বৃহস্পতিবার ● ২০ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বান্দরবানের দীর্ঘ ৫ মাস পর খুলছে হোটেল-মোটেল পর্যটন কেন্দ্র
বান্দরবানের দীর্ঘ ৫ মাস পর খুলছে হোটেল-মোটেল পর্যটন কেন্দ্র
মোহাম্মদ আব্দুর রহিম বান্দরবান প্রতিনিধি ::পাহাড়ে মহামারী করোনাভাইরাসের থাবায় দীর্ঘ ৫ মাস সকল পর্যটন কেন্দ্রসহ হোটেল-মোটেল বন্ধ থাকার পর শুক্রবার খোলার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত করোনা ভাইরাস মনিটরিং কমিটির এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দেশের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারসহ অন্যান্য কেন্দ্রগুলি খুলে দেওয়া হলোও বান্দরবনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় দীর্ঘ পাঁচ মাস হোটেল মোটেল ও পর্যটনকেন্দ্রসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাখা হয়। তবে আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সংক্রমণ অনেকটা কমে যাওয়ায় জেলা প্রশাসনের শর্ত সাপেক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সকল পর্যটনকেন্দ্রসহ হোটেল-মোটেল চালু করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। তবে বান্দরবান জেলায় পূর্বের মত সংক্রমণ বাড়লে পুনরায় লকডাউনে যেতে হবে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম।
এদিকে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ বলেন, প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা হোটেল-মোটেল চালু করার ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছি। বান্দরবানে পর্যটকদের বরণ করতে শুক্রবার থেকে সবকিছু আগের মত স্বাভাবিক ভাবে চালু রাখা হবে।
এ ব্যাপারে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম হোসেন জানিয়েছেন, পর্যটন শিল্প নির্ভর প্রতিটি সেক্টরের জন্য আলাদা আলাদা শর্ত আরোপ করে পর্যটন কেন্দ্রসহ হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সাথে শর্ত গুলো সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই মেনে চলতে হবে সেই সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসের শুরু থেকে ধাপে ধাপে বান্দরবানে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ২২ মার্চ থেকে পুরো বান্দরবান লকডাউন ঘোষণা করে তিন উপজেলাকে রেড জোন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসন। এ পর্যন্ত বান্দরবান পার্বত্য জেলার ৩০০ নং আসনের এমপি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর ও একজন জেলা পরিষদের সদস্যসহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে মোট ৬৩৯ জন। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে মোট ৪ জন।