বুধবার ● ২৬ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » নির্দেশ অগ্রাহ্য করে মহেশপুরে বন্ধ ঘোষিত ৩ ক্লিনিক চলমান
নির্দেশ অগ্রাহ্য করে মহেশপুরে বন্ধ ঘোষিত ৩ ক্লিনিক চলমান
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: সিজারিয়ান অপারেশনের পর প্রসুতি মৃত্যুর দায়ে বন্ধ মহেশপুরের তিনটি ক্লিনিক চলছেই। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনের নির্দেশ অমান্য করে ক্লিনিক মালিকরা আগের মতোই অপারেশনসহ নানা কার্যক্রম অব্যাহত রখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ২৬ আগষ্ট মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে ক্লিনিক চালু রাখার সত্যতা মিলেছে। ক্লিনিক মালিকরা বলছেন, তারা সিভিল সার্জনের চিঠি পাননি। ফলে অসহায় রোগীদের চিকিৎসার জন্য ক্লিনিক চালু রাখতে হচ্ছে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম মঙ্গলবার দুপুরে জানান, প্রসুতি মৃত্যু ও অনিয়মের করণে আমি কালীগঞ্জের দুইটি, মহেশপুরের ৩টি ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার একটিসহ মোট ৬টি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছি। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, গত সপ্তায় হরিণাকুন্ডু শহরের আসমত আলীর মালিকানাধীন ভাই ভাই ক্লিনিক, মহেশপুরের নেপার মোড়ে অবস্থিত মোহন লালের মালিকানাধীন একতা ক্লিনিক, একই বাজারের নাজমুল হাসান মনুর মালিকানাধীন মা ও শিশু ক্লিনিক, মহেশপুর শহরের সুবাশ চন্দ্র দাসের মহেশপুর প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারের পর যথাক্রমে রোজিনা খাতুন, লাবানী আক্তার, মরিয়ম খাতুন ও রিনা খাতুন নামে তিন প্রসুতির মৃত্যু ঘটে। মহেশপুরের তিন ক্লিনিকে অপারেশন করেন বাগেরহাট শহরের পিসি কলেজ রোডের বাসিন্দা আকতার হোসেনের ছেলে ডাঃ সোহলে রানা। তিনি এখনো ওই সব ক্লিনিকে গোপনে গোপনে সিজার করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে হরিণাকুন্ডু উপজেলা শহরের ভাই ভাই ক্লিনিকটি প্রসুতি মৃত্যুর পর থেকেই বন্ধ রয়েছে। সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম আরো জানান, চার প্রসুতি মৃত্যুর পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তাছাড়া তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্লিনিকগুলো বন্ধ রাখার জন্য গত ২০ আগষ্ট সিএসঝি/১৬২৫ নাং স্মারকে চিঠি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, কথিত চিকিৎসক ডাঃ সোহেল রানাকে তার ডাক্তারী সনদ নিয়ে তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তিনি হাজির না হয়ে সত্যায়িত ছাড়াই কাগজপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। এটাসটেড ব্যতিত কাগজ আমি গ্রহন করিনি। সিভিল সার্জন বলেন, বন্ধ রাখার জন্য চিঠি দেওয়ার পরও যদি ক্লিনিক চলে সেটা আমি খতিয়ে দেখবো। মহেশপুরের নেপার মোড়ে অবস্থিত একতা ক্লিনিকের মালিক মোহন লাল জানান, সিভিল সার্জন দপ্তরের কোন চিঠি আমি পায়নি। তাছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আনজুমান আরা বেগম ক্লিনিক বন্ধের বিষয়ে কিছুই বলেনি। তাই অসহায় রোগীদের স্বার্থে ক্লিনিক চালু রেখেছি। এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাশ্বত শীল জানান, তিন ক্লিনিকে রোগী মারা গেছে এবং এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে এটা আমি জানি। তবে ক্লিনিক তিনটি বন্ধের ব্যাপারে আমাকে কিছুই বলা হয়নি। চিঠি পেলে আমি ব্যবস্থা গ্রহন করবো। মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আনজুমান আরা বেগমের কাছে এ বিষয়ে ফোন করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
শৈলকুপায় করোনায় ব্যবসায়ীর মৃত্যু
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে তাপস কুমার সাহা (৫৫) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। ২৬ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে তিনি রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাপস পৌর এলাকার কবিরপুরের মৃত হারান চন্দ্র সাহার ছেলে। তিনি শৈলকুপা বাজারের জনি হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট এবং জনি কসমেটিক্স এর মালিক ছিলেন। এই নিয়ে ঝিনাইদহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৩ জনের মৃত্যু হলো। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ২০ আগস্ট তারিখে তাপস সাহা করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দেন। এরপর তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। মঙ্গলবার তার করোনা টেস্টের ফলাফল পজিটিভ আসে এবং একই দিন সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
স্বামী ঢাকায় বাড়িতে স্ত্রীর চুটিয়ে প্রেম : সেই স্ত্রীকে তালাক দিল স্বামী
ঝিনাইদহ :: স্বামী ঢাকায় থাকার সুবাদে স্ত্রী জেসমিন চুটিয়ে প্রেম ও দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে প্রতিবেশি যুবক আকুল মন্ডলের সাথে। অবশেষে ভাতিজার হাতে ধরা পড়ে তালাক প্রাপ্ত হতে হয়েছে জেসমিনকে। আর প্রেমিক আকুল মন্ডলের ঠাই হয়েছে শ্রীঘরে। লম্পট আকুল চাঁদপুর গ্রামের শহিদুল মন্ডলের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে। এই গ্রামের বাদশা মিয়া চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকতেন। দুই সন্তানের জননী স্ত্রী জেসমিন আক্তার একই গ্রামের আকুল মন্ডলের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এর আগে ধরা পড়লেও সন্তানদের কথা ভেবে বাদশা মিয়া স্ত্রীকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। সোমবার (২৩ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে প্রেমিক আকুল মন্ডল জেসমিনের ঘরে প্রবেশ করে। বাদশার ভাতিজা সাজেদুল ইসলাম বাড়ির কাছেই বসে ফেসবুক চালাচ্ছিল। লম্পট আকুলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখে অন্যান্য যুবকদের সঙ্গে নিয়ে তাকে ধরতে চাচার বাড়িতে প্রবেশ করে। টের পেয়ে আকুলকে গোয়াল ঘরের মধ্যে একটি বস্তায় ঢুকিয়ে দেয় জেসমিন। সেখান থেকেই আকুলকে পাকড়াও করে মারধর করে হরিণাকুন্ডু পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। খবর পেয়ে রাতেই ঢাকা থেকে বাড়ির পথে রওনা দেন বাদশা মিয়া। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি ফিরে দুই সন্তানের জননী স্ত্রী জেসমিনকে তালাক দিয়ে পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। জেসমিন সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের প্রতাবপুর গ্রামের আবু বকরের মেয়ে। এ ঘটনা নিয়ে চাঁদপুর গ্রাম জুড়ে ছি ছি রব পড়ে গেছে। মানুষের মাঝেও দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য। চাঁদপুর গ্রামের মোঃ জলিল সেখে’র ছেলে বাদশা মিয়ে মঙ্গলবার বিকালে জানান, ১০/১৫ বছর হলো চাকরির সুবাদে তিনি ঢাকা থাকেন। প্রতি দুই মাস পর পর আমি বাড়িতে আসি। করোনার কারনে একটু কম আসি। তিনি বলেন, অতি কষ্টের মধ্যে থেকেও সংসারে কোন অভাব আমি বুঝতে দেইনি। স্ত্রীকে বলেছিলাম আর কয়েকটা দিন কষ্ট করে থাক কিছু টাকা জোগাড় করে বাড়িতে এসে একটি ইজিবাইক কিনে চালাবো। ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আমি ওর সাথে সংসারটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু যখন পরিবর্তন হলইনা তখন তাকে ডিভোর্স দেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিলনা। চাঁদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাদের দুটি সন্তানের কথা বিবেচনা করে সংসার টেকানোর জন্য বলি। কিন্তু সম্ভব হয়নি। আমার আসার আগেই কাজী ডেকে স্ত্রী জেসমিনকে ডিভোর্স দিয়েছেন বাদশা। এদিকে বাদশার শশুর বাক্কা মিয়া বলেন, তার মেয়েকে জোর পূর্বক ডিভোর্স দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে চরপাড়া ক্যাম্পের আইসি আমিরুল ইসলাম বলেন, আকুল মন্ডল নামে একজনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুধ্যে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি।
ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় কোনো ক্লিনিকেরই নেই লাইসেন্স নবায়ন
ঝিনাইদহ :: ‘ভোরে স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। এরপর স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করি। সকালে একজন ডাক্তার এসে অপারেশন করেন। সিজারের পর পরই মারা যায় আমার স্ত্রী লাবনী। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে আমার স্ত্রী লাবনীর মৃতদেহ জীবিত দেখিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।’ এভাবেই ঘটনার বর্ণনা করছিলেন মারা যাওয়া গৃহবধু লাবনীর স্বামী নাঈম হোসেন। তাদের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়নের সেজিয়া গ্রামে। গত ৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার নেপার মোড়ে ‘একতা ক্লিনিকে’ অপারেশন করার পর মারা যান লাবনী। অপারেশন করেন কথিত ডাক্তার সোহেল রানা। ডাক্তার সোহেল ওই হাসপাতালের মালিক মোহনলালের ছেলে। একইভাবে ১০ আগস্ট রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার নেপার মোড়ে মা ও শিশু প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারের পর সকালে মারা যান মরিয়াম খাতুন (৩০) নামে আরো এক প্রসুতি। তিনি নেপা ইউনিয়নের জিনজিরা গ্রামের সিকদার আলীর স্ত্রী।এ নিয়ে এক মাসে জেলার হরিণাকুন্ডু ও মহেশপুরে চার ক্লিনিকে চারজন প্রসুতির সৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর জেলা সিভিল সার্জনের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এভাবেই চলছে ঝিনাইদহে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা। দুই বছর ধরে ঝিনাইদহের এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর লাইসেন্স নবায়ন নেই। সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ২৩ আগস্ট পার হলেও ঝিনাইদহ জেলার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা তাদের লাইসেন্স নবায়ন করতে পারেননি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী কাগজপত্র দাখিল করতে না পারায় এমটি হয়েছে বলে জেলার সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানা গেছে।অন্যদিকে ক্লিনিক মালিকদের দাবি, তারা সব শর্ত পূরণ করলেও অনলাইনে কাজের সমস্যা হওয়ায় দেরি হচ্ছে। ঝিনাইদহ জেলায় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১৭০ টি। যদিও জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে সে সংখ্যা ৭৯। এরমধ্যে সব থেকে বেশি রয়েছে জেলা সদর ও কালীগঞ্জে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানা গেছে, জেলার ৬ উপজেলায় মোট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ১৭০। এর মধ্যে ক্লিনিক রয়েছে ৮১টি। এরমধ্যে কোটচাঁদপুরের একটি ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন আছে। বাকি ১৬৯টি ক্লিনিকের লাইসেন্স থাকলেও নবায়ন নেই। তবে লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এসব ক্লিনিকে চিকিৎসার উন্নত পরিবেশ নেই। নেই সর্বক্ষণিক চিকিৎসক বা প্রশিক্ষিত নার্স। দশ বেডের পরিবর্তে শয্যা বাড়িয়ে ৫০-৬০ জন করে রোগী ভর্তি করা হয়। নির্ধারিত দালালের মাধ্যমে কোনো রোগী পেলে ডাক্তার ভাড়া করে আনা হয়। এর জন্য বাড়তি ফি নেওয়া হয় রোগীর কাছ থেকেই। অপারেশন থিয়েটার দেখলে মনে হবে গৃহস্থবাড়ির রান্নাঘর। হাতের কাছে সরকারি সেবা থাকতেও প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা সহজ-সরল মানুষেরা এদের দ্বারা প্রতারিত হচ্ছেন। নীতিমালা ভঙ্গ করে এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে জনসেবার নামে রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে বছরের পর বছর। কালীগঞ্জ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানি বলেন, ‘আমরা সরকারের দেওয়া সব শর্ত পূরণ করেছি। কিন্তু অনলাইনে কাজ হওয়ার ফলে নবায়ন সম্পন্ন করতে সময় লাগছে।’ সমস্যা বিবেচনা করে সময় বাড়ানো উচিত বলে দাবি করেন এই ক্লিনিক মালিক। ঝিনাইদহে সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন, ‘জেলার কোনো ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন নেই। সব গুলো নবায়নের জন্য অপেক্ষমাণ। কর্তৃপক্ষের দেওয়া সময়মীমা পার হয়েছে। চাহিদা অনুযাযী ডকুমেন্ট না দেওয়া এসব বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নবায়ন হয়নি। এখন তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেবেন তা বলতে পারবো না। ঢাকা থেকে যে সব ক্লিনিকের রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে, আমরা সেগুলো প্রেরন করছি।’
যেভাবে কালীগঞ্জে বিকাশ এজেন্টের ২ লাখ টাকা গায়েব
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে এক বিকাশ এজেন্টের ২ লাখ টাকা হারিয়ে গেছে। ২৬ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে ওই প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী সিদ্দিকুর রহমান বাড়ি থেকে বাই সাইকেলযোগে শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রনি মোবাইলে এসে দেখেন বড় ব্যাগের মধ্যে রাখা তার টাকার ছোট ব্যাগটি নেই। এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারন ডাইয়েরী করা হয়েছে। দোকানের সত্বাধিকারী সিদ্দিকুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে আমি বাড়ি থেকে বিকাশ ব্যবসার প্রায় ২ লাখ টাকা ভর্তি কাপড়ের একটি ছোট ব্যাগ আরেকটি বড় ব্যাগের মধ্যে ভরে বাই সাইকেলযোগে দোকানে আসি। এরপর বড় ব্যাগটা দোকানের সামনের বেঞ্চের উপর রেখে তালা খুলতে যাই। এ সময় দেখি তালার মধ্যে আঠা জাতীয় জিনিস দেওয়া রয়েছে। পরে তালা ভেঙে দোকানে প্রবেশ করে দেখি বড় ব্যাগটির মধ্যে অন্যন্য জিনিসপত্র সব ঠিকঠাক থাকলেও শুধু টাকার ছোট ব্যাগটি নেই। তিনি আরও বলেন, আমি যখন তালা খুলছিলাম তখন ওই মার্কেটে আর কোন দোকান খোলা ছিলনা। আশপাশে কোন লোকজনও ছিলনা। ফলে টাকার ব্যাগটা কোথায় হারালো বুঝতে পারছিনা। কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহাফুজুর রহমান মিয়া জানান, ওই দোকান মালিক নিজেই বলছেন ওই মার্কেটে তিনিই প্রথম দোকান খুলতে গিয়েছিলেন। আশপাশে কোন মানুষও তিনি দেখেননি। ফলে টাকাটা বাড়ি থেকে আসার সময় পথে পড়ে যেতে পারে। তারপরও পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এ ব্যাপারে দোকানের সত্বাধিকারী টাকা হারানোর বিষয় নিয়ে থানায় একটি সাধারন ডাইয়েরী করেছেন।