রবিবার ● ৩০ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » রাজশাহী » রাজশাহীতে বিদ্যালয়ের প্রাচির জোরপূর্বক ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ
রাজশাহীতে বিদ্যালয়ের প্রাচির জোরপূর্বক ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ
মাইনুল হাসান, রাজশাহী প্রতিনিধি :: রাজশাহী মহানগরীর পবা উপজেলার কাসিয়াডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বখাটে যুবকদের উৎপাত ও ইভটিজিং থেকে রক্ষায় স্কুলের নির্মানকৃত প্রাচীর জোর করে ভেঙ্গে দিয়েছে একটি পক্ষ। গত ২৯ আগষ্ট শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক নিষেধ করার পরেও বিদ্যালয়ের প্রাচীরটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, কাশিয়াডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমের উত্তর পাসে স্কুলে প্রাচীর নির্মান করা হয়। এবং ওই প্রাচীনের ভেতরে প্রায় ১০০ টি আম গাছ, মেহেগুনি গাছের চারা লাগান স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই প্রাচীরের কারনে স্কুলে ক্লাস রুমে জানালায় বখাটেদের উৎপাত থেকে রক্ষা ও নিরাপদে ক্লাশ করতে পারে ছাত্র-ছাত্রীরা। সেই প্রাচীর বিদ্যালয়ের ম্যনেজিংকমিটির সদস্যরা ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিষেধ করার পরেও কাশিয়াডাঙ্গা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রদান শিক্ষক ও বিএনপি নেতা ফারুক হোসেনের নির্দেশে ১০ থেকে ১৫ জন বখাটে যুবকদের দিয়ে সীমানা প্রাচীরটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। সেই সাথে সীমানা প্রচীরের ভেতরে শতাধিক গাছের চারা কেটে ফেলা হয়।
স্কুলের সীমানা প্রাচীরটি জোর করে ভেঙ্গে স্কুলের ক্লাস রুমের জানালা সংলগ্ন ব্যক্তিগ সার্থে চলা চলের জন্য রাস্তা নির্মাম করতে চায় একটি পক্ষ। ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে ও ব্যাংক কর্মকর্তা আজগর হাজীর সহায়তায় এলাকার বখাটে যুবক রানা, মিজান, ইউনিয়ন যুবদল নেতা রাজু, মারুফ, নাঈম, সুজন, রানাসহ আজ্ঞাত যুবকরা। এ নিয়ে এলাকায় ব্যপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেই সাথে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রাচীর জোর করে ভাঙ্গার কারনে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ বিষয় পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশিয়াডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিদ্যালয়ের নিরাপ্তায় প্রাচীর টি দেয়া হয় দীর্ঘদিন আগে। স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য সবাই কে বিষটি অবহিত করা হয়েছে। প্রাচীরটি নিষেধ করার পরেও জোর করে ভেঙ্গে ফেলেছে। বিষটি কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ কে জানিয়েছি। ঘটনা স্থল ওসি সাহেব আজ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেছেন।
তবে কাশিয়াডাঙ্গা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিএনপি নেতা ফারুক হোসেনের সাথে একাধিক বার মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেস্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয় কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদ পারভেজ বলেন, বিষটি শুনেছি। ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।