বুধবার ● ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » ঐতিহ্যবাহি কাউখালী বাজারের বেহাল দশা : দেখার কেউ নাই
ঐতিহ্যবাহি কাউখালী বাজারের বেহাল দশা : দেখার কেউ নাই
কাউখালী প্রতিনিধি :: পার্বত্য জেলা রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার একমাত্র এতিহ্যবাহী বাজার কাউখালী বাজারের আজ বেহাঁল দশায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷
সূত্র জানায়, ১৯০০ ইং সালে তত্কালীন রাঙামাটি জেলার বাজার ফান্ড প্রশাসক কর্তৃক ২ একর জায়গা নিয়ে কাউখালী উপজেলার এই বাজারটি স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আস্তে আস্তে কোন রকম ভাবে গড়ে উঠতে থাকে৷ তত্কালীন পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে বাজারটি কোন রকম ভাবে মিলত, যেখানে ছিল সামান্য কয়েকটি ছোট ছোট দোকান ঘর কখনো সকাল বেলা কখনো বা বিকাল বেলা ৷ কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় পারিপাশ্বীক অবস্থার প্রেক্ষিতে বাজারটি আস্তে আস্তে জমে উঠতে থাকে ৷ ১৯৭৯ ইং সালে রাঙামাটি বাজার ফান্ড প্রশাসক কর্তৃক ১ম বাজার চৌধুরী নিযোগ দেওয়া হয় তত্কালীন অস্ত্রসহ আত্নসমর্পনকারী জনসংহতি সমিতির সদস্য কুমুদ বিকাস তালুকদার প্রকাশ মেজর রোমেল ৷ তিনি ১৯৮০ ইং সালে অজ্ঞাত কারনে নিহত হলে ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত কোন বাজার চৌধুরী ছিলেননা বলে কাউখালী বাজারটি ছিলেন সম্পুর্ন অভিভাবকহীন ৷ অভিভাবক না থাকায় দীর্ঘ ৫ বছর এতিহ্যবাহি এই কাউখালী বাজারটির উপর দিয়ে বয়ে যায়
অনেক ঝড় ঝন্ডা ৷ পরে ১৯৮৫ সালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ সফিকুল ইসলাম ও চট্টগ্রামের সেনাবাহিনীর জিওসি মেজর জেনারেল মোঃ নুরুদ্দিন খাঁন কর্তৃক পূনরায় রাঙামাটি জেলা বাজার ফান্ড নতুন করে নিয়োগ দেন জনসংহতি সমিতির (তত্কালীন
শান্তি বাহিনীর ) অস্ত্রহস আত্নসমর্পনকারী সদস্য বিমল চন্দ্র চাকমা প্রকাশ
বাজার চৌধুরীকে ৷ সেই থেকে তিনি বাজার চৌধুরীর দায়িত্ব পালন করে
আসছেন বলে জানান ৷ অপর দিকে বাজার তার নিজস্ব গতিতে ঠিক ঠাক মতো চললেও বাজারের বেশ কিছু জায়গা কতিপয় ব্যাক্তির দ্বারা দখল হয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠে ৷ বাজারের নেই কোন নির্দিষ্ট গণশৌচাগার,নেই কোন টিউব ওয়েল, নেই বাজার হতে নদীতে আসা যাওয়ার নির্দিষ্ট কোন রাস্তা ৷ নেই কোন নিয়ম কানুন৷ নেই কোন গরু ছাগল বিক্রির নির্দিষ্ট স্থান ৷ বাজারে নির্ধারীত প্লট বরাদ্ব থাকলেও বরাদ্বকৃত প্লটের বাহিরে অধিক জায়গা দখল করে গড়ে তুলেছেন বসত বাড়িঘর ৷ বাজারের যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা আবজর্না যেন র্দুগন্ধের বাগান ৷ সাপ্তাহিক হাটের দিন যেন বাজারে আসা মানুষজনের দুর্ভোগের শেষ নেই, নির্দিষ্ট কয়েকটি বাজার শেড থাকলেও সেখানে নিধারিত ভাসমান দোকান বসলে বাকি ভাসমান অস্থায়ী বিভিন্ন পন্য সামগ্রীর ছোট ছোট দোকান গুলি বসে পড়ে বাজারের মধ্যে জন চলাচলের রাস্তার উপর যার ফলে বাজারের দিন সৃষ্টি হয় বিশাল জামেলা, সেই সাথে বাজারের দিন আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে বাজারের মধ্যে ঢুকে পড়ে বিভিন্ন চাদের গাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ,যার ফলে বাড়ে বিশৃংখলা ৷
বর্তমান বাজার চৌধুরী বিমল চন্দ্র চাকমা সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিকে খুবই আক্ষেপের সহিত বলেন, আমি বাজার চৌধুরীর দায়িত্ব গ্রহন করার পর বাজারের নিয়ম নীতি (কোড) অমান্য করে কিছু কতিপয় লোক বাজারের জায়গা বিভিন্ন লোকজন দ্বারা অবৈধভাবে দখল করে মার্কেট নির্মান, দোকান নির্মান করে ভোগদখল করে চলছেন সেই সাথে সরকারকে বঞ্চিত করে চলছেন রাজস্ব আয় এ ব্যাপারে আমি রাঙামাটি জেলা বাজার ফান্ড প্রশাসক বরাবরে বেশ কয়েকবার লিখিত ভাবে জানিয়েও কোন সুদুত্বর পাইনি বলে জানান ৷ অন্য দিকে বর্তমান বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক স্বপন কান্তি সাহা বলেন বাজার কমিটি থাকলেও কেউই মানছেনা বাজারের নিয়ম কানুন(কোড)৷ আমরা বর্তমান কমিটি বেশ কয়েকবার বর্তমান বাজার চৌধুরীকে নিয়ে বাজারের অনিয়ম গুলি নিরসন করার জন্য চেষ্ঠা করে ব্যার্থ হয়েছি ৷ বাজারের কিছু কতিপয় লোক সরকারী আইন কানুনকে বৃদ্বাংগুলি দেখিয়ে মনগড়া সব কাজ করে বেড়ান ৷ আমরা প্রশাসনের উর্দ্বোতন পক্ষকে বাজারের অনিয়ম অব্যাবস্থা পনা সম্বন্ধে জানাবো ৷ যাতে আমাদের কাউখালী উপজেলার এই ঐতিহ্যবাহী বাজারের সুনাম সুন্দর্য্য যাতে নষ্ট না হয় পাশাপশি যারা বাজার কোড অমান্য করে অবৈধভাবে দোকান নির্মান (পাকা) চলাচলের রাস্তা দখল করেছেন সে ব্যাপারে আমরা বাজার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে এবং এই এলাকার সাধারন নাগরিক হিসাবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা এলাকার সাধারন জনগণ।