রবিবার ● ৯ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » রাজশাহীর পুঠিয়ায় দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাপ : মাঠে নেমেছে দু’ডজন প্রার্থী
রাজশাহীর পুঠিয়ায় দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাপ : মাঠে নেমেছে দু’ডজন প্রার্থী
মাইনুল হাসান, রাজশাহী প্রতিনিধি :: রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার দ্বিতীয় বারের মত নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঝে। নির্বাচন অফিস বলছেন নতুন করে আইনি কোনো জটিলতা না থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকে এখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর নির্বাচন ঘিরে মেয়র পদপ্রার্থী হিসাবে মাঠে নেমেছেন দু’ডজন প্রার্থী। আর আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন ১৮ জন।
এদের মধ্যে বর্তমান মেয়র, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি, একাধিক ব্যবসায়ি, সাংবাদিকসহ দলের বিভিন্ন পদের নেতারা। ইতিমধ্যে ওই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলের হাই কমান্ডের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। আবার অনেকেই তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সমর্থন পেতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
জানা গেছে, পুঠিয়া পৌরসভা গঠনের ১৪ বছর পর আইনি জটিলতা কাটিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম বারের মত এখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর নানা প্রতিকুলতায় নাগরিকদের চাওয়া না পাওয়ার মধ্যে কেটে যাচ্ছে ৫ বছর। আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে এই পৌরসভার নির্বাচনের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে। এর মধ্যে যেকোনো সময় সারা দেশের সাথে এখানেও সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করবেন নির্বাচন কমিশন। সে মোতাবেক উপজেলা নির্বাচন অফিস পৌরসভা এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে নতুন পুরাতন মিলে প্রায় ১৫ হাজারের বেশী ভোটাদের নাম তালিকার কাজ প্রায় শেষ করেছেন।
উপজেলা আ’লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই পৌরসভাকে উপজেলার মধ্যে সকল নির্বাচনের চেয়ে বেশী গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এখানে মেয়র পদের জন্য একাধিক প্রার্থী দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রত্যাশা করছেন। তবে এবার দলীয় প্রার্থী যাচাই বাছাইয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে জনকল্যানমূলক কাজ করেন ও দলের ত্যাগী ব্যক্তিকেই মনোনয়নের জন্য সুপারিশ দেয়া বিষয়ে সিনিয়র নেতারা একমত প্রকাশ করছেন।
অপরদিকে মেয়র পদের জন্য বিএনপিতে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। তারা মৌখিক ভাবে নির্বাচনের অংশ নেয়ার মত প্রকাশ করলেও দলীয় সংকেত না প্ওায়া পর্যন্ত মাঠে নামবেন না বলে জানিয়েছেন। তাছাড়া অন্য দু’দলের মধ্যে চারজন প্রার্থীর নাম গুঞ্জন চলছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জয়নুল আবেদীন বলেন, চলতি বছরের শেষের দিকে পুঠিয়া পৌরসভা নির্বাচনের ৫ বছর পূণ হচ্ছে। এখানে নির্বাচনের জন্য এখনো কোনো চিঠি আমরা পাইনি। তবে আমাদের পক্ষ থেকে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি নেয়া আছে।
রাজশাহীতে পাটের আবাদ ৫৫ শতাংশ, পাট কাটা শেষ হয়েছে, দাম ভাল
রাজশাহী :: চলতি মৌসুমে পাট কাটা ও জাগ দেয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহীর চাষিরা।
এবার ভালো ফলনসহ খাল-বিলে পানি থাকায় পাট জাগ দিতে কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে না চাষিদের। এতে খুশি চাষিরা।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজশাহীতে শুধু তোষা জাতের পাটের আবাদ করা হয়। এ মৌসুমে ফলন ভালো হয়েছে। এরইমধ্যে ৫৫ শতাংশ পাট কাটা শেষ হয়েছে।
চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে ১৪ হাজার ৭৯৬ হেক্টর জামিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার হেক্টর বেশি।
রাজশাহীর পবা উপজেলার কয়েকজন পাটচাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গেলো কয়েক বছর পাটের ফলন ও দাম ভালো ছিলো।
তাই লাভের মুখ দেখতে এবছর অনেকেই আবাদের পরিমাণ বাড়িয়েছে।
পাট কাটার সময় আশানুরূপ বৃষ্টি হওয়ায় পাট জাগ দেয়ায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
উপজেলার মধুপুর এলাকার পাট চাষি এনামুল জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। সাধারণত এক বিঘায় ১২ থেকে ১৪ মণ করে পাটের ফলন হয়ে থাকে।
এক বিঘা পাট আবাদে শুরু থেকে পাট জাগ দেয়া ও ছড়ানো পর্যন্ত যে খরচ হবে পাট বিক্রি করে সেই খরচ উঠবে কী না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে।
তারপরে আবার সরকারি পাট কল বন্ধ ঘোষণা করেছে। যদি বেসরকারি পাটকলগুলো সিন্ডিকেট করে পাটের দাম কমায়, তাহলে আরো বেকায়দায় পড়তে হবে তাদের।
কৃষক উজ্জল জানান, তিনি ১ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। ফলন মোটামুটি হয়েছে। এবার পাট বাজারে ওঠার আগেই যে অবস্থা তাতে মনে হচ্ছে দাম পাবো। তবে সরকারি পটকল খোলা থাকলে হয়তো আরো ভালো পেতেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল হক জানান, রাজশাহীতে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। আবহওয়া ভালো থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে।
এবার বৃষ্টিপাতের কারণে পাটের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। বরং শেষ সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকদের উপকার হয়েছে। পাট জাগ দেয়া নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি।
এ বছর পাটের গুনগত মান ভালো হয়েছে। এছাড়া প্রতিমণ পাট ১৬শ থেকে ১৮শ টাকা দরে বেচাবিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।