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, গাইবান্ধা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি হাসান মাহমুদ সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার পাল, সভাপতি গাইবান্ধা সদর উপজেলার আবু আল ইমরান, আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের আহসান মিঠু, বিদ্যালয়ের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, তানজিমুল ইসলাম রিপনসহ সকল শিক্ষক ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ।