রবিবার ● ২৩ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » নর্দমায় ভেসে যাওয়া টাকা কার
নর্দমায় ভেসে যাওয়া টাকা কার
মাইনুল হাসান, রাজশাহী প্রতিনিধি :: রাজশাহী নগরীর নর্দমায় (ড্রেন) ভেসে যাওয়া টাকাগুলো কাদের তার খোঁজ মেলেনি এখনো। তবে রাজশাহী সড়ক পরিবহণ গ্রুপ বলছে দুপুরের দিকে তারা রাজশাহী রেল স্টেশনের পূর্ব দিকে রেলওয়ে হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের পাশে গত ১০ দশ বছরের পুরনো কাগজপত্র রেখেছিলেন। সেখান থেকে তার পাশেই নর্দমায় কিছু কাগজপত্র পড়ে গেছে। সেই কাগজপত্রের মধ্যে টাকা থাকলে সেখান থেকে নর্দমায় পড়ে যেতে পারে।
এদিকে, টাকাগুলো কার তা জানতে পুলিশ তাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। লোকজনের বরাদ দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে এক থেকে দেড় লাখ টাকা নর্দমায় মিলেছে।
রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো বলেন, আমরা খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গেছি। ভাবতেই পারিনি পুরনো কাগজের ভেতর টাকা থাকতে পারে।
তিনি বলেন, কাগজগুলো ২০১০ সালের আগের। পচে গেছে। পোড়ানোর উপায় নেই। তাই নর্দমায় ফেলে দেয়া হয়। পরে নর্দমা থেকে টাকা পাওয়ার খবর শুনে আমরাও সেখানে যাই। তারপর ঘটনা দেখি।
তিনি বলেন, পুরোনো কাগজপত্রের ভেতর সব মিলিয়ে দুই-তিন হাজার টাকা থাকলেও থাকতে পারে। আমরা তা জানি না। কিন্তু খবর ছড়িয়েছে লাখ লাখ টাকা।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, দুপুর ১২ টার দিকে খবর পেয়ে সেখানে যাই। দেখি অনেক লোক নর্দমার পানিতে টাকা কুড়োচ্ছে। লোকজনের সাথে কথা বলে মনে হয়েছে লাখ খানেক টাকা তো হবে।
তিনি আরো জানান, এখনো আমরা জানি না টাকাগুলো আসলে কার। সড়ক পরিবহনের টাকা কি না তা-ও নিশ্চিত না। এইজন্য আমি নিজেই থানায় জিডি করে তদন্তটি অব্যাহত রেখেছি।
রাজশাহীতে শনিবার দুপুরে হঠাৎ করে সারা শহরে ছড়িয়ে পড়ে রাজশাহী রেল স্টেশনের পূর্ব দিকে রেলওয়ে হাসপাতালের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে অবস্থিত নদর্মায় টাকা মিলছে। মুহূর্তে শত শত উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে। অনেকেই নর্দমার ময়লা পানিতে নেমে টাকা পেতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ড্রেনে ১০০০, ৫০০, ১০০, ২০, ১০ এবং ৫ টাকার নোট পাওয়া গেছে। টাকা ভাসতে দেখে প্রথমে একজন এবং পরে অনেক মানুষ নেমে পড়েন ড্রেনে।
টুলু নামের এক ভাংড়ি বিক্রেতা তার কুড়ানো টাকাগুলো রেখেছিলেন পকেটেই। তবে কত টাকা তিনি পেয়েছেন তা বরতে রাজি হননি। তবে তিনি জানান, টাকাগুলো অফিসার্স মেসের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে চলে যাচ্ছিল। ড্রেনে ভাসতে দেখে তিনি নেমে পড়েন। আসলাম নামের আরেকজন জানান, তিনি এক হাজার ও ৫০০ টাকার নোট পেয়েছেন।