বুধবার ● ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » খাগড়াছড়িতে শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা
খাগড়াছড়িতে শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: ৩০ সেপ্টেম্বর : আগামী ২০১৬ সালের মধ্যে যেসব শিক্ষকরা তিনবছরের বেশী সময় ধরে পৌর এলাকার ভিতরে শিক্ষকতা করে আসছেন তাদের প্রত্যাঞ্চলের স্কুলগুলোতে গিয়ে শিক্ষকতা করতে হবে ৷ কারণ শিক্ষার মান যাচাই বাছাই করার জন্য রদবদল করা অপরিহার্য বলে বলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ৷ গত মঙ্গলবার বিকেলে টিআইবি-সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও জেলা পরিষদের যৌথ আয়োজনে পৌর টাউন হল মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সদর উপজেলা, দীঘিনালা, পানছড়ি ও মহালছড়ি উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এসএমসি কমিটির সভাপতিদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভা প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷ তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু বিদ্যালয়ে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত শিক্ষক রয়েছে আবার কিছু কিছু বিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষকও নেই ৷ এতে করে প্রত্যাশিত শিক্ষার মান অর্জিত হচ্ছে না ৷ আর যেসব শিক্ষকগণ কর্মস্থলে না গিয়ে বর্গা শিক্ষক দিয়ে মাসের বেতন গুণছেন তাঁরা সর্তক হয়ে যান ৷ নিজেদের আত্মশুদ্ধি করার এখনই উপযুক্ত সময় বলে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা নীতি গ্রহণ করেছেন ৷ বঙ্গবন্ধুর পরে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে সরকারীকরণ করা হয়েছে ৷ এবং অদূর ভবিষেত্ পর্যায়ক্রমে সবকটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করা হবে ৷ শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তিনি আরও বলেন, আমার সময়েই আমি পার্বত্য জেলা পরিষদকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার আওতায় এনেছি ৷ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগসহ সবকটি নিয়োগে যোগ্য ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদানের আশ্বাসও দেন তিনি ৷
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের শিৰক বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য মংক্র্যচিং চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম, সনাক সভাপতি প্রফেসর ড. সুধীন কুমার চাকমা, সনাক সদস্য প্রফেসর বোধিসত্ত্ব দেওয়ান, মো: জহুরুল আলম, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি জীতেন বড়ুয়া, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ, শিক্ষক প্রতিনিধি দিলারা বেগম, স্বপন চৌধুরী প্রমূখ ৷ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মামুন কবির ৷
বক্তারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভবিষেত্র সুনাগরিক গড়ে তোলার প্রাথমিক সস্তর হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ৷ যে শিশুর প্রাথমিক সস্তর পাকাপুক্ত সে শিশুর উচ্চ শিক্ষার সস্তরগুলো আরও বেশী সুগম হয় ৷
মতবিনিময় সভায় চার উপজেলার প্রত্যনন্তাঞ্চল থেকে প্রধান শিক্ষক ও এসএমসির সভাপতিসহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন ৷
শিক্ষকরা প্রতিটি বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী, দপ্তরি, পিয়ন, শিক্ষা উপকরণ ও ক্রীড়া সামগ্রী প্রদানের অনুরোধ জানান ৷আপলোড : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ : বাংলাদেশ : সময় : সন্ধ্যা ৭.৪৬ মিঃ