সোমবার ● ২৪ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় ব্রীজ ভেঙে সিমেন্টবাহী ট্রাক খাদে পড়ে নিহত-১
গাইবান্ধায় ব্রীজ ভেঙে সিমেন্টবাহী ট্রাক খাদে পড়ে নিহত-১
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার পূর্ব ছালুয়া এলাকায় সোমবার সকালে কালিরবাজার-বাদিয়াখালী সড়কে বেইলি ব্রিজ ভেঙে খাদে পড়ে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে পানিতে ডুবে চালক জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) ঘটনাস্থলেই নিহত ও হেলপার তরিকুল ইসলাম আহত হয়েছে। নিহত জাঙ্গাহীরের বাড়ি রাজবাড়ি জেলার সজলকান্দি গ্রামে এবং আহত তরিকুল ইসলাম নিহত জাহাঙ্গীরের ভাতিজা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ২৪ আগষ্ট সোমবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ৭শ’ বস্তা সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক ফুলছড়ির কালিরবাজারের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি পূর্বছালুয়ায় বেইলি ব্রিজটির উপর উঠলে হঠাৎ করেই ব্রিজটির পশ্চিম অংশ ভেঙে পড়ে এবং ট্রাকটি খাদে পড়ে উল্টে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহত ট্রাক হেলপারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু ট্রাক চালক ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ৬ঘন্টা চেষ্টার পর নিহত চালকের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
২৪ আগস্ট নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস ঘোষণার দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
গাইবান্ধা :: ২৪ আগস্টকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবিতে সোমবার বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় পৌর শহীদ মিনারে এক নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের জেলা সভাপতি সুভাসিনী দেবীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাসদ মার্কসবাদী গাইবান্ধা জেলা আহবায়ক কমরেড আহসানুল হাবীব সাঈদ, সংগঠনের জেলা সাধারণ স¤পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, রাহেলা সিদ্দিকা, লিজা উল্যা প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বক্তারা বলেন, ১৯৯৫ সালের এই দিনে দিনাজপুরের কিশোরী ইয়াসমিনকে একদল পুলিশ পৈশাচিকভাবে গণধর্ষণ করে হত্যা করে। প্রতিরোধ গড়ে ওঠে দিনাজপুরসহ সারাদেশে। আন্দোলন সংগ্রামে পুলিশের গুলিতে অনেকে শহীদী মৃত্যু বরণ করে এবং হত্যাকারীদের ফাঁসি হয়।
সেই শহীদদের স্মরণ ও সেই চেতনাকে ধারন করে সেদিন সম্মিলিত নারী সমাজ এই দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ হিসাবে ঘোষনার দাবি জানান। সেই দাবি আজও অপুরিত। বক্তারা অবিলম্বে এই দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণার আহবান জানান।
এছাড়া বক্তারা আরও বলেন, সারাদেশের ন্যায় এই সময় গাইবান্ধা জেলায়ও কয়েকটি নারী শিশু নির্যাতন-ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ধর্ষক বিত্তশালী ও ক্ষমতাবান হওয়ায় পার পেয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি অন্যতম ঘটনা হলো গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইউনুস আলী তার গৃহপরিচারিকা কিশোরীকে ধর্ষণ করে এবং তার বিরুদ্ধে থানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হলেও তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। অপরদিকে ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী লামিয়ারও ধর্ষণ কারীসহ অনেক নির্যাতককে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি ফলে বাড়ছে নির্যাতিতার সংখ্যা নেই কোন প্রশাসনিক তৎপরতা। যুক্ত হলো আর এক খুনের ঘটনা যদি সুষ্ঠু বিচার হতো তাহলে সেতুকে অকালে খুন হতে হত না। ফলে বক্তারা উদ্বেগ ও বিস্ময় প্রকাশ করে বলেনম প্রশাসনের এ ভুমিকার কারণে অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ সমাজে বিচার হীনতার কারণে খুন, ধর্ষন হচ্ছে। তাই অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে গিদারীর কলেজ ছাত্রী নববধু সেতুর হত্যাকারীসহ গাইবান্ধা জেলায় সংগঠিত নারী শিশু নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। সেইসাথে মাদক-জুয়া, অপসংস্কৃতি-অশ্লীলতা, পর্নোগ্রাফি, নারী-শিশু নির্যাতন-হত্যা ও মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।