সোমবার ● ১০ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধা শহরের ফোর লেন প্রকল্পের কাজ শুরু
গাইবান্ধা শহরের ফোর লেন প্রকল্পের কাজ শুরু
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: গাইবান্ধা জেলা শহরে ফোরলেন প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে জেলা শহরের ১নং রেলগেট থেকে পূর্বদিকের ডিবি রোড, কাচারী বাজার, পুরাতন জেলখানা ও পুরাতন বাজার এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার সড়কের দু’পাশের দোকানপাটসহ সকল অবকাঠামো অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে।
ইতোমধ্যে রাস্তার দু’পাশের পুরাতন বড় বড় গাছপালা কেটে অপসারণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি স্থানান্তরের কাজও পর্যায়ক্রমে অপসারণ করা হবে বলে জানা গেছে।
প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সংলগ্ন গাইবান্ধা-পলাশবাড়ি সড়ক থেকে ডিবি রোড, পুরাতন জেলখানার মোড় হয়ে পুরাতন বাজারের পূর্বদিকের গেট পর্যন্ত ফোর লেন প্রকল্পটির বাস্তবায়নের কাজ সম্পন্ন হবে।
এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় পূর্বদিকে বালাসীঘাট এবং পশ্চিমদিকে পলাশবাড়ি উপজেলা মোড় পর্যন্ত পুরাতন সড়কটি আরও সম্প্রসারিত হবে। এদিকে বাসটার্মিনালের পশ্চিম পাশ থেকে ডিভাইডারসহ ডিসি অফিস হয়ে পুলিশ সুপারের অফিস পর্যন্ত ফোরলেন প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং পলাশবাড়ি উপজেলা পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ করা হয়েছে।
জেলা সড়ক জনপদ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা শহরের ১৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ফোরলেন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে শুধু নির্দিষ্ট এলাকার সড়ক ৬৬ ফুট প্রশস্থ করে ফোরলেন করা হবে। এছাড়া সড়কের উভয় পাশে পথচারী চলাচলের জন্য ফুটপাত, সড়কের মাঝে ডিভাইডার ও তাতে সুন্দর নান্দনিক ফুলের বাগান এবং কাচারী বাজার মসজিদ সংলগ্ন মোড়ে একটি গোল চত্বর ও দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারাও গড়ে তোলা হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় জমি অধিগ্রহন এবং জমি সংলগ্ন অবকাঠামোর মূল্য পরিশোধ বাবদ ব্যয় হবে মোট ১১০ কোটি টাকা। ফলে জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং অধিগ্রহণকৃত জমি ও জমি সংলগ্ন অবকাঠামোর মূল্য পরিশোধ করার কাজও অব্যাহত রয়েছে।
গাইবান্ধায় অগ্নিকান্ডে ৫টি বসতবাড়ি ৮ লাখ টাকার মালামালসহ ভষ্মিভুত
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধা পৌরসভার ডেভিড কোম্পানীপাড়ার আগের বাড়িতে সোমবার সকাল ১০টায় এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সংগঠিত হয়। এতে ওই এলাকার কালা চান নামে এক ব্যক্তি ও তার পরিজনের ৫টি ঘর মালামালসহ ভস্মিভুত হয়। এতে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতিসাধিত হয়েছে।
জানা গেছে, রান্না করার সময় গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে এই অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয় এবং মুহুর্তেই তা পাশ্ববর্তী সবকটি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলেও গাড়ি যাওয়ার কোন রাস্তা না থাকায় পুলিশের সহযোগিতায় দুর থেকে পাইপযোগে পাশ্ববর্তী পুকুর থেকে পানি নিয়ে আগুন নেভানো হয়। এতে আগুন নিভাতে বিলম্ব হওয়ার কারণেই মূলত: ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশী হয়েছে বলে এলাকাবাসিদের সুত্রে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন ও পৌরসভার মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারটিকে জেলা প্রশাসক জরুরী ত্রাণ সহায়তা হিসেবে ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন এবং টিন প্রদানের আশ্বাস দেন। এছাড়া পৌরসভার মেয়র প্রতিটি পরিবারকে চাল, শাড়ী ও লুঙ্গি বিতরণ করেন।