মঙ্গলবার ● ২৫ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » মৌলভীবাজার » কমলগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের অনুদান দিলেন জেলা প্রশাসক
কমলগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের অনুদান দিলেন জেলা প্রশাসক
এম এ কাদির চৌধুরী ফারহান, কমলগঞ্জ :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের ঠাকুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করলেন মৌলভীবাজারের নবাগত জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। ২৫ আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একটি বসতবাড়ির মালিককে জনপ্রতিপ্রতি নগদ ১০ হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। এ সময় কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোসাদ্দেক আহমেদ মানিক, পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমদ, কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান, উপজেলা বিআরডিবি সাবেক চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল, মুন্সীবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালিব তরফদারম ঠাকুরবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট সোমবার সকাল ৬টায় কমলগঞ্জের ঠাকুরবাজারে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭টি দোকান ও একটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এর গাফিলাতির জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চা শ্রমিক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু
কমলগঞ্জ :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর চা বাগানে গলায় ফাঁস দিয়ে এক চা শ্রমিক গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, গত সোমবার (২৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার মাধবপুর চা বাগানের ৩ নং লাইনের চা শ্রমিক রাধেশ্যাম রবিদাস এর স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী সাবিত্রী রবিদাস (৫২) নিজ বাড়ীর রান্নাঘরের তীরের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরিবারেরর লোকজন তার মৃত্যু রহস্য গোপন করার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী কমলগঞ্জ থানাকে বিষয়টি জানায়। পরে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে কমলগঞ্জ থানার এসআই কাসেম আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে পরিবারের লোকজন মৃত্যুর ঘটনা গোপন করার চেষ্টা করে। রাত পৌনে ১২ টার দিকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) সার্কেল আশরাফুজ্জামান, কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান, ওসি (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় পুলিশী জেরায় এক পর্যায়ে মুখ খুলে চা শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা। পরে রাত সাড়ে ১২ টায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গৃহবধুর স্বামী রাধেশ্যাম রবিদাস বলেন, আমি সদাই আনতে দোকানে গিয়েছিলাম। বাড়িতে ফিরে এসে রান্নাঘরের আমার স্ত্রীকে তীরের মাঝে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে আমি ও আমার ছেলে দা দিয়ে রশি কেটে নিচে নামাই। ভয়ে প্রথমে আমরা মৃত্যুর ঘটনা কাউকে বলিনি।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ মঙ্গলবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্বহত্যা।