শিরোনাম:
●   আত্রাইয়ে হলুদ বর্ণে সেজেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ ●   অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে কৃষি জমি ও ঘরবাড়ি ●   সচিবালয়ে আগুন ●   মহালছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেফতার ●   প্রফেসর কামাল উদ্দিন চৌধুরী কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসব ●   শাহরাস্তিতে আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত ●   পানছড়ি ৩ বিজিবি’র পক্ষ থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সাথে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় ●   ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তরুণের আত্মহত্যা ●   দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণের ডাক দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ ●   ভোটকেন্দ্রে শূন্যভোটের মাধ্যমে পার্বত্যবাসী ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে ●   ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা নানা সুরতে আবির্ভুত হওয়ার পাঁয়তারা করছে ●   কাউখালীতে উইভ এনজিওর অবহিতকরণ সভা ●   খাগড়াছড়িতে ইত্তেফাকের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   বেগম রোকেয়া এ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক সাব্বির ●   বারইয়ারহাট ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফারুক,সম্পাদক ইউসুফ ●   দীঘিনালায় গলায় ফাঁস দেয়া যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ●   ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা নিহত, ছেলে আহত ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা বোর্ড ২য় সভা অনুষ্ঠিত ●   রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ●   মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন ●   মানিকছড়িতে ট্রাকের নীচে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ●   আল ফালাহ ইসলামি একাডেমীর সবক প্রদান অনুষ্ঠান ●   ১১ দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে আলোচনা সভা ●   পার্বতীপুর রেলওয়ে ইর্য়াডের আম গাছে যুবকের আত্মহত্যা ●   রংধনু ক্লাবের কার্যকরী পরিষদ গঠিত ●   কাউখালী তাহেরিয়া রশিদা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভা ●   পাকুন্দিয়ায় ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত ●   বৈরী আবহাওয়ায় ও শীতের তীব্রতায় বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা ●   কোন হটকারিতায় গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবেনা ●   তরফভাইখাঁ সমাজকল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ
রাঙামাটি, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ১২ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » ঝিনাইদহে কৃষক বাজারে কৃষক কৃষক নেই
প্রথম পাতা » কৃষি » ঝিনাইদহে কৃষক বাজারে কৃষক কৃষক নেই
বুধবার ● ১২ আগস্ট ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঝিনাইদহে কৃষক বাজারে কৃষক কৃষক নেই

ছবি : সংবাদ সংক্রান্তঝিনাইদহ  প্রতিনিধি  :: নিরাপদ সবজি সরাসরি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে ও কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মুল্য নিশ্চিত করতে কৃষি বিপণণ অধিদপ্তর সারা দেশে ‘কৃষক বাজার’র চালু করে। এরই অংশ হিসেবে ঝিনাইদহ শহরের নতুন হাটখোলায় গত ২৮ জুলাই উদ্বোধন করা হয় কৃষক বাজার। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ বাজারের সার্বিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে জেলা কৃষি বিপণণ অধিদপ্তর। ওই দিন ফিতা কেটে বাজারের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। সেসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ কৃষক ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। তাদের দেওয়া তথ্য মতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষক প্রতি সোম ও মঙ্গলবার সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত তাদের জমিতে উৎপাদিত সবজি কৃষক বাজারে সরাসরি গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করবে। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকে আর একদিনও কৃষক বাজার চালু হয়নি। প্রতি সোম ও মঙ্গলবার বাজার হওয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্টদের দ্বায়িত্বে অবহেলার কারণে বাজারে কৃষক আসছেন না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। নতুন হাটখোলার বাজারর ঠিকাদার মোকাদ্দেস হোসেন বলেন, ওই দিন উদ্বোধনের পর আর একদিনও বাজার চালু হয়নি। বাজারে কোন কৃষক আসেনি বা বাজার চালুর বিষয়ে কোন কর্মকান্ড চোঁখে পড়েনি। এলাকার সচেতন মহল বলছেন, জেলা মার্কেটিং অফিসার গোলাম মারুফ খান এর দ্বায়িত্বে থাকলেও কার অবহেলার কারণে আলোর মুখ দেখেনি সরকারের মহতি এই উদ্যোগ। ভবিষ্যতে স্থানী অবকাঠানো নির্মাণ করেন কৃষক বাজার চালুর কথা ভাবছে সরকার। কিন্তু ঝিনাইদহে যেন উদ্বোধনেই শেষ হয়েছে বাজারের কার্যক্রম। এ ব্যাপারে জেলা মার্কেটিং অফিসার গোলাম মারুফ খান ঈদ আর ধান চাষের দোহায় দিয়ে বলেন, ঈদের কারণে বাজারে কৃষক আসায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। এছাড়াও কৃষক এখন চাষ চাষে ব্যস্ত রয়েছে। তাছাড়া সবজির উৎপাদন এখন কম তাই বাজারে কৃষক আসছে না। কয়েকদিনের মধ্যে চালু করা হবে।

ঝিনাইদহে সরকারি বরাদ্দকৃত কৃষকদের ঘরে খাবার হোটেল
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের কালুহাটিতে কৃষকদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত ঘর এখন খাবার হোটেলের জন্য ভাড়ায় দেওয়া হয়েছে। সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নে প্রান্তিক কৃষকদের কথা ভেবে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, কৃষি পন্য সংগ্রহ ও বাজারজাত করনের লক্ষে সরকারি ১ লক্ষ বাজেটে ঘর করে দিয়েছেন। সেই ঘর কৃষকদের কোনই কাজে আসছেনা। এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, ঘরটির রক্ষনাবেক্ষনের দ্বায়িত্ব থাকা প্রভাবশালী মুক্তার আলী নিজের ব্যাক্তিগত কাজে ঘরটি ব্যাবহার করে আসছিল। কিছু দিন হল ব্যাক্তিস্বার্থে অন্যের নিকট ঘরটি ভাড়ায় দিয়েছেন তিনি। ঘরটি এখন খাবার হোটেল হিসিবে ব্যাবহার করছেন একই এলাকার ঠান্ডু আলী নামে এক যুবক। সাংবাদিকেদের মাধ্যমে ঘরটি দ্রুত খালি করে দেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে, মুক্তার আলী ও একই এলাকার নুর আলী ঘটনার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, এই ঘর কৃষকদের জন্য বরাদ্দ করেছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস। ঠান্ডু গরিব তাই ঘরটি আমরা কিছুদিন হল খাবার হোটেল করতে দিয়েছি। তবে ভাড়ায় না। প্রয়োজনে ঘর খালি করে দেওয়া হবে।

ঝিনাইদহে করোনায় পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ২১
ঝিনাইদহ :: করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ পুলিশের আরও এক গর্বিত সদস্য এএসআই (সশস্ত্র) দলিল উদ্দিন বিশ্বাস (৫৮) করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে। সে যশোর জেলার কোতয়ালি থানার নওদা গ্রামের বাসিন্দা ও ঝিনাইদহ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার নতুন করে জেলায় আরও ২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে যানা যায়,করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি গত ২৫ জুলাই রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হন। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সোমবার দিবাগত রাতে করোনার সাথে যুদ্ধে হেরে গিয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশ পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মরদেহ মরহুমের গ্রামের বাড়ি পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়েছে। করোনায় বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্য এএসআই (সশস্ত্র) মোঃ দলিল উদ্দিন বিশ্বাসের মৃতুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান (পিপিএম)সহ পুলিশ সদস্যবৃন্দ। এদিকে

নতুন করে একদিনে আরও ২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় ১১৪৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম। তিনি জানান, সকালে কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে ৫৫ টি নমুনার রিপোর্টে নতুন ২১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে শৈলকুপায় ৫ জন, হরিণাকুন্ডুতে ৫ জন, কালীগঞ্জে ৭ জন, কোটচাঁদপুরে ২ জন ও মহেশপুরে ২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১৪৯ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়েছেন৭২০ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসে ২০ জন মৃত্যুবরণ করেছে। ঝিনাইদহের ৬ টি উপজেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১১৪৯ জন। এরমধ্যে ঝিনাইদহ সদরে ৫৩৭, শৈলকুপায় ১৩৫, হরিণাকুন্ডুতে ৫২, কালীগঞ্জে ৩০৪, কোটচাঁদপুরে ৭৭ ও মহেশপুরে ৪৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

স্বামীর বাড়িতে সন্তান নিয়ে ৫ দিন যাবৎ স্ত্রীর অনশন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা উত্তর নারায়ণপুর গ্রামে স্বামীর বাড়িতে ৯ বছরের এক কন্যা সন্তান নিয়ে ৫ দিন যাবৎ অনশন শুরু করেছে তার স্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার থেকে এই অনশন চালিয়ে যান তিনি। খোজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৯ সালে সদর উপজেলার ডাকবাংলা উত্তর নারায়ণপুর গ্রামের মৃত খাদিমুলের ছেলে মেহেদী হাসান বাবুর সাথে পাশ্ববর্তী ডাকবাংলা বাজারের মৃত এহেসানুল হক এর মেয়ে রোকসানা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তাদের ঘরে মেহেমিন মারিয়া নামের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। স্ত্রী রোকসানা অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালে আমরা সম্পর্ক করে বিবাহ করেছি। বিবাহের পর আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মেনে না নেওয়ায় আমার স্বামী আমাকে নিয়ে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস ও সংসার করে আসছিল। পরে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। এরই মাঝে গত কিছুদিন ধরে আমার স্বামী আমার সাথে কোন যোগাযোগ না করায় আমি আমার স্বামীর বাড়িতে আসি। আমাকে ওই বাড়িতে শ্বাশুড়ির নেতৃত্বে স্বামীর পরিবারের লোকজন আমার এবং আমার সন্তানকে আটকিয়ে রাখে। এ খবর পেয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে পৌছে আমাকে তাদের কাছে বুঝিয়ে রেখে আসে। এ ঘটনায় বুধবার এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিচার শালিসের দিন ধার্য করা হয়েছে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে। তবে এসকল নির্দেশ উপেক্ষা করে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার এবং সন্তানকে ফেলে রেখে বাড়ি থেকে সরে পড়েছে। বর্তমান আমি ওই বাড়িতে সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।

গভীর রাতে টিউবয়েলে পানি আনতে গেলে জোরপূর্বক গৃহবধৃকে ধর্ষণ চেষ্টা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিণাকু-ুতে এক গৃহবধুকে (২০) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধু বাদী হয়ে উপজেলার গাড়াবাড়িযা গ্রামের শমসের (২৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছনে। শমসের ওই গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছেন। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধু রাতে টিউবয়েলে পানি আনতে গেলে তাকে জাপটে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে লম্পট শমসের। এ সময় ওই গৃহবধুর চিৎকারে বাড়ির মহিলা ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সে পালিয়ে যায়। ওই গৃহবধু জানান, তার স্বামী ব্যবসায়িক কারণে প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারে যান। বাড়িতে ফিরতে তার প্রায়ই অনেক রাত হয়ে যায়। এ সুযোগে ওই লম্পট মাঝে মাঝেই তাকে বিরক্ত করে। সোমবার রাতে তিনি টিউবয়েলে পানি আনতে গেলে পূর্বে থেকে ওৎপেতে থাকা ওই লম্পট তাকে জাপটে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। পরে সে পালিয়ে যায়। হরিণাকুন্ডু থানার পরিদর্শক (ওসি) মোঃ আবদুর রহিম মোল্লা জানান, অভিযুক্ত যুবক প্রায়ই ওই গৃহবধুকে উত্ত্যক্ত করে। ঘটনার দিন রাতে সে টিউবয়েলে পানি আনতে গেলে তাকে জাপটে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই গৃহবধু মামলা করেছেন। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিন বছরের শিশু হত্যা মামলার বলি শিশুটির ভাবী রিমান্ডে
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে তিন বছরের শিশু জান্নাতুল হত্যা মামলায় বলি হওয়া শিশুটির ভাবী সালমা খাতুন (২৫)কে পুলিশ ২৪ ঘণ্টার রিমান্ড শেষে সোমবার দুপুরের পর আদালতে সোপর্দ করেছে। তবে পুলিশ এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার আলামত পাইনি। শিশুটির প্রকৃতহত্যাকারী কেসমত ফকির ওরফে দুলাল ফকির শিশু হত্যার সাথে শিশুটির ভাবী সালমা খাতুনের সমপৃক্ততার কথা স্বীকার করলে গত ৩০ জুলাই রাতে নিহত শিশুর ভাবী সালমা খাতুনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। খুন হওয়া শিশুটির পরিবার এ হত্যাকান্ডের সাথে তার পরিবারের সদস্যদের জড়িত করার পরিবারটি নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক সদস্য বলেছেন একজন একধিক খুনের আসামি নিজে বাঁচতে আমাদের পরিবারের সদস্যকে জড়িয়েছে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত না করে পরিবারের সদস্য সালমা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিছে। পরবর্তিতে তাকে রিমা-ে নেয়া হয়েছে। তার উপর অমানবিক নির্যাতনও করা হয়েছে। নিহত শিশুটির পিতা তোফাজে¦ল হোসেন টুকু বলেন আমার বৌমার গ্রেপ্তারকৃত সালমা’র ৫বছরের একটি শিশু কন্যা রয়েছে। শিশুটি তার মাকে না পেয়ে সারা দিন কান্না করছে। তার কান্না থামাতে কেউ পারছিনা।

উল্লেখ্য গত ১৭ মার্চ বিকালে কোটচাঁদপুর রেলষ্টেশন পাড়ার তোফাজ্জেল হোসেন টুকুর বাড়ীর ভাড়াটিয়া পুরানো কাপড় ব্যবসায়ী কেসমত আলী ওরফে দুলাল ফকির (৬০) নিজের ঘরে বাড়ী মালিক তোফাজে¦ল হোসেন টুকুর তিন বছর বয়সি শিশু কন্যা জান্নাতুলকে আদর করে ডেকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে ঘরের মধ্যে প্রায় মৃত ক্ষত বিক্ষত শিশুটিকে রেখে কেসমত আলী ওরফে দুলাল ফকির পালিয়ে যায়। পরে বাসার লোকজন জান্নাতুলের ক্ষত বিক্ষত দেহ পড়ে আছে দেখে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ ও এলাকাবাসী চেষ্টা চালিয়ে কেসমত আলী ওরফে দুলাল ফকিরকে ধরতে পারিনী। এ ঘটনার ৭ দিনের মাথায় ওই খুনি যশোহর অভয়নগর থানার ধোপাদী গ্রামে সাবেক মহিলা মেম্বার সোহাসিনী’র বাড়ীতে যায় এবং পানি খেতে চাই। এ সময় সোহাসিনী পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে কেসমত আলী ওরফে দুলাল ফকির দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যেতে গেলে গ্রাম বাসি তাকে ধরে গণ ধোলায় দিয়ে পুলিশে দেয়। পরে সাবেক মহিলা মেম্বর সোহাসিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনা জানতে পেরে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ সাত দিন আগে নিহত জান্নাতুলের চাচা গাফফার আলীকে নিয়ে অভয়নগর থানায় যান। পরে খুন হওয়া শিশুর চাচা হাসপাতালে ভর্তি কেসমত আলীকে তাদের মেয়ের হত্যাকারী বলে সনাক্ত করেন। বিষয়টি নিয়ে যশোহর অভয় নগর থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, এ থানার সোহাসিনীকে কুপিয়ে হত্যাসহ কোটচাঁদপুরে শিশু হত্যার কথা স্বীকার করেছিল। কেসমত আলী ওরফে দুলাল ফকির। কি কারণে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে হত্যাকারী কেসমত আলী ওরফে দুলাল ফকির বলে শিশুটির মা খায়রুন নাহার আমাকে গালাগালি করে ছিলো। এই ক্ষোভে প্রতিশোধ নিতে আমি তার শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে এসেছি। ওসি বলেন, সে এ দুটি হত্যা নিয়ে একক সময় একাক রকম কথা বলে। পেশাদার খুনি সে। তাছাড়া তার মাথারও সমস্যা কিছুটা আছে বলে আমার মনে হয়েছে। পরে কেসমত আলীকে আদালতের মাধ্যমে যশোহর সেণ্টার জেলে প্রেরণ করে অভয়নগর থানা। এদিকে কোটচাঁদপুরের শিশু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোটচাঁদপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলমের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঝিনাইদহ আদালত একাধিক হত্যাকারী কেসমত আলীকে যশোহর সেণ্টার জেল থেকে এনে ২৯ ও ৩০ জুলাই দুই দিনের রিমান্ডে দেন কোটচাঁদপুর থানাকে। প্রথম দিন জিজ্ঞাসাবাদে সে এলোমেলো কথা বলে। দ্বিতীয় দিনে কেসমত আলী বলে এ হত্যার জন্য শিশুটির ভাবী সালমা খাতুন (সৎ ভাবী) ২০ হাজার টাকা দিবে বলে ছিলো। সে জন্য তাকে খুন করে টাকা না নিয়েই পালিয়েছি। এই কথার ভিত্তিতে শিশুটি ভাবী সালমা খাতুনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। প্রেপ্তারকৃত সালমা খাতুন তার স্বামীর কাছে অভিযোগ করে জেল গেটে বলেছেন, ৩০ তারিখে গভীর রাতে তাকে থানা এনে অমানবিক অত্যাচারসহ নাকে মুখে পানি ঢালা হয়েছে। অথচ এ হত্যার বিষয় আমি কিছুই জানি না। ইউসুফ আলী এ প্রতিবেদকের কাছে বলেন গত ৯ আগস্ট ২৪ ঘণ্টার জন্য রিমান্ডে আনে আমার স্ত্রী সালমা খাতুনকে। আদালতের নির্দেশনা ছিলো আসামীর উপর কোন রকম নির্যাতন করা যাবে না। অথচ স্বীকার উক্তি আদায়ে থানাতে তাকে মারধর করাসহ বেটারী চালিত মেশিন দিয়ে সক দেয়া হয়েছে। তবুও এ হত্যার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা পাইনি পুলিশ। ইউসুফ আলী বলেন, আমার ৫ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে সারা দিন রাত মায়ের জন্য কান্না কাটি করছে। কোন কিছুতেই থামাতে পারছিনা। ইউসুফ আলীর সৎ মা খায়রুন নাহার (৪৫) তিনি বলেন আমার মেয়ে জান্নাতুল ক্ষুনের সাথে আমার বৌমা সালমা কোন ভাবেই জড়িত নয়। কেসমত আলি নিজের ঘরে একাই খুন করে পালিয়েছে। ওই বাড়ীর আরেক ভাড়াটিয় খুন হওয়া ঘরটির পাশের ঘরে থাকেন ভিক্ষুক রাশিদা বেগম (৫৫) এবং খুন হওয়া শিশুর চাচা গাফফার আলী অভিন্ন বক্তব্যে বলেন-কেসমত আলী আমাদের এই ছোট্ট মেয়েটিকে একাই খুন করে পালিয়ে গেছে। এই খুনের সাথে বৌমা সালমাকে জড়ানো ঠিক হয়নি। পুলিশের আগে তদন্ত করে দেখা উচিত ছিলো। একদিকে মেয়েটা হত্যা হলো এ নিয়ে যন্ত্রনায় আছি অপর দিকে বৌমার ৫ বছরের শিশু সন্তান রেখে জেলে রয়েছে। বিপদের উপর বিপদে পড়েছি। প্রতিবেশীদেরও এই একই কথা সালমা কোন ভাবেই এ খুনের সাথে জড়িত থাকতে পারেনা। তাদের ধারণা সুবিধা আদায়ে সালমাকে জড়ানো হয়েছে। এমামলার তদন্ত কর্মকর্তা কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল আলম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সালমা খাতুন কোন তথ্য দেয়নি। তাকে আবারো আদালতের মাধ্যমে সোমবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

অপার সৌন্দর্য্যে ঘেরা কালীগঞ্জের ‘বামনের’ বিল বর্ষায় যেন টাঙ্গাইলের হাওর
ঝিনাইদহ :: অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে আপনাকে আসতে হবে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের জামাল ইউনিয়নের নাটোয়াপাড়ায় বামনের বিলে। নাটোপাড়া কালীগঞ্জ উপজেলার পূর্বাঞ্চলের শেষ গ্রাম। এ গ্রামের অপর প্রান্তে রয়েছে মাগুরার শালিখা উপজেলার মশাখালী গ্রাম। এ বিলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে ফটকি ও বেগবতি নদীর মিলন। দুপুরের পর থেকে সব বয়সি মানুষ আসতে থাকে এখানে। বিলটির নাম বামনাইল হলেও ভ্রমণ পিপাসুরা এর নাম দিয়েছেন রাতার গুল বা টাওয়ার হাওর। বিলের অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য মানুষের ভিড় দিনদিন বাড়ছে। গত ৫ জুলাই সকালে কালীগঞ্জ আঞ্চলিক ভাষা গ্রুপের দুই সদস্য প্রথম এই বিল ঘুরে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করে। এরপর থেকেই সেখানে ভ্রমণ পিপাসুদের ভীড় বাড়তে থাকে। গ্রামের পথ ধরে প্রায় ৪৫ মিনিট পর নাটোপাড়া বাজারে পৌঁছাই। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো থাকায় দুর-দুরান্তে থেকে ছুটে আসছে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ। বিশেষ করে এবার ঈদ মৌসুমে মানুষের ঢল নামে বিলের পাড়ে খুব কাছাকাছি দুটি (ফটকি ও বেগবতি) নদী প্রবাহ থাকায় বৃষ্টির পানি জমে এখানে ভরা বষার্য় মৌসুমী প্লাাবন সংঘটিত হয়ে থাকে। ঢেউহীন এক পানির রাজ্য এ বামনাইল বিল। টলটলে জল-জঙ্গলে মাথা চাড়া দেয় শাপলা ও কচুরি ফুল। কোথাও কোথাও দেখা যাবে সাদা ধবধবে কাশফুল। সবুজের সমারোহে বুদ হয়ে পড়বে চোখ জোড়া। নীলচে পানিতে স্পষ্ট হওয়া সাদা মেঘের প্রতিবিম্ব দেখে যে কেউ মায়াবী জগতের ভাবনায় ডুবে যাবে। আষাড়,শ্রাবন ও ভাদ্র মাস বিলের চারপাশ থৈ থৈ করে পানিতে। পানিতে নিমজ্জিত বড় বড় গাছ। বিলের পাশের লোকজন এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি, এক পাড়া থেকে অন্য পাড়া ও বাজারে যাওয়ায় জন্য ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা ব্যবহার করে থাকে। বিলের মাঝখানে গিয়ে চার পাশটায় একবার চোখ বোলালে দেখবেন শুধু সবুজ আর সবুজ। স্বচ্ছ নীল জলের ওপর ছোট ছোট ঢেওয়ের খেলা। এমন বিশালতা দেখে আপনার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করবে, এটা বিল না হাওর। এত বিশালতা যার, সে হাওর না হয়ে পারে না। এ বিলের স্বচ্ছ জল কোথাও গভীর কোথাও অগভীর। কোথাও কোথাও পানির নিচে মাটি বা বৈচিত্র্যময় জলজ উদ্ভিদসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ স্পষ্ট দেখা যাবে। জলজ উদ্ভিদের মধ্যে কচুরিপানা আর কলমিই বেশি চোখে পড়বে। কোথাও কোথাও পাবেন কাশফুলও। বামনাইল বিলে বেড়ানোর উত্তম সময় বর্ষাকাল। বর্ষায় বামনাইল বিল বেড়াতে হলে যেতে হবে কালীগঞ্জ উপজেলার নাটোপাড়া বাজারে। নাটোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত সেতুর পাশ থেকে ট্রলার বা নৌকা নিয়ে বামনাইল বিলে প্রবেশ করতে হবে। দেশের যেকোনো স্থান থেকে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ শহরে পৌঁছে ইজিবাইক বা শ্যালো ইঞ্জিন চালিত যানবাহনে যেতে পারবেন নাটোপাড়া বাজারে। নাটোপাড়া বাজারের সেতুর পাশ থেকে পাবেন প্রয়োজণীয় ট্রলার বা নৌকা। দলবেঁধে গেলে একজন আগে গিয়ে সব ঠিকঠাক করে আসতে পারেন। ঘণ্টা চুক্তিতে নৌকা বা ট্রলার ভাড়া নিতে পারেন। বর্ষাকালে কখনো রোদ কখনো বৃষ্টি। তাই বামনাইল বিল ভ্রমণের সময় অবশ্যই ছাতা, রোদ টুপি সঙ্গে নেবেন। বিলের ভেতর কোথাও দোকানপাট নেই। তাই সঙ্গে অবশ্যই পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনা খাবার নিতে ভুলবেন না। অপচনশীল বর্জ্য যেমন পলিথিন ও প্লাস্টিকের বোতল বিলে ফেলে পরিবেশ ধ্বংসের অংশীদার হবেন না। ফেরার পথে বিলের পানিতে দেখলাম আগুনরঙা সূর্য। কয়েক মিনিটের মধ্যে যা ঢিমে আঁচের মতো করে তলিয়ে গেল অন্ধকারে। পূর্ণদৈর্ঘ্য একটি চলচ্চিত্রের মতোই যেন নাটকিয় সমাপ্তি হলো। বিলের সৌন্দর্য দেখে আমরা মুগ্ধ। বিলটি রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত। যাতে ভ্রমণ পিপাসুরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মতো জায়গা খুঁজে পায়। আগামী প্রজœময় প্রকৃতি প্রেমি করে গড়ে তুলতে পারে। নাটোপাড়া গ্রামের যুবক ও নৌকার মাঝি কুবাদ আলী জানান, নৌকায় আগে তেমন ভাড়া হতো না। জুলাই মাসের প্রথম থেকে দিন দিন ভাড়া বাড়তে থাকে। বর্তমানে এখানে তিনটি নৌকা আছে। যেভাবে মানুষ আসছে তাতে আরও নৌকা বাড়াতে হবে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)