বৃহস্পতিবার ● ৩০ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ঈদ সামনে রেখে কমলগঞ্জে কামারদের ব্যস্ত দিন
ঈদ সামনে রেখে কমলগঞ্জে কামারদের ব্যস্ত দিন
এম এ কাদির চৌধুরী ফারহান, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: আর একদিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ মুহুর্তে জমে উঠছে দা-বঁটির বাজার। এ জন্য ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কামারদের কারিগররা। ঈদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে দা, চাকু, কুরালসহ লোহার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। দিনের পাশাপাশি গভীর রাতেও কামাররা লোহার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বছরের এ সময় চাহিদা বেশি থাকায় কামাররা ভালো উপার্জন করে থাকেন।
কমলগঞ্জের যেসব এলাকায় ব্যস্ততা বেশি সেগুলো হল-ভানুগাছ বাজার, শমশেরনগর, আদমপুর, মুন্সীবাজারসহ বিভিœ এলাকায়। কমলগঞ্জে ৪০/৪৫টি দোকান রয়েছে বিভিন্ন বাজারের কামারপট্টিতে। দোকানদারদের কেউ ভাড়াটিয়া, নিজ বাড়িতে বংশানুক্রমে এ পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। লোকসান ভেবেও এ পেশা তারা ছাড়ছেন না। তবে কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা মধু ঈদ সামনে রেখে এ ব্যবসা করে থাকেন। ঈদুল আজহার সময় কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় বিভিন্ন কামারপট্টিতে। ঈদ মৌসুমে কোরবানির জন্য কামারপট্টির কারিগরদের প্রচুর পরিমাণ দা, চাকু, বঁটি ও চাপাতি জোগান দিতে হয়।
বাজারের কামারপট্টির সজল চন্দ্র দাস ও সুখেশ দাস বলেন, বাব-দাদার আমল থেকে এ ব্যবসার সঙ্গে রয়েছি। কিন্তু আমরা অনেক কষ্ট করে সংসার চালাই। আমাদের দুঃখের কোনো সীমা নেই। তবে ঈদ মৌসুমে আমাদের মূল টার্গেট বছরের কয়েকটা দিন ভালো টাকা, ভালো উপার্জন করা। গত ঈদে কয়েক হাজার টাকা উপার্জন হলেও কারিগরদের বেতন দিয়ে খুব একটা থাকেনি। কোরবানিকে কেন্দ্র করে বেশি অর্ডার আসছে চাপাতি, দা, বঁটি, চুরি ও কুড়ালের। তারা বলেন, কাজের চাপ বেশি থাকলেও যন্ত্র তৈরি জ্বালানির দাম অনেক বেশি। তারা সারাদিন আগুনের সামনে বসে থেকে মাত্র দিন শেষে ৪/৫ শত টাকা পাওয়া যায়। এ টাকা দিয়ে তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। সরকার যদি তাদের সহযোগিতা না করে তারা একদিন এ পেশা ছেড়ে দেবেন।
কমলগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের ঈদ উপহার
কমলগঞ্জ :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌর এলাকার ৪২ টি মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের মধ্যে ঈদ উপহার দিয়েছে কমলগঞ্জ পৌরসভার। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) বেলা আড়াইটায় কমলগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে পৌরসভা কার্যালয়ে পৌর এলাকার ৪২টি মসজিদের ইমামদের নগদ ১ হাজার টাকা ও মোয়াজ্জিনদের নগদ ৫ শত টাকা করে অর্থ বিতরণ করা হয়।
কমলগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ রমুজ মিয়ার সভাপতিত্বে ও মো. সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব মুহাম্মদ বেলাল চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ পৌরসভার অফিস সহকারী ও অতিরিক্ত হিসাব রক্ষক মো. কয়ছর মিয়া, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিন, কমলগঞ্জ পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদের শারীরিক সুস্থতার জন্য দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
কমলগঞ্জে করোনা প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের মাস্ক বিতরণ
কমলগঞ্জ :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন ও বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেলে ভানুগাছ বাজারে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো: অধ্যাপক রফিকুর রহমান। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক, কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান।
জানা যায়, করোনা ভয়াবহ পরিস্থিতি কমলগঞ্জ উপজেলায় এ পর্যন্ত ভৈরবে করোনায় আক্রান্ত ৯৭ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬৪ জন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জীবন জীবিকায় অর্থনীতি সচল রাখতে ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছু খুলে দিয়েছেন। যার কারণে বাহিরে জনসমাগম অনেক বেশী। কিন্তু করোনা বিস্তার ঠেকাতে যারা এই করোনা আক্রান্তদের সেবা দিচ্ছেন তাদের মাধ্যমে বলা হয়েছে যেন মানুষ নিয়মিত মাস্ক পড়ে এবং সামাজিকভাবে অন্তত ৩ ফুট দুরত্ব বজায় রাখে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও কমলগঞ্জের মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এ সময় তিনি আরো বলেন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানাসহ তাদের মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করে যাদের মাস্ক না থাকবে তাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হবে। মানুষ যেন ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করে স্বাস্থ্য সচেতনতা মেনে চলাফেরা করে সে আহ্বান জানান তিনি।