মঙ্গলবার ● ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » ১৩ বছরের শিশু অন্তসত্বা : ট্রাইবুনালে মামলা
১৩ বছরের শিশু অন্তসত্বা : ট্রাইবুনালে মামলা
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ :: জোরপূর্বক ধর্ষণে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ১৩ বছরের এক শিশু অন্তসত্বা হয়ে পড়েছে। ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বগুড়া গ্রামে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে একই গ্রামের ৫ জনকে আসামী করে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহনের জন্য শৈলকুপা থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন বলে জানান মামলার আইনজীবি। নির্যাতিত শিশুটির মা রুপসী খাতুন বলেন তার প্রতিবেশী সামায়ত মোল্যার ছেলে মিলন মোল্যা (৩৫) তার বাড়ির পাশের একটি জমি লিজ নিয়ে ঘাষের চাষ করে। এ জমি দেখাশোনা করতে এসে সে প্রায়ই তার বাড়িতে যাতায়াত করে। গত ৫ এপ্রিল লিজ নেওয়া জমি দেখার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে এসে লম্পট মিলন মোল্লা মেয়েকে একা পেয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষন করে। এরপর সে সবাইকে এ ঘটনা জানাতে চাইলে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চলে যায়। পরে তার শিশু কন্যা অসুস্থ হলে গত ৮ সেপ্টেম্বর শৈলকুপার কবিরপুর খন্দকার ডায়গনষ্টিক সেন্টারে ডা. পারভেজ হাসানের তত্বাবধানে চিকিৎসা নেন ও প্রয়োজণীয় পরীক্ষা করেন। পরীক্ষা শেষে চিকিৎসক জানান মেয়েটি ৬ সপ্তাহ ৫ দিনের অন্তসত্বা। এ ঘটনার পর মেয়েটি জানায় তার প্রতিবেশী মিলন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষক মিলনকে সহযোগীতা করে একই গ্রামের আনোয়ার চৌধুরীর ছেলে বিপ্লব, আইয়ুব মুন্সীর ছেলে ফরিদ মুন্সী, মৃত ছামাদ শেখের ছেলে আলী শেখ ও কুদ্দুস মিয়ার ছেলে কাশেম। এদিকে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় রবিবার (১৩ সেপ্টম্বর) ধর্ষক মিলনসহ ৫ জনকে আসামী করে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। বাদীর আইনজীবি সামছুজ্জামান তুহিন জানান গত ১৩ তারিখ রবিবার শৈলকুপার বগুড়া গ্রামের রুপসী খাতুন তার শিশু কন্যা ধর্ষিত হওয়ার পর অবৈধ গর্ভধারনের ডাক্তারী পরীক্ষার সকল প্রমান তার কাছে আছে। তিনি বলেন বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক শৈলকুপা থানাকে ৫ অভিযুক্তর নামে মামলা গ্রহনের আদেশ দিয়েছেন। এদিকে মিলনের মা আকলিমা জানান যড়যন্ত্রমূলক ভাবে তার সন্তানকে দোষারোপ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ডিএনএ টেস্টে করলেই প্রকৃত আসামী শনাক্ত করা যাবে। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শৈলকুপার বগুড়া গ্রামের শিশু ধর্ষনের পর অন্তসত্বার ঘটনার মামলা দায়েরের বিজ্ঞ আদালতের কোন আদেশ তাদের কাছে এখনো আসেনি। আদেশ আসলেই দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সরকারি দেওয়া শর্ত মেনে প্রস্তুত ঝিনাইদহের পার্ক
ঝিনাইদহ :: সরকারি দেওয়া শর্ত মেনে পার্ক খুলতে প্রস্তুত ঝিনাইদহের বিনোদনকেন্দ্রগুলোর মালিকরা। ইতিমধ্যে পার্কে হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার স্প্রে করা ও মাস্ক পড়া নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা। শুধু অপেক্ষায় রয়েছেন জেলা প্রশাসনের অনুমতির। জানা যায়, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে গত ৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ঝিনাইদহের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। এই সময়ে লোকসান হয়েছে প্রায় কোটি টাকা। আর মানবেতর জীবন যাপন করছেন পার্কের স্থায়ী ও মৌসুমি ৩০০ কর্মী। শহরের জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্কের সত্ত্বাধিকারী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, করোনার কারণে ৫ মাস পার্ক বন্ধ রাখা হয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানে পার্ক খুলে দিলেও ঝিনাইদহে এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে পার্কের কর্মচারীরা চরম কষ্টে দিন যাপন করছে। তিনি বলেন, পার্ক খুলে দেওয়ার ব্যাপারে সরকার যা নির্দেশনা দিয়েছে। তার সবগুলো মেনেই আমরা পার্ক চালু করবো। ইতিমধ্যে আমরা তার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। পার্কে প্রবেশের সময় দর্শনার্থীরা যেন হাত ধুয়ে ভিতরে ঢুকতে পারে এ জন্য সাবান ও পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও স্যানিটাইজার স্প্রে করা হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী ৪ মাস পার্কের যত দর্শনার্থী আসবে প্রত্যেককে টিকিটের সাথে একটি মাস্ক বিনামুল্যে দেওয়া হবে। পার্ক দ্রুত খুলে দেওয়ার জন্য ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথকে অনুরোধ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, পার্কের মালিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পার্ক চালুর ব্যবস্থা করলে দ্রুতই পার্ক চালুর অনুমতি দেওয়া হবে।
শৈলকুপায় শিশু ধর্ষন: ধর্ষক গ্রেফতার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পদমদি গ্রামে ৮ বছরের এক শিশু কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। সোমবার সকালে ওই গ্রামের আলম মোল্লার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। সেসময় ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটি পদমদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় আশিক হোসেন (১৯) নামের ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আশিক শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ ডিগ্রী কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্র। নির্যাতিতার স্বজনরা জানায়, পাশ্ববর্তী আলমের বাড়ির ফ্রিজে মাছ রাখা ছিল। মেয়েটি সোমবার সকালে ওই মাছ আনতে গেলে আলমের ছেলে আশিক মেয়েটিকে ভয় দেখিয়ে এমন ঘটনা ঘটায়। এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত আশিক নামে একজনকে আটক করা হয়েছে এবং ধর্ষিতার পিতা বাদি হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং ১০।
হরিণাকুন্ডুতে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার তেতুলিয়া এলাকা থেকে ইয়াবাসহ বাপ্পী (৩০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রোববার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত বাপ্পী চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আইজাল ইসলামের ছেলে। র্যাব-৬, সিপিসি-২ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার কামাল উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে হরিণাকুন্ডু পৌরসভা এলাকা দিয়ে মাদক পাচার হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা সেখানে অভিযান চালায়। এসময় ৫২ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ বাপ্পীকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় হরিণাকুন্ডু থানায় মামলা হয়েছে।
বিদ্যুতায়িত হয়ে কৃষক নিহত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুতে বিসারত আলী (৪৭) নামের এক কৃষক বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে নিহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে ওই উপজেলার পোলতাডাঙ্গা গ্রামে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিসারত আলী ওই গ্রামের কৃষক কেসমত আলীর ছেলে। পোলতাডাঙ্গা গ্রামের আবুল হোসেন জানান, সোমবার দুপুরে বিসারত আলী গোসল করে তারের উপর লুঙ্গি শুকাতে গেলে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হরিনাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। হরিনাকুন্ডু থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রহিম মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঝিনাইদহে দুই মাসে সাপের কামড়ে মৃত্যু ১২, নেই প্রতিকার
ঝিনাইদহ :: প্রতিদিনের মতো রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল শিশু ইজাহিদ। রাত ১১টার দিকে একটি বিষধর সাপ কামড় দেয় তাকে। ওই সময় শিশুটির চিৎকারে জেগে ওঠেন পরিবারের সবাই। ঘুম থেকে উঠে তারা সাপ দেখতে পান। বুঝতে বাকি থাকে না, ইজাহিদকে সাপে কামড় দিয়েছে। রাতেই স্থানীয় ওঁঝার কাছে নেওয়া হয়। ঝাঁড়-ফুঁক চলে রাতভর। সকালে শিশুটি মারা যায়। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ১২ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের বাগুটিয়া গ্রামের।ইজাহিদ ওই গ্রামের মানোয়ার হোসেনের ছেলে। সে বাগুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়তো। এ নিয়ে গত দুই মাসে জেলায় ১২ জন সাপের কামড়ে মারা গেছেন। এরমধ্যে শুধু শৈলকুপাতেই মারা গেছেন ১০ জন। ফলে শৈলকুপার অধিবাসীদের মধ্যে সাপ আতঙ্ক বেশি। সবশেষ ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যারাতে সাপের কামড়ে মারা গেছে শৈলকুপার মলমলি গ্রামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী। এর আগে ২৯ আগস্ট রাতে জেলার শৈলকুপা উপজেলার দোহারো গ্রামের সাপের কামড়ে শরিফা খাতুন (২৩) নামে সাত মাসের অন্তস্বত্তা এক গৃহবধু মারা যান। তিনি ওই গ্রামের রাশিদুল ইসলামের স্ত্রী। ২৩ আগস্ট রাতে সাপের কামড়ে মারা যায় রাব্বি (৫) ও তাহসিন (৮) নামে দুই শিশু। এদের মধ্যে রাব্বি পৌর এলাকার চতুড়া গ্রামের শুভর ছেলে ও তাহসিন দুধসর ইউনিয়নের নাকোল গ্রামে বিল্লাল হোসেনের ছেলে। ১১ আগস্ট সন্ধ্যায় সাপের কামড়ে মারা যায় শৈলকুপার মনোহরপুর ইউনিয়নের উত্তর পাইকপাড়া গ্রামের আহম্মদ মন্ডল (৪) নামে এক শিশু। ৬ আগস্ট শৈলকুপায় ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের ছোবলে মারা যায় জেরিন নামের আড়াই বছরের একটি শিশু। জেরিন হরিহরা গ্রামের আলামিন মন্ডলের মেয়ে। ৫ আগস্ট শৈলকুপার আসাননগর গ্রামে সাপের কামড়ে আব্দুর রশিদ (২২) নামে এক যুবক মারা যান। এছাড়া ১ আগস্ট রাতে জেলার কালীগঞ্জে সাপের কামড়ে জুলিয়া খাতুন নামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। জুলিয়া উপজেলার ভাতঘরা দয়াপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের মেয়ে। এদিকে, শৈলকুপাসহ বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক সাপের কামড়ে মানুষ মারা গেলেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে এর চিকিৎসায় কোনো এন্টিভেনম বা প্রতিষোধক ভ্যাকসিন নেই। গেল বছর সব থেকে বেশি সাপের কামড়ে মারা যাওয়া উপজেলা শৈলকুপায় এক সেট এন্টিভেনম দেওয়া হলেও সংরক্ষণের ব্যবস্থা এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় তা জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ফলে হাতের কাছে চিকিৎসা সেবা না থাকায় স্থানীয়রা ওঁঝা-কবিরাজের শরণাপন্ন হন। যে কারণে সাপে কাটা রোগীদের বেশিরভাগই মারা যান কার্যত বিনা চিকিৎসা অথবা অপচিকিৎসায়। শৈলকুপার অধিবাসী গণমাধ্যমকর্মী আব্দুর রহমান মিল্টন জানান, গত দুই তিন বছর হলো শৈলকুপায় সাপের কামড়ে মারা যাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। বর্ষা মৌসুম এলেই সাপের উপদ্রব বাড়ে। এবছর ইতোমধ্যে ৯ জন মারা গেছেন। গত বছর এ সংখ্যা অনেক বেশি ছিল।তার ভাষ্য, সাম্প্রতিক সময়ে এ উপজেলায় ‘শাখাকানন’ বা ‘কালাচ’ নামে পরিচিত সাপের উপদ্রব বেড়েছে। এ সাপে কামড়ানো ব্যক্তিদের বেঁচে যাওয়ার রেকর্ড খুবই কম। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাক্তার সেলিনা বেগম বলেন, ‘আমাদের দেশের যত মানুষকে সাপে কাটে, তার ২০ ভাগ বিষধর। বাকি ৮০ শতাংশ মানুষকে সাধারণ সাপে কামড়ায়। এরমধ্যে অনেকে ভয়ে স্ট্রোক করে মারা যায়। তবে সাপে কামড়ানোর পর চার থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে আনলে সহজে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়।’ তিনি বলেন, জেলা সদর হাসপাতালে এন্টিভেনম রয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সাপে কামড়ানোর পর পরিবারের সদস্যরা প্রথমে কবিরাজের কাছে নিয়ে ঝাঁড়ফুঁক করে সময় নষ্ট করে। একেবারে শেষ পর্যায়ে তারা হাসপাতালে নিয়ে আসে, যখন ডাক্তারদের আর কিছুই করার থাকে না। ফলে সচেতনতার অভাবে প্রায়ই জেলার বিভিন্ন এলাকায় সাপের কামড়ে নারী-পুরুষসহ শিশুরা মারা যাচ্ছে।
গ্যাস বড়ি দিয়ে পুকুর ভরা মাছ নিধন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আবারও পুকুরে গ্যাস বড়ি দিয়ে মাছ নিধন করেছে দূর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার খয়েরতলা গ্রামের রফি বিশ্বাসের পুকুরে। এতে ওই মাছ চাষী কমপক্ষে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সম্প্রতি দুর্বৃত্তরা রাতের আধারে মাছ নিধনসহ ফসলীক্ষেত কেটে নষ্ট করে দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ মাছ চাষী রফি বিশ্বাস জানান, ধারদেনার মাধ্যমে নিজেদের প্রায় দেড় বিঘা জলাকারের পুকুরে বানিজ্যিকভাবে মাছচাষ করেছিলাম। রেনু পোনা,খাদ্য ক্রয়সহ এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছি। আশা ছিল আর কিছুদিন পরে মাছ বিক্রির মাধ্যমে লক্ষাধিক টাকা আসবে। কিন্ত সোমবার ভোরে কে বা কারা গ্যাস বড়ি দিয়ে পুকুরের সমস্ত মাছ মেরে দিয়েছে। পুকুরে নেমে গ্যাস বড়ির বোতলও পাওয়া গেছে। কে এমন ক্ষতি করেছে তা আমি দেখিনি। ফলে কারও বিরুদ্ধে আমার অভিযোগও নেই । এখন কি করে ধারদেনা পরিশোধ করবো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। প্রতিবেশি ইকবাল হোসেন জানান, রফি উদ্দীন তাদের গ্রামের মধ্যে একজন পরিশ্রমী ও সৎ মানুষ। এমন সহজ সরল মানুষটির কেউ ক্ষতি করতে পারে এটা ভাবাও যায় না। পুকুরের মাছ দেখে এটা এক ধরনের নৃশংসতা মনে হয়েছে।