শুক্রবার ● ২৮ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » কুষ্টিয়ার করোনার ভূয়া সনদ পত্র দেয়ায় টেকনিশিয়ান রিমু আটক : মূলহোতা সানাউল্লাহ পলাতক
কুষ্টিয়ার করোনার ভূয়া সনদ পত্র দেয়ায় টেকনিশিয়ান রিমু আটক : মূলহোতা সানাউল্লাহ পলাতক
শামসুল আলম স্বপন, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান মাহফুজুর রহমান রিমু (৩৫) কে করোনার ভূয়া সনদ পত্র দেয়ার অভিযোগে মিরপুর থানা পুলিশ আটক করেছে। বুধবার বিকেল রিমুর কর্মস্থল থেকে স্থানীয় থানা পুলিশ তাকে আটক করে।
সূত্র জানিয়েছে, মাহফুজুর রহমান রিমু একটি চক্রের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে করোনার ভূয়া সনদ পত্র দিয়ে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল এমন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া ডিবি ও মিরপুর থানা পুলিশ মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এঘটনায় কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এএইচএম আনোয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির ৪২০/৪০৬/৪৬৬/৪৭১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ২৫, তারিখ ২৬/০৮/২০২০ইং। এব্যাপারে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামী মাহফুজুর রহমান রিমু পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জেসমিন আরা পারভিন বলেন, করোনার ভূয়া সনদ পত্র দিয়ে মাহফুজুর রহমান রিমু জালিয়াতি করছিল এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এএইচএম আনোয়ারুল ইসলাম তদন্তে আসলে অভিযোগের বিষয়টি প্রাথমিক ভাবে প্রমাণিত হয়। স্থানীয় একটি সুত্র জানাই করোনার ভূয়া সনদপত্র দেয়ার মূলহোতা স্বাস্থ্য পরিদর্শক কুষ্টিয়ারবাসীন্দা সাবেক জামায়াত নেতা সানাউল্লাহ । রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিভিন্ন পদে চাকরির জন্য করোনা নেগেটিভ সনদ পত্র প্রয়োজন হওয়ার সুযোগ নিয়ে সানাউল্লাহ মিরপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক সংগ্রহ করে আনতো ।
একটি করোনা নেগেটিভ সনদ পত্রের জন্য নেয়া হতো ৫শ থেকে হাজার টাকা । গত দুইমাসে তারা প্রায় ৫ শতাধিক লোকের করোনা নেগেটিভ সনদ পত্র প্রদান করে । সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন এর সাথে যোগসাজস রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের দুইজন চিকিৎসকের ।এ ব্যাপারে সানাউল্লাহ বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
ভূয়া করোনা নেগেটিভ সনদ পত্র থেকে অবৈধ আয়ের টাকা রিমুসহ ৪জন ভাগাভাগি করে নিতেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জেসমিন আরা পারভিন বিষয়টি জানলেও তাদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পেত না ।
এ দিকে পুলিশি অভিযানের আগেই সানাউল্লাহ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় । তার বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকি দেয়ারও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে । মাসে ১০ দিনের বেশী তিনি কর্মস্থলে না গেলেও খাতাপত্র ঠিক করে রাখেন যাতে তার জালিয়াতি কেউ ধরতে না পারে এমন অভিযোগ করেছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষের অনেকেই । মিপুর থানা অফিসার ইন চার্জ মো. আবুল কালাম বিজয় নিউজ কে বলেন এই মামলার তদন্তে যাদের সম্পৃক্তা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।