বৃহস্পতিবার ● ৬ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা » দেশে আইনের শাসন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড একসাথে চলতে পারে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
দেশে আইনের শাসন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড একসাথে চলতে পারে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
ঢাকা :: আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঈদ পরবর্তী কেন্দ্রীয় কমিটির অনলাইনে মিটিং এ গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয় সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া ‘এনকাউন্টার’ ‘ক্রসফায়ার’ বা বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের অবকাশ নেই। কারণ দীর্ঘদিন ধরে পুলিশসহ রাষ্ট্রের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ অলিখিতভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে একধরনের দায়মুক্তির সুবিধা ভোগ করছে। সে কারণে সরকারের শক্ত রাজনৈতিক সদিচ্ছা ব্যতিরেকে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের ব্যাপারে দেশবাসী গভীর সংশয়ে রয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয় আইনের শাসন আর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড একসাথে চলতে পারে না। প্রস্তাবে বলা হয় অধিকাংশ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের স্বার্থে দায়িত্বরত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের ব্যবসায়ীক লেনদেনের সম্পর্কের কথা জানা যায়, যা গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাসমূহের রিপোর্টেই বেরিয়ে আসে। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা হত্যা মামলার আসামী টেকনাফ থানার প্রত্যাহৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাসের বিরুদ্ধে এইরকম ব্যবসায়ীক স্বার্থে অনেকগুলো বিচারবহির্ভূত হত্যার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
অনলাইন মিটিং এর প্রস্তাবে টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত অব. সেনা কর্মকর্তা সিনহা রশিদ খানের হত্যার সাথে যুক্তদের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। একই সাথে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে এই পর্যন্ত সংঘটিত সকল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের দ্রুত ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত ও দোষীদের আইনানুগ শাস্তি প্রদানের আহ্বান জানানো হয়।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির এই ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, রাশিদা বেগম, সজীব সরকার, মাহমুদ হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন খোকন, এ্যাপোলো জামালী, ফিরোজ আহমেদ, স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, সাইফুল ইসলাম, নির্মল বড়ুয়া মিলন ও অরবিন্দু বেপারী প্রমুখ।
সভায় গৃহীত অপর এক প্রস্তাবে এবারও কোরবানির চামড়ার উপযুক্ত দাম না থাকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় এবং এজন্য সরকারের ভুলনীতি ও চামড়া সিণ্ডিকেটকে দায়ী করা হয়। প্রস্তাবে বলা হয় চামড়ার দাম নিয়ে এই নৈরাজ্যের কারণে চামড়া পাচার হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বলা হয় আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়াজাত পণ্যের বর্ধিত বাজার থাকার পরও যথাসময়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ না নিতে পারায় দেশ চামড়াজাত পণ্য রফতানীর সুযোগও হাতছাড়া করছে।
সভার শুরুতে গতকাল নেত্রকোনার হাওড়ে ট্রলার ডুবে ১৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু, বন্যা, সড়ক দুর্ঘটনা ও করোনা মহামারীতে এই সময়কালে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারসমূহকে সমবেদনা জানানো হয়।
সভায় নির্বাচন কমিশনে প্রদত্ত পার্টির বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব ও মহামারীর সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হয়।