বুধবার ● ২ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » কোভিড-১৯ দূর্যোগ মোকাবেলায় ৭১টির অধিক উন্নত জাতের ফসলের বীজ নিয়ে ইষ্ট ওয়েষ্ট সীডের যাত্রা
কোভিড-১৯ দূর্যোগ মোকাবেলায় ৭১টির অধিক উন্নত জাতের ফসলের বীজ নিয়ে ইষ্ট ওয়েষ্ট সীডের যাত্রা
আল আমিন মন্ডল, বগুড়া প্রতিনিধি :: সবজি বীজের অন্যতম পথিকৃত প্রতিষ্ঠান ইষ্টওয়েষ্ট সীড সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে বাংলাদেশে তার নবযাত্রা শুরু করেছে দেশের অন্যতম সেরা বীজ প্রতিষ্ঠান এসিআই সীডের সাথে যৌথ ভাবে। সর্বমোট ৭১ অধিক ফলণ শীল উন্নত জাতের বীজ ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রনালয়ে নিবন্ধন করা হয়েছে বাজারজাত করনের জন্য, যার মধ্যে হাইব্রিড করলা-পালিপ্লাস, ঝিঙ্গা-বীর সুপার, মিষ্টিকুমড়া-সোনাবউ, শসা-তামিম প্লাস উল্লেখযোগ্য। এয়াড়াও হাইব্রিড লাউসহ বিভিন্ন সবজি ফসলের অধিক ফলণশীল হাইব্রিড এবং উচ্চ ফলণশীল জাত রয়েছে যা বর্তমান প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান করবে। এসকল জাতসমূহ বাংলাদেশে বিভিন্ন কৃষি-পরিবেশিক অঞ্চলে বিশেষ করে যশোর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা এবংচট্টগ্রামে উপযোগীতা ও উৎপাদশীলতা পরীক্ষার পর জাত নিবন্ধন করা হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর বুধবার ঝুম মিটিংয়ে যুক্ত হয়ে ইষ্টওয়েষ্ট সীডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীলিপ রাজন তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, “ক্ষুদ্র চাষীরা এই দূযোগপূর্ন মুহুর্তে প্রতিনিয়ত বীজের গুন গতমান এবং উৎপাদিত পন্যের বাজারজাত করনসহ বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আসছেন। আমরা ইষ্ট ওয়েষ্ট সীড প্রতিকূল আবহাওয়া এবং রোগ ও পোকা মাকড় সহনশীলতার সাথে সাথে অধিকতর উৎপাদনশীল হাইব্রিড জাত বাজারজাত শুরু করেছি যা আমাদের চাষীদের আরো ভালো অভিজ্ঞতা দিবে। বর্তমান দূর্যোগপূর্ন সময়ে সবজি ফসল, উন্নয়নের এশটি বড় অংশীদার যাক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের অধিকতর বাজার মূল্যের সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভাবে আরো বেশি সাবলম্বী করে তুলবে। বাংলাদেশ ইষ্ট ওয়েস্ট সীডের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন মার্কেট।”এসিআই সীডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও, ড. এফ. এইচ. আনসারি বলেন, “আমরা বিশে্ব সেরা সবজি বীজ প্রতিষ্ঠান ইষ্টওয়েষ্ট এর সাথে যুক্ত হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত যারা বিশে^ সবজি ফসলের উপরে গবেষণা ও উন্নয়নসহ বীজ উৎপাদন এবং বাজারজাত করনে পথিকৃত। বাংলাদেশের বীজ শিল্পে আমাদের দীর্ঘ পদচারনার অভিজ্ঞতা থেকে আশাকরছি এই যুগলবন্ধী বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের যুগোপযোগী জাত সরবরাহের মাধ্যমে সারা দেশে সবজি উৎপাদন এবং চাষীদের আয় বৃদ্ধিতেও সহায়তা করবে। এই যুগলবন্ধী দেশের পরিবর্তিত জলবায়ু, বাজার এবং ভোক্তার চাহিদা মোতাবেক উন্নত প্রযুক্তির বীজ সরবরাহ করবে। ইষ্ট ওয়েষ্ট সীড বিশে^র অন্যতম পথিকৃত বীজ প্রতিষ্ঠান, যার সারাবিশ্বে অত্যন্ত শক্তিশালী গবেষণা, উৎপাদন এবং বীজ প্রক্রিয়াজাতকরন কেন্দ্র রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নের সাথে সাথে কৃষকের জীবন যাত্রার মানউন্নয়নেও আমরা বিশেষ অবদান রাখতে পারবো।”বিগত তিন দশকের অধিক সময় ইষ্টওয়েষ্ট সীড গ্রীষ্মপ্রধান সবজি বীজের গবেষণা, উৎপাদন এবং বিপণনে বিশে^ নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। ২০১৯ সালের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ বিজয়ী ড. সায়মন গ্রুটের প্রতিষ্ঠিত ইষ্ট ওয়েষ্ট সীড বিশে^র ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীদের গুনগতমান সম্পন্ন বীজ প্রাপ্তিতে নিশ্চয়তা নিশ্চিতের স্বীকৃতি সরূপ ২০১৯ সালে গ্লোবাল একসেসটু সীড ইনডেক্স কতৃক বিশে^র ১ নম্বর বীজ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।