বুধবার ● ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » শিরোনাম » বিশ্বনাথে ফের বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা
বিশ্বনাথে ফের বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: কড়াকড়ি নেই আগের মতো। স্বাস্থ্যবিধি মানায়ও ঢিলেঢালা ভাব। বাধ্যতামূলক হলেও মাস্ক পড়তে অনীহা সাধারণ মানুষের। এ অবস্থায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ফের বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। বেশ কয়েকদিন শনাক্তের হার কম থাকলেও হঠাৎ করে বেড়েছে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা। উপসর্গ নিয়ে নমুনা দেয়া অধিকাংশেরই পজেটিভ রিপোর্ট আসছে কোভিড-১৯’র। এতে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। তারা বলছেন, সতর্কতায় ছাড় দিলে আরো কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হবে সবাইকে।
সূত্র জানায়, করোনার ‘হটস্পট’ সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় শুরুর দিকে দ্রুত বাড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। একে একে আক্রান্ত হন প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিক, রাজনীতিবীদ ও সাধারণ নারী-শিশু। ক’দিনেই শতক ছাড়িয়ে যায় এ সংখ্যা। সব’চে বেশি আক্রান্ত হন স্থানীয় পুলিশ স্টেশনের সদস্যরা। করোনায় মারা যান বৃদ্ধ ও শিশুসহ দুইজন। এরপর থেকে একাধিক কারণে করোনা পরীক্ষায় মানুষের অনীহা দেখা দিলে ১শ ৭৩জনে গিয়ে থমকে যায় করোনা রোগীর সংখ্যা। সম্প্রতি হঠাৎ করে বেড়েছে উপসর্গযুক্ত অসুস্থ মানুষের সংখ্যা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিদিন এসব মানুষের জন্যে দোয়া চেয়ে ক্ষুদে বার্তা দিচ্ছেন তাদের শুভাকাঙ্খিরা। গেল বুধবার ২ সেপ্টেম্বর উপসর্গ নিয়ে নমুনা দিলে শুক্রবার ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ কোভিড-১৯ পজেটিভ রিপোর্ট আসে বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হকের। একই দিনে নমুনা দিলেও রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন’র কোভিড-১৯ পজেটিভ রিপোর্ট আসে গত শনিবার ৫ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১০টায়। ওই দিন করোনা শনাক্ত হয় আরও দু’জনের।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহমান মূসা সাংবাদিকদের বলেন, দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সম্প্রতি নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৭ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৫ জনে। সুন্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১৬১ জন। স্বাস্থবিধি মেনে আইসোলেশনে রয়েছেন। সতর্কতাই করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পারে। সবাইকে সরকারি নিদের্শনা, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক র্দরত্ব মেনে চলতে হবে। এসবে ছাড় দিলে এ থেকে রক্ষা পাবার সুযোগ নেই।
বিশ্বনাথে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত - ৩
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছেন। ৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের জয়নগর নোয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের আহত ২জনকে রাতেই সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতরা হলেন, আরশ আলীর পুত্র আরিয়ান আহমেদ মাজেদ (২৩), মুজিব আহমেদ রাজ (২৪) ও তাদের অপর পক্ষ পাশের বাড়ির মখলিসুর রহমানের পুত্র সজিব আহমেদ (২১)। এ ঘটনায় আহত মুজিব আহমেদ বাদি হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে বিশ্বনাথ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এলাকায় খোজ নিয়ে জানাগেছে, খাজাঞ্চি ইউনিয়নের জয়নগর নোয়াপাড়া গ্রামের মখলিসুর রহমানের পুত্র সজিব আহমদকে দিয়ে পাশের বাড়ির আরশ আলীর পুত্র মাজেদ ও মুজিব দুই ভাই মিলে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ৭০হাজার টাকা দিয়ে ২টি আরেক্স মোটরবাইক ক্রয় করান। কিন্তু সজিব বাইক চালানো জানেনা তাই একটি মোটরবাইক মাজেদ ও মুজিবের কাছে থাকত। সজিবের কাছে থাকা বাইকটি কোন রকম বিক্রি করে দেয় এবং অপর বাইকটি মুজির ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কিনবেন বলে তার কাছে রেখে দেন। কিন্তু পূরো টাকা পরিশোধ কনেননি মুজিব। সেই সুবাদে গত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জরুরী কাজে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য মুজিবের কাছে মোটরবাইকটি চান সজিব। কিন্তু মুজিব বাইক না দেয়ায় সজিব গাড়ির পাওনা টাকা চাইলে উভয়ই উত্তেজিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দু’পক্ষের ৩জন গুরুত্বর আহত হন এবং আরো ৭/৮ জন আহত রয়েছেন। তবে মুজিব জানান, সজিবের কাছে তার কোন টাকা পয়সার লেনদেন নেই।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিম মুসা সাংবাদিকদের জানান, এক পক্ষের অভিযাগ পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তিনি জানান।
আগাম জামিন নিলেন বিশ্বনাথ আ.লীগের চার নেতা
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে এমপি মোকাব্বির খানের গাড়ীতে হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের চার নেতাকে আগাম জামিন দিয়েছেন আদালত। বুধবার ৯ সেপ্টেম্বর সিনিয়র বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও খন্দকার দিলোউজ্জামান এর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। জামিন পাওয়া চারজন হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমদ, উপজেলা যুবলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান সেবুল এবং জুনাব আলী।
এর আগে আওয়ামী লীগের এই চার নেতা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। তাদের পক্ষে শুনানি করেন, এডভোকেট মো. মোশতাক আহমদসহ তার প্যানেলের আইনজীবী।
এ্যাডভোকেট মো. মোশতাক আহমদ সাংবাদিকদের জানান, গত ১১ আগস্ট আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করার অপরাধে দ্রুত আইনে এমপি মোকাব্বির খানের গাড়ীতে হামলার অভিযোগ এনে এপিএস অসিত রঞ্জন দেব মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই সম্পাদকসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় কোর্ট আজ ৪ জনকে ছয় সপ্তাহের ভেতরে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে জানান।