বৃহস্পতিবার ● ৩০ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » জাতীয় » নিবন্ধনের জন্য ৫০টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের নাম চূড়ান্ত
নিবন্ধনের জন্য ৫০টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের নাম চূড়ান্ত
ঢাকা :: নিবন্ধনের জন্য প্রথম দফায় ৫০টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ব্যাপারে পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এ তালিকা আজ বৃহস্পতিবার ৩০ জুলাই রাতে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধনের জন্য প্রথম দফায় ৫০টি অনলাইন নিউজ পোর্টালের ব্যাপারে পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। আজ রাতে সেগুলোর তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করব। তারা নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে ঈদের পরে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে।
তিনি বলেন, ওয়েবসাইটে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠিত অনলাইনের নাম হয়তো দেখা যাবে না, কিন্তু তাদের ব্যাপারে রিপোর্ট নেগেটিভ নয়। এটি চলমান প্রক্রিয়া। তাদের ব্যাপারে আমরা এখনও রিপোর্ট পাইনি, সেজন্য নামগুলো হয়তো আজকে আপলোড হবে না। প্রতিষ্ঠিত অনলাইন গুলোর বিষয়ে রিপোর্ট এলে তারা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। এজন্য কারো নাম বাদ পড়লে হতাশ হওয়ার কারণ নেই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছিলাম, অনলাইনগুলোর রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে। রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার জন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সবগুলো অনলাইনের তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তারা অনেকগুলোর বিষয়ে রিপোর্ট দিয়েছে। আমরা বলেছিলাম ঈদের আগে অনলাইনগুলো রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে ঘোষণা দেব। এরই ধারাবাহিকতায় ৫০টি অনলাইনের নাম আজকে রাতে ওয়েবসাইটে আপলোড হবে।
তিনি বলেন, অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে যখন দেশ জিজিটাল হয়েছে, তখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মানুষ ব্যাপকভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন পত্রিকাগুলো পড়ে। কিন্তু প্রায়ই দেখতে পাই, কারো কারো (সবার ক্ষেত্রে নয়) সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ পরিবেশন করার যে প্রতিযোগিতা সেটি করতে গিয়ে অনেক সময় ভুল সংবাদ পরিবেশিত হয়। অনেক সময় অসত্য সংবাদ পরিবেশিত হয়। বিভিন্ন সময় কিছু অনলাইন পোর্টাল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত হয়। অনেকের চরিত্র হনন এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার কাজে লিপ্ত হয়।
তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই তদন্ত করা হয়েছে। যারা এগুলো করেছেন তাদের ব্যাপারে সেই ধরনের রিপোর্টই এসেছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই আমরা রেজিস্ট্রেশনের কাজ করছি।
এই অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে অনলাইনগুলো মানুষের হাতে হাতে সংবাদ পরিবেশন করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলেন মন্ত্রী। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শুধুমাত্র ডাটা খরচ করে কিম্বা ডাটা খরচ না করে যেখানে ওয়াইফাই আছে, সেখানে মানুষ সংবাদ পাচ্ছে। এটি একটি বড় ইতিবাচক দিক। এই ইতিবাচক দিকটা আমরা দেশ ও সমাজ গঠনে, সমাজের মনন তৈরিতে ও নতুন প্রজন্মকে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সঠিকভাবে তৈরি করার ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারি। সেই লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে।
সমস্ত অনলাইন পোর্টালগুলো সম্মিলিতভাবে দেশ গঠনের জন্য কাজ করবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা ইতিপূর্বে ভুল পথে হেঁটেছেন, তারা নিজেদেরকে সংশোধন করে নেবেন- এটিই আমাদের প্রত্যাশা, জাতির প্রত্যাশা।
বাছাইয়ের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করেনি জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিবেচনা, সুপারিশ কাজ করেনি।