রবিবার ● ১৬ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা » জননেতা খন্দকার আলী আব্বাস ছিলেন আপোষহীন : কাল নবম মৃত্যুবার্ষিকী
জননেতা খন্দকার আলী আব্বাস ছিলেন আপোষহীন : কাল নবম মৃত্যুবার্ষিকী
ঢাকা :: আগামীকাল ১৭ আগস্ট বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রাক্তন সভাপতি দেশের বাম প্রগতিশীল আন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা জননেতা খন্দকার আলী আব্বাসের নবম মৃত্যুবার্ষিকী। প্রয়াত জননেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আগামীকাল ঢাকার নবাবগঞ্জের কাশিমপুরে সকাল ১০.৩০ এ তার কবরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হবে। এরপর নবাবগঞ্জের লাল বারান্দা চত্ত্বরে আলী আব্বাসের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। পার্টির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সংগঠন আলী আব্বাসের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ এক বিবৃতিতে পার্টির প্রাক্তন সভাপতি জননেতা খন্দকার আলী আব্বাসের সংগ্রামী স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় তার নবম মৃত্যুবার্ষিকী পালনের জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সুবিধাবাদী ও লেজুড়বৃত্তির আদর্শহীন-নীতিহীন রাজনীতির বিরুদ্ধে খন্দকার আলী আব্বাস ছিলেন আপোষহীন। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি পুনর্গঠনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি বলেন, খন্দকার আলী আব্বাসের বিপ্লবী জীবন ও সংগ্রাম আগামীতেও পার্টিসহ বাম প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতাকর্মীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য ২০১১ সালের ১৭ আগস্ট ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা ডেল্টা ক্যান্সার হাসপাতালে ৬৬ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০০৫ থেকে ২০১১ তে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ডাকে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলায় আত্মনিয়োগ করেন। ঢাকার নবাবগঞ্জ, দোহার, কেরানীগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তিনি শক্তিশালী কৃষক আন্দোলন-সংগঠন গড়ে তোলেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি বিপ্লবী কৃষক সংহতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। তিনি দীর্ঘদিন সামবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে ছিলেন। একসময় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৯২ সালে তিনি পার্টির ঐক্যের ক্ষেত্রে তিনি সাম্যবাদী দলের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব প্রদান করেন।
স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আন্দোলন এবং দেশে সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রামেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।