শনিবার ● ২২ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » পাবনা » পাবনার সুজানগরে বন্যাকবলিত গ্রামবাসীর চরম দুর্ভোগ
পাবনার সুজানগরে বন্যাকবলিত গ্রামবাসীর চরম দুর্ভোগ
মো. নূরুল ইসলাম, পাবনা জেলা প্রতিনিধি :: পাবনা সুজানগরের ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলের পার্শ্ববর্তী রানীনগর ইউনিয়নের বন্যাকবলিত বস্তাল গ্রামবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রত্যেক বছর বন্যার পানি ওই গ্রামে আসামাত্র গ্রামের সকল কাঁচা-পাকা রাস্তা-ঘাট পানির নীচে ডুবে যায়
এ সময় গ্রামের চারপাশ পানিতে থৈ থৈ করে। দৃশ্যত বর্ষা মৌসুমে মনে হয় গোটা বস্তাল গ্রাম পানির ওপর ভাসছে। রানীনগর ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুল আলম পিযুষ বলেন ৩/৪‘শ পরিবার নিয়ে গড়ে উঠা বস্তাল গ্রামটি গাজনার বিলের একদম নিকটে তথা অত্যন্ত নিচু ভূমিতে অবস্থিত। সেকারণে বর্ষার পানি আসলেই গ্রামের প্রতিটি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
এ সময় গ্রামের রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় গ্রামের প্রতিটি মানুষ নৌকায় যাতায়াত করে। অবশ্য বর্ষার পানির সাথে পাল্লা দিয়ে চলার জন্য ওই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে একাধিক নৌকা। গ্রামের ভুক্তভোগী বাসিন্দা ইউসুফ আলী বলেন বর্ষার মৌসুমে আমাদের স্থানীয় হাট-বাজারে যাওয়া থেকে শুরু করে দৈনন্দিন সকল কাজ নৌকাযোগেই সম্পন্ন করতে হয়। গ্রামের কমলমতি শিক্ষার্থীরাও নৌকাযোগে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। তবে নৌকাযোগে চলাফেরা করায় ঝুঁকিও রয়েছে। যেকোন সময় নৌকা ডুবে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি জানান।
একই গ্রামের ভুক্তভোগী বাসিন্দা আব্দুল আলীম বলেন বন্যার পানিতে তাদের গবাদিপশু নিয়ে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বন্যার কারণে গবাদিপশু বাড়ির বাইরে রাখা যায়না। সে কারণে রাত-দিন বসত ঘরের পাশে রেখেই লালন-পালন করতে হয়। এতে তাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাছাড়া বাড়ির চারপাশে বন্যার পানি থাকায় তাদের মধ্যে সাপ আতঙ্কও কাজ করে।
ইতিপূর্বে বর্ষা মৌসুমে বিষধর সাপের কামড়ে ওই গ্রামের একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলেও তিনি জানান। তবে এতো সব প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও গ্রামবাসী বাবা-দাদার ভিটা-মাটি ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে রাজি নয়।