বুধবার ● ১৯ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা » সমালোচক ও ভিন্নমতকে দমন করতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ব্যবহার করা হচ্ছে
সমালোচক ও ভিন্নমতকে দমন করতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ব্যবহার করা হচ্ছে
ঢাকা :: বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ এক বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মমিনুর রহমান বিশালকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অনতিবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন তিন মাস আগে ঠাকুরগাঁও চিনিকলে দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে ফেসবুকে স্টাটাস দেয়া ও সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের সমালোচনা করায় মমিনুর রহমান বিশালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেণ, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের পরিবর্তে সরকার এখন উল্টো পথে হাঁটছে এবং দুর্নীতি ও অন্যায়ের প্রতিবাদকারীদেরকে জেলে ভরছে। তিনি বলেন, সরকার একদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলছে আর অন্যদিকে নানাভাবে দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ছত্রছায়া থাকার কারণেই দুর্নীতিবাজরা আজ বেপরোয়া।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন সমালোচক ও ভিন্নমতকে দমন করার উদ্দেশ্যেই এমন নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনেক দুর্নীতিবাজদের রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের সমালোচনাকারীদের জেলে পোরা কোন সমাধান নয়। যেকোন যৌক্তিক সমালোচনাকে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। তিনি বলেন, করোনা দুর্যোগের গত ৬ মাসে কয়েকশত নাগরিককে হয়রানিমূলক এই মামলায় জেলে ঢোকানো হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাথে যুক্ত সাংবাদিক। এই আইনে দিনদিন সাংবাদিক নিপীড়নের ঘটনার বাড়ছে।
তিনি অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার ও জেলে অন্তরীণ কার্টুনিস্ট কিশোর, লেখক মোশতাক, এ্যাক্টিভিস্ট দিদার, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাকির ও সাংবাদিক কাজলসহ হয়রানিমূলকভাবে আটক সবরার মুক্তি দাবি করেন।
একই সাথে এই কালো আইন বাতিলেরও আহ্বান জানান।