সোমবার ● ৩ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » বিনোদন » একজন প্রতিভাবান তরুণ নির্মাতা ও অভিনয় শিল্পী মোশারফ ভূঁইয়া পলাশ
একজন প্রতিভাবান তরুণ নির্মাতা ও অভিনয় শিল্পী মোশারফ ভূঁইয়া পলাশ
শামসুল আরেফিন শাকিল :: আলোর পথের এক নিভৃত যাত্রী, এই সময়ের আলোচিত মুখ মোশারফ ভূঁইয়া পলাশ চট্টগ্রাম মিডিয়া ও মঞ্চে কাজ করে যাচ্ছেন দারুন সমানতালে, তিনি একজন দক্ষ তরুণ সংগঠক নির্মাতা ও নাট্যকর্মী। অনলাইন-অফলাইনের নানান সোশ্যাল মিডিয়ায় এ সময়ের প্রিয় আলোচিত মুখ মোশারফ ভূঁইয়া পলাশ চট্টগ্রাম পাহাড়তলী পশ্চিম ফিরোজশাহ কলোনীতে ১৯৮২ সালের ১৬ ডিসেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন, তার আদি নিবাস নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইপুর গ্রামে। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিক্টোরী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৯৭ সালে মাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়ে ভর্তি হন চট্টগ্রাম নাসিরাবাদ সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে। সেখান থেকে ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে এএমআইই হতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত। মোশারফ ভূঁইয়া পলাশ ও সাংস্কৃতিককর্মী তানজিনা লুনার দাম্পত্য জীবনে ছেলে মুহ্তাসিন ভূঁইয়া রাহা এবং মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া তাহা প্রতিনিয়ত ছড়ায় সুখের পরশ। স্কুলজীবন থেকেই তিনি থিয়েটারের সাথে জড়িত। ১৯৯৬ সালে মঞ্চমুকুট নাট্য সম্প্রদায় কর্তৃক মঞ্চায়িত ইকবাল হায়দার চৌধুরীর নির্দেশিত “ভালবাসা কারে কয়” নাটকে প্রথম মঞ্চ অভিনয় করেন। একই বছরে উক্ত নাট্যদল হতে মঞ্চায়িত কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ও সুরুচিত দাশ খোকন এর নির্দেশনায় “মানুষ” নাটকে মঞ্চ অভিনয় করেন। এরপর তিনি তীর্থংকর নাট্য গোষ্ঠী হতে মঞ্চায়িত আইয়ুব আলী এর নির্দেশনায় “ঘুনে ধরা সমাজ” এবং নাট্য সম্প্রদায় শেখড় হতে মঞ্চায়িত আহমেদ কবির রচিত ও মোস্তফা কামাল যাত্রা এর নির্দেশনায় “অবরোধ” নাটকে অভিনয় করেন যা দারুণ প্রশংসিত হয়েছে। ১৯৯৭ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর ‘বীজন নাট্য গোষ্ঠী’ নামে পাহাড়তলীতে তিনি একটি থিয়েটার গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই থিয়েটার গ্রুপের ‘দল প্রধান’ হিসেবে তিনি এখনো দক্ষতার সাথে দলের হাল ধরে আছেন। থিয়েটার গ্রুপ ‘বীজন নাট্য গোষ্ঠী’ তার নির্দেশনায় প্রথম পথনাটক ‘স্বাধীনতার পর’ মঞ্চস্থ করে। পরবর্তীতে তাঁর নির্দেশনায় অনেকগুলো পথনাটক দেশের বিভিন্ন স্থানে মঞ্চস্থ হয়। তারমধ্যে বিজয় ৭১, দীপক চৌধুরী রচিত ‘শিখা চিরন্তন’, আহমেদ কবির রচিত ‘সোলাইমান বাদশার প্রার্থনা’, হিমেল ইসহাক নির্দেশিত ‘জারীসারী’ এবং তাঁর রচিত ‘টোকাই’ উল্লেখযোগ্য। এরমধ্যে ‘শিখা চিরন্তন’ নাটকটি ৫১তম এবং সোলাইমান বাদশার প্রার্থনা ২৩তম মঞ্চস্থ হয়। এছাড়া মমতাজ উদ্দিন আহমেদ রচিত এবং আলমগীর কবির শুভ ও তাঁর নির্দেশনায় বীজন নাট্য গোষ্ঠী হতে প্রথম মঞ্চনাটক “হাস্য লাস্য ভাষ্য” মঞ্চায়িত হয়। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত শেখ শওকত ইকবাল চৌধুরীর রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত ‘বিবর্ণস্বপ্ন’ এবং আবু জাফর সিদ্দিকী প্রযোজিত ‘দিনরাত্রি’ নাটকে অভিনয় করেন। স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল বৈশাখী টেলিভিশনে কুয়াশা চৌধুরী প্রযোজিত ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ এবং চ্যানেল আইতে আতিকুর রহমান পরিচালিত ‘জনজীবন’ নাটকে অভিনয় করেন। মাহমুদ বাবু রচিত ও তাঁর পরিচালনায় নির্মিত খন্ডনাটক ‘আত্মগল্প’ অনল মিডিয়া ভিশন এর পরিবেশনায় বিজয় টিভিতে সম্প্রচারিত হয়। সম্প্রচারের অপেক্ষায় আছে তার অভিনীত খন্ডনাটক আবার কী হেরে গেলাম, তুমি কার, এমনি হয়, আত্মকথা, আশার আলো, এক রাতের অতিথি, সবই ভূল, অজানা, ফিরে দেখা এবং প্রতারণা। এছাড়াও সম্প্রতি দুইটি টেলিফিল্মে তিনি অভিনয় শেষ করেছেন এরমধ্যে থেকে আশরাফুল করিম সৌরভের পরিচালনায় চট্টগ্রাম থেকে নির্মিত টেলিফিল্ম অতঃপর দু’জন মোহনা টিভিতে সম্প্রচারের জন্য জমা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে কাজ করছেন বেশকিছু নাটক ও খন্ড নাটকে তারমধ্যে আড়ালে, একটি আহত ফুলের গল্প, নোয়াখাইল্লা জামাই এবং মিশু উল্লেখযোগ্য এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশন বিটিভি’র সচেতনতামূলক বেশকিছু নাটিকাতে তিনি নিয়মিত অভিনয় করছেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামের সদস্য সৃজনশীল এই নাট্যকর্মীর নাটকে হাতেখড়ি বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব আহমেদ কবির ও শেখ শওকত ইকবাল চৌধুরীর হাত ধরে। তিনি স্বপ্ন দেখেন, থিয়েটার তথা নাট্যচর্চা ও বিকাশের মধ্যে দিয়ে কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধকার সমাজে আলো ছড়াতে প্রগতির মুক্তবার্তা পৌঁছে দিতে অন্তর থেকে অন্তরে। পাহাড়তলী চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত সুস্থধারার প্রকাশনা ‘মাসিক চলমান পাহাড়তলী’র সম্পাদক ও প্রকাশক তিনি এবং জড়িত আছেন বিডিবাণী সোশ্যাল নেটওয়ার্কের সাথে। আমরা তাঁর উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি, সাফল্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। লেখকঃ অনলাইন এন্ড সোশ্যাল এক্টিভিস্ট। -শামসুল আরেফিন শাকিল আলোর পথের এক নিভৃত যাত্রী, এই সময়ের আলোচিত মুখ মোশারফ ভূঁইয়া পলাশ চট্টগ্রাম মিডিয়া ও মঞ্চে কাজ করে যাচ্ছেন দারুন সমানতালে, তিনি একজন দক্ষ তরুণ সংগঠক নির্মাতা ও নাট্যকর্মী। অনলাইন-অফলাইনের নানান সোশ্যাল মিডিয়ায় এ সময়ের প্রিয় আলোচিত মুখ মোশারফ ভূঁইয়া পলাশ চট্টগ্রাম পাহাড়তলী পশ্চিম ফিরোজশাহ কলোনীতে ১৯৮২ সালের ১৬ ডিসেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন, তার আদি নিবাস নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইপুর গ্রামে। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিক্টোরী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৯৭ সালে মাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়ে ভর্তি হন চট্টগ্রাম নাসিরাবাদ সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে। সেখান থেকে ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে এএমআইই হতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত। মোশারফ ভূঁইয়া পলাশ ও সাংস্কৃতিককর্মী তানজিনা লুনার দাম্পত্য জীবনে ছেলে মুহ্তাসিন ভূঁইয়া রাহা এবং মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া তাহা প্রতিনিয়ত ছড়ায় সুখের পরশ। স্কুলজীবন থেকেই তিনি থিয়েটারের সাথে জড়িত। ১৯৯৬ সালে মঞ্চমুকুট নাট্য সম্প্রদায় কর্তৃক মঞ্চায়িত ইকবাল হায়দার চৌধুরীর নির্দেশিত “ভালবাসা কারে কয়” নাটকে প্রথম মঞ্চ অভিনয় করেন। একই বছরে উক্ত নাট্যদল হতে মঞ্চায়িত কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ও সুরুচিত দাশ খোকন এর নির্দেশনায় “মানুষ” নাটকে মঞ্চ অভিনয় করেন। এরপর তিনি তীর্থংকর নাট্য গোষ্ঠী হতে মঞ্চায়িত আইয়ুব আলী এর নির্দেশনায় “ঘুনে ধরা সমাজ” এবং নাট্য সম্প্রদায় শেখড় হতে মঞ্চায়িত আহমেদ কবির রচিত ও মোস্তফা কামাল যাত্রা এর নির্দেশনায় “অবরোধ” নাটকে অভিনয় করেন যা দারুণ প্রশংসিত হয়েছে। ১৯৯৭ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর ‘বীজন নাট্য গোষ্ঠী’ নামে পাহাড়তলীতে তিনি একটি থিয়েটার গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই থিয়েটার গ্রুপের ‘দল প্রধান’ হিসেবে তিনি এখনো দক্ষতার সাথে দলের হাল ধরে আছেন। থিয়েটার গ্রুপ ‘বীজন নাট্য গোষ্ঠী’ তার নির্দেশনায় প্রথম পথনাটক ‘স্বাধীনতার পর’ মঞ্চস্থ করে। পরবর্তীতে তাঁর নির্দেশনায় অনেকগুলো পথনাটক দেশের বিভিন্ন স্থানে মঞ্চস্থ হয়। তারমধ্যে বিজয় ৭১, দীপক চৌধুরী রচিত ‘শিখা চিরন্তন’, আহমেদ কবির রচিত ‘সোলাইমান বাদশার প্রার্থনা’, হিমেল ইসহাক নির্দেশিত ‘জারীসারী’ এবং তাঁর রচিত ‘টোকাই’ উল্লেখযোগ্য। এরমধ্যে ‘শিখা চিরন্তন’ নাটকটি ৫১তম এবং সোলাইমান বাদশার প্রার্থনা ২৩তম মঞ্চস্থ হয়। এছাড়া মমতাজ উদ্দিন আহমেদ রচিত এবং আলমগীর কবির শুভ ও তাঁর নির্দেশনায় বীজন নাট্য গোষ্ঠী হতে প্রথম মঞ্চনাটক “হাস্য লাস্য ভাষ্য” মঞ্চায়িত হয়। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত শেখ শওকত ইকবাল চৌধুরীর রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত ‘বিবর্ণস্বপ্ন’ এবং আবু জাফর সিদ্দিকী প্রযোজিত ‘দিনরাত্রি’ নাটকে অভিনয় করেন। স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল বৈশাখী টেলিভিশনে কুয়াশা চৌধুরী প্রযোজিত ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ এবং চ্যানেল আইতে আতিকুর রহমান পরিচালিত ‘জনজীবন’ নাটকে অভিনয় করেন। মাহমুদ বাবু রচিত ও তাঁর পরিচালনায় নির্মিত খন্ডনাটক ‘আত্মগল্প’ অনল মিডিয়া ভিশন এর পরিবেশনায় বিজয় টিভিতে সম্প্রচারিত হয়। সম্প্রচারের অপেক্ষায় আছে তার অভিনীত খন্ডনাটক আবার কী হেরে গেলাম, তুমি কার, এমনি হয়, আত্মকথা, আশার আলো, এক রাতের অতিথি, সবই ভূল, অজানা, ফিরে দেখা এবং প্রতারণা। এছাড়াও সম্প্রতি দুইটি টেলিফিল্মে তিনি অভিনয় শেষ করেছেন এরমধ্যে থেকে আশরাফুল করিম সৌরভের পরিচালনায় চট্টগ্রাম থেকে নির্মিত টেলিফিল্ম অতঃপর দু’জন মোহনা টিভিতে সম্প্রচারের জন্য জমা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে কাজ করছেন বেশকিছু নাটক ও খন্ড নাটকে তারমধ্যে আড়ালে, একটি আহত ফুলের গল্প, নোয়াখাইল্লা জামাই এবং মিশু উল্লেখযোগ্য এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশন বিটিভি’র সচেতনতামূলক বেশকিছু নাটিকাতে তিনি নিয়মিত অভিনয় করছেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামের সদস্য সৃজনশীল এই নাট্যকর্মীর নাটকে হাতেখড়ি বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব আহমেদ কবির ও শেখ শওকত ইকবাল চৌধুরীর হাত ধরে। তিনি স্বপ্ন দেখেন, থিয়েটার তথা নাট্যচর্চা ও বিকাশের মধ্যে দিয়ে কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধকার সমাজে আলো ছড়াতে প্রগতির মুক্তবার্তা পৌঁছে দিতে অন্তর থেকে অন্তরে। পাহাড়তলী চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত সুস্থধারার প্রকাশনা ‘মাসিক চলমান পাহাড়তলী’র সম্পাদক ও প্রকাশক তিনি এবং জড়িত আছেন বিডিবাণী সোশ্যাল নেটওয়ার্কের সাথে। আমরা তাঁর উত্তোরত্তর সমৃদ্ধি, সাফল্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।