সোমবার ● ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » নবীগঞ্জে স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যা
নবীগঞ্জে স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যা
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :: (১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৬: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.২২ মিঃ) নবীগঞ্জের পল্লীতে এক পাষান্ড স্বামী নিজের স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে৷ ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ ফেব্রুয়ারী রবিবার গভীর রাতে নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামে৷ সোমবার সকালে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেছে৷ পাষান্ড স্বামী শিপন মিয়া ও স্ত্রী শেলী বেগমের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াধী নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা৷ তাদের সংসারে হৃদয় নামের ৩ বছর বয়সের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে৷ ঘটনার পর থেকে পাোন্ড স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গুমগুমিয়া গ্রামের মৃত ইসরাইল মিয়ার ছেলে শিপন মিয়ার সাথে প্রায় ৪ বছর পূর্বে একই গ্রামের ছনর মিয়ার কন্যা শেলী বেগম (২৫)র বিয়ে হয়৷ বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কহল চলে আসছিল৷ বিয়ের এক বছর পর তাদের একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়৷ তাদের কহল নিয়ে একাধীকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সালিশ বসে৷ প্রায় ১ মাস পুর্বেও শেলী বেগম স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বাবার বাড়ী চলে যায় পরে স্থানীয় মুরুব্বিরা বিষয়টি সমাধান করে শেলী বেগমকে স্বামীর বাড়ি ফিরিয়ে দেন৷ রবিবার রাতে খাওয়া ধাওয়া শেষে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন শিপন ও শেলী বেগম৷ রাতে ঘুমানোর সময় বধূ শেলী বেগমকে পাষান্ড স্বামী শিপন ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে বলে দাবী করছেন শেলীর পরিবারের লোকজন৷ সকালে শিপন মিয়ার ঘরের কোন লোকজনের সারাশব্দ না ফেয়ে পতিবেশীরা গিয়ে দেখেন বিছানার মধ্যে গৃহবধূর রক্তমাখা নিথড় দেহ পরে আছে৷ স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) গৌর চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে এস আই চান মিয়া, এস আই প্রদ্যুত্ ঘোষ চৌধুরীসহ এক দল পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেন৷
শেলী বেগমের পিতা ছনর মিয়া কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, “আমার মেয়ে শেলী বেগমকে তার স্বামী সব সময়ই মারধর করতো৷ রাতে শিপন ও তার ভাইরা মিলে আমার মেয়েকে খুন করেছে৷” এই কথা বলে তিনি বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন৷
শেলী বেগমের মা সামছুন্নেহার বলেন, “আমার মেয়েরে তার স্বামীর বাড়ির লোকজন খুন করেছে, আমরা তার সঠিক বিচার চাই৷”
থানার ওসি (তদন্ত) গৌর চন্দ্র মজুমদার জানান, “৪ বছর পূর্বে তাদের বিয়ে হয়েছিল, বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে কহল ছলে আসছিল, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা যাচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যা”।
(নিহত শেলী বেগমের ক্ষত ও রক্তমাখা চেহারা পত্রিকায় প্রকাশের যথোপযুক্ত নয় তাই প্রকাশ করা গেল না:কর্তৃপক্ষ)