সোমবার ● ২৭ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ৫
স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ৫
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।
ঘটনা সুত্রে জানা গেছে, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের দশম শ্রেণির স্কৃল ছাত্রীকে নিয়ে তার প্রেমিক নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্য আজ সোমবার ২৭জুলাই রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে পালাবার পথে উপজেলার নাওভাংগা এলাকায় পৌঁছালে ঐ এলাকার নীল মাহমুদের পুত্র এনামুল হক(৩০), আজিম উদ্দিনের পুত্র রেজাউল(৩২), ভোলা মিয়ার পুত্র ধলু(২৫), এজদুর রহমানের পুত্র সুমন মিয়া(২৩) ও সাহারুল কাজীর পুত্র সাদ্দাম ওরফে সুজন কাজী(২৬) খপ্পরে পড়ে তাদের লালসার স্বীকার হয় বলে অভিযোগে জানানো হয়।
এসময় অভিযুক্ত ঐ পাঁচ ব্যক্তি প্রেমিকের কাছে থেকে তার প্রমিকাকে ছিনিয়ে নেয় এবং অভিযুক্ত আসামী ধলুর বাড়ীতে নিয়ে এক ঘরে বন্দী করে রাত ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর (প্রেমিক-প্রেমিকা) যুগলদ্বয় রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার সময় গোবিন্দগঞ্জ থানায় পৌঁছে বিষয়টি অবহিত করলে অভিযুক্ত সাদ্দামকে আটক করে এবং তার দেয়া তথ্য মতে বাকি ৪ ধর্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে থানায় মামলা রুজু ও ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা, জুডিশিয়াল জবানবন্দি ও আসামিদের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
গাইবান্ধায় ৩টি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত
গাইবান্ধা :: ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি এখন বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় গাইবান্ধা জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শনিবার রাতে বাঙালী নদীর বোচাদহ গ্রামে বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
ফলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ, রাখালবুরুজ ও কোচাশহর ইউনিয়নের বোচাদহ, বালুয়া, ছয়ঘরিয়া, শ্রীপতিপুর, কুমিড়াডাঙা, পুনতাইর, পাছপাড়া, গোপালপুর, জিরাই, সোনাইডাঙ্গা, হরিনাথপুর-বিশপুকুর, কাজিরচক, পচারিয়া, মাদারদহ, কাজিপাড়া, ফরিকরপাড়া, পানিয়াসহ ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসিনতায় দেরীতে কাজ শুরু করায় এ বাঁধটি ভেঙে গেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
অপরদিকে গাইবান্ধা জেলা শহর সংলগ্ন কুপতলা, খোলাহাটি, ঘাগোয়া, গিদারী ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকায় বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ফলে ওইসব ইউনিয়নগুলোর বসতবাড়ি এবং সড়কগুলোতে এখন হাটু পানিতে নিমজ্জিত। এছাড়া গাইবান্ধা পৌরসভার অনেক নিচু এলাকাগুলোতেও পানি উঠে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৩ হাজার ২৪৬ হেক্টর জমির আমন রোপা, পাট, আউশ ধান ও শাক সবজি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে উপদ্রুত এলাকার মানুষ চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সরকারি ত্রাণ তৎপরতার তুলনায় একেবারে কম হওয়ায় সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো নিদারণ কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি, গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্যাপুর ও সদরসহ ৬ উপজেলায় ৩৮টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। মোট ১ লাখ ৪৮ হাজার ১৩৮ ব্যক্তি এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৫৫০ মে. টন চাল এবং ৫ হাজার ৬৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি একই নেভেলে থেকে বিপদসীমার ৯১ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি এসময় ২ সে.মি. কমে বিপদসীমার ৭২ সে.মি. এবং করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার ১৬ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার ফুলছড়িতে বজ্রপাতে একইসাথে দু’ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো-ভাটিয়াপাড়া গ্রামের মৃত এনছাব আলীর পুত্র নুর মহাম্মদ (৪০) ও একই গ্রামের মৃত বাহার উদ্দিনের পুত্র লালচান মিয়া (১৮)।
আজ সোমবার ২৭জুলাই সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের ভাটিয়াপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে।
এব্যাপারে ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা জানান, নিহত দুই ব্যক্তি বাড়ি সংলগ্ন জলাশয়ে বৃষ্টির সময় পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছিল। এসময় হঠাৎ বজ্রপাত ঘটলে দু’জনই পানিতে ডুবে যায়। পরে গ্রামবাসিরা মৃত অবস্থায় জলাশয় থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে।