বুধবার ● ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা » পাকোয়াখালীার ট্র্যাজেডি ৩৫ জন কাঠোরিয়াকে হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরনের দাবীতে রাজধানীতে মানববন্ধন
পাকোয়াখালীার ট্র্যাজেডি ৩৫ জন কাঠোরিয়াকে হত্যার বিচার ও ক্ষতিপূরনের দাবীতে রাজধানীতে মানববন্ধন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: আজ ৯ সেপ্টেম্বার রোজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে পাকোয়াখালীার ট্র্যাজেডি ৩৫ জন বাঙালী কাঠোরিয়াকে উপজাতি সন্ত্রাসী (শান্তিবাহিনী) কর্তৃক ”গণহত্যার বিচার ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে ক্ষতিপূরনের দাবীতে ”পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদে”র কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন ও শোকসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি শেখ আহাম্মদ (রাজু),পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ রানা ,পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির,সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব,এড.মো. আলম খান, ছাত্র নেতা সাহাদাৎ ফরাজি সাকিব, মোস্তফা কামাল ,এড.সারোয়ার হোসাইন,পিসিএনপির নেতা মো. মহিউদ্দিন,রাসেল ও মুন্না প্রমূখ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আলকাছ আল মামুন ভূঁইয়া বলেন, রাঙামাটি পার্বত্য এলাকার বাঙালিদের কাছে ৯ সেপ্টেম্বর একটি ট্রাজেডি ,একটি ভয়ঙ্কর বা ভয়াল চিত্র তথা ৩৫ কাঠুরিয়া গণহত্যা দিবস।সভাপতি বলেন, তৎকালে ছলছিল অস্ত্রবিরতি,শান্তি আলোচনা, সন্তবাহিনী হঠাৎ কেন ? কি উদ্দেশ্যে এতগুলো নিরস্ত্র মানুষকে ডেকে নিয়ে অত্যন্ত নৃশংস ভাবে ১৯৯৬ সালের এই দিনে রাঙামাটির লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাকুয়াখালী নামক গহীন অরণ্যে তৎকালীন তথাকথিত শান্তি বাহিনীরা নির্মম ভাবে ৩৫ জনকে হত্যা করে।ওদের হত্যার কথা শোনলে হিংস্ত্র হায়নাকেও হারমানায়। সেখানে কাঠুরিয়াদের তিন দিন আটকে রেখে হাত-পা ও চোখ বেঁধে নির্যাতন চালিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর হত্যা করে। প্রায় দুইযুগ হয়ে গেলেও এখনও এই হত্যাকান্ডের বিচার প্রক্রিয়া শুরই হয়নি। ২৪ বছর পরেও বিচার না পেয়ে হতাশায় নিমজ্জিত নিহতদের পরিবার। আটক ৩৬ জন কাঠুরিয়ার মধ্যে ইউনুস নামের একজন কাঠুরিয়া পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। সে খবর দিলে ৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ ও সেনাবাহিনী পাকুয় খালীর জঙ্গল হতে ২৮ জন কাঠুরিয়ার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। বাকি ৭ জন কাঠুরিয়ার লাশ পাওয়া যায়নি।সেই থেকে পার্বত্য এলাকায় বাঙালিরা এ দিনটিকে পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বারের শান্তি চুক্তি প্রসঙ্গে মামুন ভূঁইয়ার আরো বলেন,এ চুক্তির মাধ্যমে শান্তি নয় অশান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে।সাম্য নয় বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে ,এক দেশে দুই নীতি তৈরী করা হয়েছে।সংবিধান অনুযায়ী পার্বত্য জেলা গুলোতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতার চেয়ারে বসার সবার অধিকার রয়েছে,কিন্তু শান্তি চুক্তির মাধ্যমে চেয়ারম্যান পদটি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত করে বাঙালিদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।তিনি বলেন,চুক্তির আগে শান্তি বাহিনী নির্যাতন করতো এখনও তিন গ্রুপে নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে। কমপক্ষে শুধু খাগড়াছড়িতে বছরে কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে। পার্বত্য চট্রগ্রামকে ঘিরে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র কারীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সবাইকে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে।