রবিবার ● ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝালকাঠিতে মহিলা কলেজের শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
ঝালকাঠিতে মহিলা কলেজের শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক মো. আল-আমিন মাঝির বিরুদ্ধে ছাত্রীকে বিয়ে করে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবির অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী মনিরা ইয়াসমনি বাদী হয়ে আজ রবিবার দুপুরে ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালতের বিচারক এ.এইচ.এম ইমরানুর রহমান আসামী আল-আমিন মাঝির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন। আল-অমিন মাঝি নলছিটি উপজেলার রানাপাশা গ্রামের মো. তৈয়বুর রহমান মাঝির ছেলে। তিনি ৪ বছর আগে ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজে গণিতের প্রভাষক পদে যোগদেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এইচএসসি পাস করার পরে ওই ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে প্রভাষক আল আমিন। বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই ওই ছাত্রীকে ও তাঁর পরিবারকে ৫ লাখ টাকা যৌতুকের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ শুরু করেন। গত ২৭ মার্চ ছাত্রীকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ছাত্রীর মা ও আত্মীয় স্বজন আল-আমিনকে বাড়িতে এনে গত ৪ সেপ্টেম্বের যৌতুকের দাবি পরিহার করে ঘর সংসার করার অনুরোধ জানায় । আল-আমিন মাঝি পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক না দিলে বাবার বাড়ি থেকে আর তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেন প্রভাষক আল আমিন মাঝি।
বাদীর আইনজীবী আক্কাস সিকদার জানান, আদালত যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
ঝালকাঠিতে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
ঝালকাঠি:: ঝালকাঠিতে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে (১২) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১ এ মেয়েটির মা নিজ স্বামীর বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. শহীদুল্লাহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিস্টিগেশন বরিশালকে (পিবিআই) চার সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণ ও পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মান্নন রসুলের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঝালকাঠি সদর উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মামুন হাওলাদারের স্ত্রী রেশমা বেগম বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। স্বামী মামুন তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন। গত ২৭ আগস্ট রাতে বড় মেয়েকে (১২) ঘুমের মধ্যে ধর্ষণচেষ্টা করেন। পাশে ঘুমানো ছোট মেয়েটি ঘটনা দেখে চিৎকার করলে বড় মেয়ের ঘুম ভেঙে যায়। পরের দিন সকালে বিষয়টি মেয়ে তাঁর মাকে জানালে বাবা মামুন হাওলাদার কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয়। ২৮ আগস্ট রাতে মামুন হাওলাদার ঘর থেকে স্ত্রীর জমানো সাড়ে তিন লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। মামুনের স্ত্রী রেশমা বেগম দীর্ঘদিন বিদেশে ছিল ।
বাদীর আইনজীবী বণি আমিন বাকলাই জানান, স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেন স্বামী মামুন হাওলাদার। এ অবস্থায় সংসারের খরচ যোগাতে বিদেশ যান প্রথম স্ত্রী। সন্তানরা বাবার বাড়িতে থাকতো। করোনার মধ্যে বিদেশ থেকে দেশে আসেন । খবর পেয়ে স্বামী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সম্প্রতি স্বামীর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। তাই প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় মামুন। স্ত্রী মেয়েদের রেখে বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে মামুন তাঁর বড় মেয়েকে ধর্ষণের চেস্টা করে। আদালত বাদির বক্তব্য গ্রহণ করে পিবিআইকে অনুসন্ধ্যানের নির্দেশ দিয়েছেন।