রবিবার ● ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা » খুলনায় পাটকল রক্ষায় বিশাল সমাবেশ, দাবি না মানলে হরতালের হুমকি
খুলনায় পাটকল রক্ষায় বিশাল সমাবেশ, দাবি না মানলে হরতালের হুমকি
খুলনা প্রতিনিধি :: পাট শিল্প রক্ষা, দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ, অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত সকল শ্রমিককের বকেয়া এককালীন পরিশোধ ও পাটকলের আধুনিকায়নসহ ১৪ দফা দাবিতে খুলনার খালিশপুরে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আজ রবিবার বিকেল ৪ টায় পিপলস্ গোলচত্বরে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে খালিশপুর, রাজঘাট অঞ্চলের ৯টি পাটকলের শ্রমিকরা যোগ দেন। পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের আহবায়ক এডভোকেট কুদরত-ই-খুদার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কারা নির্যাতিত শ্রমিকনেতা অলিয়ার রহমান ও নুরুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি, সিপিবির কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, ইউসিএলবি’র সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আকবর খান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্ক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, শ্রমিকনেতা শামসেদ আলম শমসের, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, খুলনার সভাপতি কোহিনুর আক্তার কণা, নারী সেল, খুলনার আহ্বায়ক সুতপা বেদজ্ঞ, শ্রমিক নেতা মোজাম্মেল হক খান, খুলনা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক আ ফ ম মহসিনসহ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
অলিয়ার রহমান বলেন, আটঘন্টা মেশিনের সাথে লড়াই করে একজন শ্রমিক হিসেবে ন্যায্য মজুরি আমার অধিকার। শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে পাটকল লুটপাট হতে দিব না।
নুরুল ইসলাম বলেন, পাটকল বন্ধ রাখায় শ্রমিকরা তাদের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সন্তানদের কাজে পাঠাচ্ছেন।
শামসেদ আলম শমসের বলেন, বিজিএমসি এবং মন্ত্রণালয় দুর্নীতি করে পাট শিল্প ধ্বংস করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে সরকার লুটপাট করার চেষ্টা করছে। বরিশালে দুপুরে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
পাট শিল্প, পাটকল শ্রমিকদের দুর্দিনে বহু শ্রমিক নেতা খলনায়কে পরিণত হয়েছেন। সিবিএ নন সিবিএ সাইনবোর্ড ব্যবহার করে বিজেএমসি এবং কর্মকর্তাদের দালালি চামচামি করে তারা আজকে মীরজাফরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
প্রয়োজনে খালিশপুর থেকে গণভবন অভিমুখে শ্রমিকদের প্রতি ঘোষিত কোন অঙ্গীকার সরকার পূরণ করছে না।
শ্রমিকদেরকে জীবিকা ও বসতি থেকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র বন্ধ না করলে সরকারকেও টিকতে দেয়া হবে না।
কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন বলেন, মিথ্যাবাদীরা ক্ষমতায় আছে। তাদের কোনো কথায় বিশ্বাস নেই আমাদের, আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করতে হবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার যদি দুর্নীতি-লুটপাট থেকে সরে না আসে অবিলম্বে রাষ্ট্রীয় পরিচালনায় পাটকল চালুর ঘোষণা না দেয় তাহলে ঝাড়ু মিছিল থেকে শুরু করে অবরোধ, হরতালসহ বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ মরিয়া প্রমাণ দেখাতে বাধ্য হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এডভোকেট কুদরত-ই-খুদা বলেন, পাটকল রাষ্ট্রের সম্পত্তি, জনগণের সম্পদ এগুলো বিক্রি করা চলবে না। খুলনার আন্দোলনকে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। চলতি মাসের মধ্যে দাবি না মানলে আমরা হরতালের মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
সমাবেশ পরিচালনা করেন নাগরিক পরিষদের সদস্য সচিব এস এ রশিদ, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলার আহবায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, বাসদ খুলনা জেলার আহবায়ক জনার্দন দত্ত নান্টু ও ইউসিএলবি’র নেতা আনিসুর রহমান মিঠু।