সোমবার ● ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » শিরোনাম » বিশ্বনাথে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার
বিশ্বনাথে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ১৮ বছরের এক অসহায় যুবতী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ফয়ছল আহমদ (২১) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের লালু মিয়ার ছেলে।
সোমবার ৩১আগষ্ট বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। রবিবার রাতে স্থানীয় রাজাগঞ্জ বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানা পুলিশের এসআই নুর হোসেন। তিনি বলেন, রোববার ধর্ষককে গ্রেফতারের পর সোমবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আর ওই মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নির্যাতিতার বাবা সবজি বিক্রেতা নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দারিদ্রতার জন্যে ৫বছর বয়সে আখলুছ আলী নামের এক সৌদী প্রবাসীর কাছে তার মেয়েকে দত্তক দেন। আখলুছ আলী প্রবাসে থাকায় তার স্ত্রী জুছনা বেগম ওই যুবতী মেয়েকে নিয়ে একা বাড়িতে বসবাস করছিলেন। গত ২৬ আগষ্ট রাতে তাদের ঘরে ঢুকে পাশের বাড়ির বখাটে ফয়ছল জোরপূর্বক যুবতী ওই মেয়েকে র্ধষণ করে। পরে পালক মাতা জুছনা বেগম মেয়েটির বাবাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে ওই রাতেই তারা মেয়েটিকে কাদিপুরস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে দুইদিন চিকিৎসা দেওয়ার পর ২৮ আগষ্ট বিকেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেয়েটিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
বর্তমানে মেয়েটি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় গত রবিবার রাতে নির্যাতিতার বাবা বিশ্বনাথ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ২৪)। বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আব্দুর রহমান মুসা সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৮ আগষ্ট বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ওই মেয়েকে হাসপাতালে আনা হলে সাথে সাথে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়।
বিশ্বনাথে প্রতিদিন বাড়ছে অপরাধ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় বেড়েছে অপরাধ প্রবণতার হার। তুচ্ছ কারণেই হচ্ছে খুন-খারাপি। ঘটছে আত্মহনন ও গণ-ধর্ষণের ঘটনাও। গেল দেড় মাসের মধ্যেই এ উপজেলায় ৩টি হত্যা, ৫টি আত্মহত্যা ও একটি গণ-ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
সর্বশেষ গেল শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা রাতে খুন হন শফিক আলী নামের এক রিকশা চালক। এসব ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বিশ্বনাথ উপজেলার মানুষ। শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।
সূত্র জানায়, গত ২৩ জুন উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের মনুকোপা গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মখলিছ মিয়া (৬৫) ও ওয়ারিছ আলী (৭০) নামের দু’জন খুন হন।
এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত ওয়ারিছ আলীর স্ত্রী নুরুন্নেছা। আসামি করা হয় স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলু মিয়াসহ ২০ জনকে। একই দিনে নিহত মখলিছ মিয়ার পুত্র আকরাম হোসেন বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেলসহ ৩১ জনকে আসামি করে আরেকটি হত্যা মামলা করেন।
সর্বশেষ গেল শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় খুন হন রিকশা চালক শফিক আলী। গলায় রশি পেছানো অবস্থায় তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি মানিকগঞ্জ জেলার সিংরাইল থানার পারিল নওয়াদা গ্রামের সাহজাহান মিয়ার ছেলে। তিনি উপজেলার জানাইয়া রোডের মস্তাব আলীর কলোনিতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। কে কারা, কি কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানাতে পারেনি কেউ।
এদিকে গত ২ জুলাই দৌলতপুর ইউনিয়নের শেখেরগাঁও গ্রামের জামিল আহমদের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের (২১) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ফাতেমার বড়ভাই রুবেলের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়, ফাতেমাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ৬ জুলাই হারপিক পান করে ৮ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান একই ইউনিয়নের দৌলতপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অফিস সহকারী আসমা শিকদার সিমলা (৪০)। এই আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে দৌলতপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গভর্নিং বডিকে অভিযুক্ত করা হয়।
এ ঘটনায় কমিটির সদস্য আনোয়ার মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২৭ জুলাই সিলিং ফ্যানের সাথে লুঙ্গি দিয়ে ফাঁস নেন সদর ইউনিয়নের কারিকোনা গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ওমান ফেরত ছেলে বাবলা মিয়া (৩০)। সর্বশেষ, গত ৮ আগস্ট বসত ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস নেন খাজাঞ্চী ইউনিয়নের তবলপুর গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রী লুৎফা বেগম (২৭)।
একইদিন বিকেলে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ইছমাইল আলীর পুত্র সাবেক ফুটবলার আনোয়ার মিয়া (৫৬) বিষপান করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ভোরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে মারা যান তিনি।
অন্যদিকে, গত ১ জুলাই লামাকাজী ইউনিয়নের ইসবপুর গ্রামের ১৮ বছরের এক তরুণী গণ-ধর্ষণের শিকার হন। ঘটনার ১২ দিন পর তরুণী বাদী হয়ে ৩ জনকে অভিযুক্ত ও ২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনার মূলহোতা ইসবপুর গ্রামের মন্নান মিয়ার ছেলে আনোয়ার মিয়াকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এসব বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ শামীম মূসা সাংবাদিকদের বলেন, হত্যা-গণধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার প্রেক্ষিতে আমাদের আইনি কার্যক্রম অব্যাহত আছে। পাশাপাশি, আত্মহত্যা রোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ করছে পুলিশ।
বিশ্বনাথে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথের ঐতিহ্যবাহী সমাজ সেবামূলক সংগঠন ‘সাথী যুব সমাজ কল্যান সংস্থা’র ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সংগঠনের উদ্যোগে দুই শতাধিক অসহায় দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার ৩০ আগস্ট উপজেলার ময়নাগঞ্জ বাজারে সংস্থার কার্যালয়ে মেসার্স শাহনাজ মেডিকেল ষ্টোরের সার্বিক সহযোগিতায় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পে চিকিৎসা প্রদান করেন মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও শিশু রোগে অভিজ্ঞ ডা. বজলুর রহমান এবং সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইসরাত মাহবুব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্থার উপদেষ্টা মাওলানা শহিদুল ইসলাম, আলাউদ্দীন খান, আব্দুল মুকিত, সংস্থার সভাপতি মিছবাহ খান, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আশিক, যুগ্ম-সম্পাদক এমরান আলী, যুগ্ম-সম্পাদক ফখর উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক দিলোয়ার খান, সহ-অর্থ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার শাহী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জাকির, হাবিবুর রহমান কাওছার, প্রচার সম্পাদক শাহাব উদ্দিন, সহ-প্রচার সম্পাদক উজ্জল আহমদ, সমাজ সেবা সম্পাদক রুবেল মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল হাসান, সহ ক্রীড়া সম্পাদক এহসান আহমদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ফাহিম আহমদ, সিনিয়র সদস্য আব্দুল বশর, জামাল মিয়া, মাহতাব মিয়া, ইমন মিয়া, মিজান মিয়া, নানু মিয়া প্রমুখ।
বিশ্বনাথে চোরাই গরুসহ আটক-৩
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ১টি চোরাই গরুসহ (বাছুর) ৩ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তেলিখাল ইউনিয়নের শিলাগুড়ি গ্রামের মৃত কুঠিন মিয়ার ছেলে আল-আমিন মিয়া, বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ছত্তিশ গ্রামের মৃত ছাদেক আলীর ছেলে বাবুল মিয়া ও রমজানপুর গ্রামের মৃত বাদশাহ মিয়ার ছেলে সুয়েব আহমদ। সোমবার ৩১ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে তাদেরকে অলংকারী ইউনিয়নের কৃপাখালি গ্রাম থেকে আটক করা হয়।
সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের জামাল আহমদের একটি গরু (বাছুর) ওই গ্রামের রাস্তা থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল একদল চোর। ঘটনাটি টের পেয়ে স্থানীয়রা তাদেরকে ধাওয়া করে পাশ্ববর্তী কৃপাখালি গ্রামে গিয়ে গরুসহ ৩ জনকে আটক করে। এ সময় তৈয়বুর রহমান নামে একজন পালিয়ে যায়। সে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ছত্তিশ গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ বাছুরসহ জনতার হাতে আটক ৩ জনকে থানায় নিয়ে আসে এবং তাদের ব্যবহৃত অটোরিকশা (মৌলভীবাজার-থ ১১-৩৮৩৪) জব্দ করে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।