মঙ্গলবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » কাজ ও খাদ্যের দাবিতে গাইবান্ধায় ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের বিক্ষোভ
কাজ ও খাদ্যের দাবিতে গাইবান্ধায় ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের বিক্ষোভ
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধান, কৃষি ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত, আর্মি রেটে রেশনিং, কৃষকদের নামে সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার, জেলায় জেলায় করোনা টেস্ট ল্যাব, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বয়স্ক-বিধবা ভাতার ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দূর্নীতি বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট গাইবান্ধা সদর উপজেলা শাখা।
মঙ্গলবার ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে গাইবান্ধা শহরের ১নং রেলগেটের আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টেরর আহবায়ক গোলাম সাদেক লেবুর সভাপতিত্বে সমাবেশ বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্যসচিব মাহবুবর রহমান খোকা, ডাঃ জব্বার, বাসদ (মার্কসবাদী) গাইবান্ধা জেলার আহ্বায়ক কমরেড আহসানুল হাবীব সাঈদ, নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, সমগ্র দেশব্যাপী মানবজীবনের ধ্বংসযজ্ঞের আয়োজন চলছে। একদিকে মহামারি করোনায় মানুষের জীবন নিয়ে চলছে জুয়া খেলা, অন্যদিকে বন্যায় আগ্রাসী নদী তলিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া ভিটেটুকু। তার মধ্যে করোনা অজুহাতে চলছে শ্রমিক ছাটাই। আজকে মানুষের জীবন হয়েছে অবহেলিত পশুদের চেয়েও নির্মম। নেই তাদের বাসস্থান,খাদ্য, চিকিৎসার নিশ্চয়তা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্ষেত খামারে কাজ করা কৃষি শ্রমিকরা।
বক্তারা আরও বলেন, পশুর মতো জীবন যাপন করা মানুষদের রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে মানুষ হিসাবে বাঁচতে দেওয়ার জোর দাবি জানান। সেই সাথে গাইবান্ধা মাতৃসদন হাসপাতাল কতৃপক্ষের অবহেলায় সৃষ্ট ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বিপন্ন সড়ক ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নদী-নালা, খাল-বিল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের হিড়িক পড়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট সড়ক, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে ভূমি ধ্বসের সৃষ্টি হচ্ছে। এব্যাপারে সচেতন মহলের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়ে এবং মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেও এই বালু উত্তোলন প্রবণতা বন্ধ হয়নি। মাঝে মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অভিযান চালিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দেয়া হলেও এর প্রতি কোনই তোয়াক্কা করছে না বালু উত্তোলনকারি সংঘবদ্ধ চক্রটি।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের ১০৭টি পয়েন্টে অবৈধভাবে শ্যালো মেশিনের সাহায্যে দেশের প্রচলিত আইন ও প্রশাসনের তোয়াক্কা না করেই প্রভাবশালী বালুদস্যুরা ভূগর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলন করছে। উপজেলার বিভিন্ন বড় ব্রীজ ও স্থাপনার আশেপাশে স্থাপন করা হয়েছে বালু তোলার মেশিন। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনের ফলে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে অনেক স্থাপনা।
এব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামকৃষ্ণ বর্মন জানান, গত ১০ দিনে বালুদস্যুদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং প্রায় ৩০টি মেশিন ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি মামলা হয়েছে এবং আরও কয়েকটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জানা গেছে, বালুদস্যুরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসনের অভিযানের পরেও তাঁরা নতুন করে পুনরায় বালু উত্তোলন শুরু করায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ইতোমধ্যে উপজেলার সকল অবৈধ বালু কারবারীদের কাছে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।