শিরোনাম:
●   সামাজিক সংগঠন ‘ইগনাইট মিরসরাই’র আত্মপ্রকাশ ●   আত্রাইয়ে জাতীয় যুব দিবস পালন ●   অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সকল উসকানির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে ●   রাউজানে আগুনে ৫ দোকান ভস্মিভূত ●   ঘোড়াঘাটে দৈনিক সকালের বাণীর ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ●   রাঙামাটিতে জাতীয় যুব দিবস পালিত ●   ছেলেকে ফিরে পেতে এক মায়ের আকুতি ●   কাউখালীতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য অপহরণ ●   ঈশ্বরগঞ্জে জাতীয় যুব দিবস পালিত ●   মিরসরাইয়ের বিএনপি নেতা হত্যার মামলায় ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ গ্রেফতার ●   আত্রাইয়ে নবাগত ইউএনও‘র যোগদান ●   খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ’র সড়ক অবরোধ পালিত ●   মিরসরাইয়ের ধুমে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু ●   কুষ্টিয়াতে আাধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা ●   ঈশ্বরগঞ্জে জিয়ারুল হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার-২ ●   নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ●   সবার জন্য ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল নিশ্চিত করতে হবে ●   ঘোড়াঘাটে জমিজমা বিরোধে মা ছেলেকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা ●   ঈশ্বরগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত-১ : আহত ২ ●   তারল্য সংকটে ন্যাশনাল ব্যাংক, সিলেটের শিবগঞ্জে ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের তালা ●   খাগড়াছড়িতে তিন ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যা : অবরোধের ডাক ●   বারইয়ারহাট থেকে বিদেশি মদসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার ●   গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানেরও সংস্কার জরুরী ●   তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় উন্নয়ন কাজে বন্ধ্যাত্ব বিরাজ করছে ●   রাঙামাটিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অবহিতকরণ বিষয়ক সেমিনার ●   ঈশ্বরগঞ্জে উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগের প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ●   উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সাথে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ●   নবীগঞ্জে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, উত্তপ্ত শহিদ কিবরিয়া চত্বর,মহাসড়ক অবরোধ ●   কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজের ৩৪ ঘণ্টা পর এএসআই সদরুলের মরদেহ উদ্ধার ●   আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় রামগড়ে এসআই আহত
রাঙামাটি, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বৃহস্পতিবার ● ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » করোনার স্থবিরতার পর রাঙামাটিতে রাজনীতি কোন পথে
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » করোনার স্থবিরতার পর রাঙামাটিতে রাজনীতি কোন পথে
বৃহস্পতিবার ● ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

করোনার স্থবিরতার পর রাঙামাটিতে রাজনীতি কোন পথে

ছবি : রাঙামাটি জেলা ম্যাপনির্মল বড়ুয়া মিলন :: সমতল এবং পার্বত্য তিন জেলা রাঙামাটি জেলার রাজনীতিতে পার্থক্য রয়েছে ব্যাপক। তার মধ্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বেশ কিছু ভিন্নতাও রয়েছে।
এ জেলায় জাতীয় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামিক আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি (এরশাদ), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাসদ (মার্কবাদি) সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম রয়েছে।
এ জেলায় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-মূল), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল), সংস্কারপন্থি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-এমএন লারমা), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট গণতান্ত্রিক (ইউপিডিএফ- গণতান্ত্রিক), বাঙ্গালী গণ পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমধিকার আন্দোলন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসি বাঙ্গালী সংগঠন, পার্বত্য নাগরিক কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম রয়েছে। এ সব আঞ্চলিক সংগঠনের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-মূল), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল), সংস্কারপন্থি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-এমএন লারমা) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট গণতান্ত্রিক (ইউপিডিএফ- গণতান্ত্রিক) স্বসস্ত্র গ্রুপ বা অস্ত্রধারী সদস্য আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাঙামাটি জেলায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মীকে হারানোর পরও করোনার স্থবিরতায় অনেকটাই সুবিধা জনক অবস্থায় আছে।
এ জেলায় আওয়ামীলীগ এবং দলটির অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী গুলিতে মারা গেছে। যদিও এসব হত্যার দায়ভার কেউ স্বীকার করেনি।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাঙামাটি-২৯৯ আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার সবচেয়ে ভাল অবস্থানে রয়েছেন।
আওয়ামীলীগ ও দলটির সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি ত্রান সহায়তার পাশাপাশি নিজেদের অর্থে করোনা কালিন কর্মহীনদের মধ্যে ত্রান সহায়তা বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে।
করোনা কালিন ত্রাণ বিতরণ একাধিক অনুষ্ঠানে রাঙামাটি-২৯৯ আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার আঞ্চলিক দলের মধ্যে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ, অবৈধ উদ্ধার ও চাঁদাবাজি বন্ধের কথা বার বার বলেছেন কিন্তু উনার এই দাবি মাঠ পর্যায়ে তেমন কোন গুরুত্ব পাচ্ছে না বা প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়নি।
এদিকে জেলা আওয়ামীলীগের স্থানীয় পুরাতন ত্যাগী নেতা-কর্মীরা অনেকটাই হতাশ, এসব ত্যাগী নেতা-কর্মীরা বলছেন, রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিটা ক্ষেত্রে ৬টি পরিবারের লোকজন এবং বহিরাগত, হাইব্রিডসহ অনুপ্রবেশকারী বা আওয়ামীলীগে নতুন যোগদানকারীরা গুরুত্ব পাচ্ছে বেশী।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা বহিরাগত, অনুপ্রবেশকারী বা আওয়ামীলীগে নতুন যোগদানকারীদের তালিকা প্রনয়ন করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার ঘোষণা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগে বড় ধরনের লবিং গ্রুপিং না থাকলেও সাংগঠনিক পদ-পদবী এবং ক্ষমতা নিয়ে ৬ পরিবারের লোকজন ২ ভাগে বিভক্তির বিষয়টা অনেকটাই পরিস্কার।
এ ক্ষেত্রে দু’গ্রুপই সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদারের পক্ষে কথা বলেন।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা হাজী কামাল উদ্দিন ও বর্তমান সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বরের সমর্থকদের মধ্যে এবং দলটির অঙ্গ সংগঠন বা সহযোগি সংগঠনের কোন্দল লেগেই আছে। আগষ্ট মাসের শেষ সপ্তাহে কৃষক লীগের একজন অনুপ্রবেশকারীকে বহিস্কার করেছে। ডিসেম্বরে রাঙামাটি পৌরসভার নির্বাচন এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পরিচালনা পরিষদ নতুন ভাবে গঠনের উদ্যোগে সক্রিয় উপজেলা ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ত্যাগী নেতা-কর্মীদের দলে আগের মত মূল্যেয়ন নাই কারণ প্রতিটি নির্বাচনে আগে দলের নেতা-কর্মীরা ভোটের সময় দলীয় প্রার্থীর জন্য মাঠে কাজ করা লাগতো এখন তো দলীয় নেমিনেশন পেলেই এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান এবং কাউন্সিলর বিনা ভোটে জয়ী হয়ে যান। তাছাড়া বহিরাগত, অনুপ্রবেশকারী বা আওয়ামীলীগে নতুন যোগদানকারীরা জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত সক্রিয়। এরা সকল উন্নয়ন মুলক কাজের ঠিকাদারী এখন হাইব্রিডদের হাতে চলে গেছে। তিনি হতাশার সুরে বলেন “রাজনীতি এখন চলে গেছে ব্যবসায়ীদের হাতে”। ছাত্র জীবন থেকে আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে জনগণের সেবার জন্য রাজনীতি করে এসেছি কিন্তু হাইব্রিড বা ব্যবসায়ীরা দলের নাম ব্যবহার করে টাকার পাহাড় গড়ে তুলছেন। মিটিংয়ে গেলে দেখি কম বয়সী ছেলেরা চেয়ার নিয়ে সামনের সারিতে বসে থাকে আমরা পিছনে বসে থাকতে হয় এজন্য অনেক সময়ে জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান বা প্রোগ্রাম ছাড়া মিটিংয়ে যাই না। এ নেতা আরো বলে “ক্ষমতা বলে কিছুই নাই” সব হচ্ছে দায়িত্ব পালন করা। তাছাড়া মাঠে শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকলে ক্ষমতাসীন দলে শৃঙ্খলা থাকেনা বলেও জানান এ ত্যাগী নেতা।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জমির উদ্দিন বলেন, রাঙামাটিতে জননেতা দীপংকর তালুকদার এমপি’র নেতৃত্বে দল ঐক্যবদ্ধ, বাহির থেকে হয়তো অনেকেই অনেক কথা বলেন, আমাদের দলে কোন কোন্দল নাই, হয়তো দ্বিমত থাকতে পারে।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগে বা দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনে বহিরাগত, অনুপ্রবেশকারী বা আওয়ামীলীগে নতুন যোগদানকারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে যারা আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন তাঁরা রাজনীতি করুক, কোন সমস্যা নাই, তবে কেউ যেন বিশৃংখলতা করে দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে না পারে আমাদের জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ সজাগ রয়েছে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নতুন পরিচালনা পরিষদ গঠনের বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আমাদের দলীয় ফোরামে এধরনের কোন বিষয়ে আলোচনা হয়নি।
রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচন ও ইউপি নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ হচ্ছে অনেক বড় একটি রাজনৈতিক দল, এ দলে অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মীরা রয়েছে একাধিক প্রার্থী থাকতে পারে, কিন্তু দলীয় ফোরামে আলোচনা করে যে কোন একজনের অধিক প্রার্থী থাকবেনা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি রাঙামাটি জেলা কমিটির বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে গুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে হারিয়েছে। বিএনপির জেলা, থানা ও পৌরসভাসহ সকল সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নিজেদের অর্থে করোনা কালিন কর্মহীনদের মধ্যে ত্রান সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
শত-শত মামলার কারণে অনেক বিএনপির নেতা-কর্মী জেলে এবং পালিয়ে বেড়েচ্ছে। গায়েবি মামলার কারণে দলীয় কার্যালয় ছাড়া রাঙামাটি জেলার বিএনপির কর্মসূচি সীমিত রয়েছে।
রাঙামাটি জেলার বিএনপির সাংগঠনিক ভিত জমবুত। র্দীঘ দিন ধরে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতার বাইরে থাকা এ দলটি বিভিন্ন কারণে বেশ কয়েক ভাগে ভিভক্ত রয়েছে গ্রুপিং-লবিং। পরিক্ষীত নেতা বলে পরিচিত বর্তমান জেলা বিএনপির সভাপতি হাজী শাহ্ আলম এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ দেখা গেলেও এ জেলায় এ দলে এডভোকেট দীপেন দেওয়ান, সাবেক উপ-মন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান ও কর্ণেল (অবঃ) মনিষ দেওয়ানের সমর্থক বা গ্রুপ রয়েছে। জেলায় বিএনপিতে ত্যাগী নেতা-কর্মীরা উপদলে বিভক্ত এটা পরিস্কার। বেশ কজন বিএনপির পুরাতন ত্যাগী নেতা-কর্মীরা ক্ষোভে এবং মামলার ভয়ে দল পরির্বতন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগে যোগদান করেছে।
সর্বশেষ কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে রাঙামাটি জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের বৈঠক হয়েছে বলে জানা গেছে। গত মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর-২০২০) রাতে কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যালয় থেকে স্কাইপের মাধ্যমে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মার্চ মাসে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও এপ্রিলের ২০ তারিখের মধ্যে রাঙামাটি জেলা বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। স্কাইপে বৈঠকে রাঙাামাটি উপজেলা ও পৌর বিএনপির ১২টি ইউনিটের সভাপতি ও সম্পাদকগন উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
কিন্তু সেই বৈঠকে রাঙামাটি জেলা বিএনপির একটি অংশকে বাদ দিয়ে তারেক রহমান এই স্কাইপ বৈঠক করায় স্থানীয় নেতাদের মধ্যে বিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বৈঠকে জেলার কাউন্সিলের বিষয়ে সিদ্ধান্তে ও তাকে কিছু অবগত না করায় অপমানবোধ করছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট দীপেন দেওয়ান।
জানা যায়, ওয়ান ইলেভেনের সময় চাঁদপুর জেলা যুগ্ম জজের চলতি দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে রাঙামাটি ফিরে বিএনপিতে যোগ দেন এডভোকেট দীপেন দেওয়ান। দলে যোগ দিয়ে তৃণমূল নেতাদের সুসংগঠিত করে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছেন, বর্তমানে দলের কেন্দ্রীয় সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তার মতো একজন নেতার মতামত না নিয়ে জেলা বিএনপি নিয়ে স্কাইপে বৈঠক করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি।
এদিকে এডভোকেট দীপেন দেওয়ান গত বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর-২০২০) নয়াপল্টনে প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে দফতরের দায়িত্বে থাকা রিজভী আহমেদের সাথে দেখা করে দলীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ চেয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, যেভাবে কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে এটা আমাদের জন্য অপমানজনক। এ সিদ্ধান্ত বাতিল না হলে আমার আর এ দল করা হবে না, আমিসহ জেলার আরও অনেক নেতাকর্মীও পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। তারা আশা করছেন সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করে দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক জেলার কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
কেন্দ্রীয় বিএনপিতে দায়িত্বে থাকা এডভোকেট দীপেন দেওয়ান জানান, ২০০৭ সালে তারেক রহমানের অনুরোধে আমি সরকারি চাকুরি ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দিই, এরপর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি, দলের দুর্দিনে দলের সাথে থেকে রাজনীতি করে আসছি, এসময় অনেক ঘাত প্রতিঘাত পার করতে হয়েছে আমাকে। আমি কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলার সাবেক সভাপতি স্কাইপ বৈঠকে আমার অংশগ্রহণ না থাকার কথা নয়। কিন্তু রাঙামাটি জেলা বিএনপির মধ্যে একটি মহল আমাকে না জানিয়ে ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা তথ্য দিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক করে। যা কখনো আমি আশা করি না।
বিএনপি ছাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এডভোকেট দীপেন দেওয়ান বলেন, দলের সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব ও দফতরের দায়িত্বে থাকা রিজভী ভাইয়ের সাথে দেখা করেছি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছি। উনি আশ্বস্থ করেছেন, আমাদের কথা বলিয়ে দেবেন। আমি আশা করি তাকে বিষয়টা বুঝিয়ে বললে তিনি বুঝবেন। তিনি হয়তো কিছুটা অন্ধকারে আছেন, তাই কথা বলতে চেয়েছি। আর যদি এভাবে চলতে থাকে, দল যদি আমাদের গুরুত্ব না দেয়, তাহলে দল করার বিষয়ে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে।
এবিষয়টি নিয়ে রাঙামাটি জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি হাজী শাহ আলম বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাঙামাটি জেলা, উপজেলা এবং পৌর বিএনপির সভাপতি, সাধারন সম্পাদকদের সাথে স্কাইপে বৈঠক করেছেন। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতা রাখার সুযোগ ছিলোনা, কারন এডভোকেট দীপেন দেওয়ান তো কেন্দ্রীয় নেতা, তিনি কেন্দ্রে থাকবেন।
হাজী শাহ আলম আরো জানান, ২০১৫ সালে জেলা কাউন্সিল হলেও ২০১৬ সালে অনুমোদন পায়, আমাদের কমিটির মেয়াদ এক বছর আগেই শেষ হয়। কাউন্সিল সম্পন্ন করতেই আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে স্কাইপে বৈঠক করি। ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে জেলা বিএনপির বৈঠকে উপজেলাগুলোর সম্ভাব্য কাউন্সিলের তারিখ চুড়ান্ত হবে। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে জেলা বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান সভাপতি হাজী শাহ আলম।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে এডভোকেট দীপেন দেওয়ান বিএনপিতে যোগ দেয়ার পর ২০০৯ সালে সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন এডভোকেট দীপেন দেওয়ান, সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন হাজী শাহ আলম। ২০১৫ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল থেকে নিজের সমর্থকদের নিয়ে বের হয়ে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবিতে নির্বাচন বর্জন করেন এডভোকেট দীপেন দেওয়ান। ওই কমিটিতে সভাপতি হাজী শাহ আলম ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন দীপন তালুকদার দীপু।
রাঙামাটিতে ২০১৫ সালে কমিটি গঠনের পর থেকে বিএনপির দুই গ্রুপ আলাদা-আলাদা ভাবে দলীয় কর্মসুচী পালন করে আসছে।
জামায়েতে ইসলাম বাংলাদেশ রাঙামাটি জেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে গুত্বপূর্ণ কোন নেতা-কর্মীকে হারানো তথ্য পাওয়া যায়নি।
জামাত রাঙামাটিতে মামলা, হামলায় ও নিজেদের মধ্যে দলীয় কোন্দলের কারণে আগের অস্থিত¦ হারিয়ে ফেলেছে, এ দলটি তাদের দলীয় কার্যালয়ে সীমিত পরিসরে দলীয় কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
ইসলামিক আন্দোলন এ দলটি রাঙামাটি-২৯৯ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের প্রার্থী দেয়ার পর কিছু -কিছু দলীয় কর্মসূচি লক্ষ্য করা গেলেও বর্তমানে এ দলটির তেমন কোন কার্যক্রম দেখা যাচ্ছেনা।
জাতীয় পার্টি (এরশাদ) রাঙামাটি জেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে গুত্বপূর্ণ কোন নেতা-কর্মীকে হারানো তথ্য পাওয়া যায়নি। রাঙামাটিতে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) লঙ্গল প্রতীক নিয়ে রাঙামাটি-২৯৯ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের প্রার্থী দেয়ার পর সংদস সদস্য প্রার্থী এডভোকেট পারভেজ গ্রুপ এবং সাবেক জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হারুন মাতব্বর গ্রুপের মধ্যে কোন্দল চরম পর্যায়ে পৌঁছে। করোনা পরিস্থতির মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের মৃত্য বার্ষিকীও পালন করেছে আলাদা ভাবে।
জেলায় জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি হারুন মাতব্বরের একটি কমিটি (পুরাতন কমিটি) এবং এডভোকেট পারভেজ (আহবয়ক কমিটি বা সন্মেলন প্রস্ততি কমিটি) এর একটি কমিটি রয়েছে।
তবে যে কোন সময়ের চেয়ে এডভোকেট পারভেজ এর নেত্বেতে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) রাঙামাটি জেলায় সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন এডভোকেট পারভেজ গ্রুপের জেলার জাতীয় পার্টির কমিটির নেতা চন্দন বড়ুয়া।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি জেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে এ বাম দলটির গুত্বপূর্ণ নেতা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তবে কাউকে হারায়নি।
রাঙামাটিতে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি কোদাল প্রতীক নিয়ে রাঙামাটি-২৯৯ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জুঁই চাকমাকে প্রার্থী দেয়ার পর থেকে মুলতঃ রাঙামাটিতে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যক্রম লক্ষ্য করা গেছে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের মধ্যে আর্থিক সংকটের কারণে কেবলমাত্র তাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা পরিচালনা করেছে।
তবে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের মধ্যে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি কোদাল প্রতীক নিয়ে রাঙামাটি-২৯৯ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী জুঁই চাকমার নেত্বতে গণতদারকি কমিটি গঠন করেছে রাঙামাটি জেলায়।
করোনাকালিন রাঙামাটি জেলায় গণতদারকি কমিটি গঠন করায় অনেক কর্মহীন মানুষের উপকার হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যক্রম জেলায় সীমিত কেন ? জানতে চাইলে রাঙামাটি-২৯৯ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহনকারী সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী রাঙামাটি জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় সংগঠক জুঁই চাকমা বলেন, আমাদের পার্টির জেলা কমিটির পক্ষ থেকে কোন কর্মসূচি হাতে নিলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন থেকে আমাদের প্রোগ্রাম করার অনুমতি দেওয়া হয়না। কেন অনুমতি দেয়া হলো না তার ব্যাখ্যাও জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন দেন না। আমাদের পার্টি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধীত একটি রাজনৈতিক দল। এ জেলার জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সৌজন্যতা পর্যন্ত দেখাতে কার্পণ্য বোধ করেন। করোনাকালিন বা তার আগে থেকে সরকারের অপকর্মের কথা যারা বলেছেন তাদের বিরুদ্ধে একটি মহল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, বাড়ি-ঘরে হামলা, ইয়াবা পকেটে দিয়ে মামলা, ক্রস ফায়ার, না হয় গুম হতে হচ্ছে।
এত কিছুর পরও আমরা করোনাকালিন নিজেদের জীবনের ঝঁকি নিয়ে সাধারন জনগণের কথা মাথায় রেখে অনলাইনে সভা করেছি এবং স্থানীয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, করোনাকালিন রাঙামাটি জেলার আইন শৃঙ্খলা প্রশ্নবিদ্ধ, ক্ষমতাসীন দলের ভুমিকা এখনো রহ্যজনক।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মধ্যে দলীয় কোন কোন্দল আছে কি-না জানতে চাইলে এ বাম নেতা জুঁই চাকমা বলেন, আমরা নীতি আদর্শের রাজনীতি করি, আমরা দল বা পার্টি হিসাবে ছোট হতে পারি আমাদের মন-মানুষিকতা ছোট নয়। যাদের হালুয়া রুটি আছে, তাদের মধ্যে গ্রুপিং-লবিং কিংবা উপদল বা কোন্দল দেখা দেয়, আমরা সাধারন খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের জন্য রাজনীতি করি নিজেদের আখের গোছাতে নয়। আমি এবং আমার পার্টির নেতা-কর্মীরা রাজনীতির মাধ্যে জনসেবা করি, রাজনীতির নামে আমরা জনগণের রাষ্ট্রিয় সম্পদ লুট-পাট করি না।
বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টি (সিপিবি) রাঙামাটি জেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে গুত্বপূর্ণ কোন নেতা-কর্মীকে হারানো তথ্য পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, তারা তাদের দলীয় পরিসরে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
বাসদ (মার্কবাদি) পার্টি রাঙামাটি জেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে গুত্বপূর্ণ কোন নেতা-কর্মীকে হারানো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বোধিসত্ব চাকমাকে হারানোর পর জেলায় তাদের সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম নামমাত্র রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-মূল) রাঙামাটি জেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে গুত্বপূর্ণ কোন নেতা-কর্মীকে হারানো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-মূল) রাঙামাটি জেলায় করোনাকালিন কোন ধরনের ত্রান কার্যক্রম পরিচালনা করিতে দেখা যায়নি। এমন কি এ আঞ্চলিক দলটির পক্ষ থেকে কোন ধরনের বিবৃতি পর্যন্ত গণমাধ্যমে প্রেরণ করেনি।
রাঙামাটিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ, জাতীয় পর্যায়ের বিরোধী দল বিএনপি, কিন্তু এ জেলায় মুলতঃ বিরোধী দল হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-মূল)। করোনাকালিন এ আঞ্চলিক দলটি একেবারেই নিরব, দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা রয়েছেন শতভাগ হোম কোয়ারেন্টিনে।
রাঙামাটি শহরের দলের সক্রিয় নেতা-কর্মীরা কোয়ারেন্টিন পালন করছে জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যান্ত এলাকায় গিয়ে, জানা গেছে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করে সংগ্রামী জীবণ যাপন করেছে।
করোনাকালিন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-মূল) এর নিরব থাকার কারণটি রাজনৈতিক কৌশল অথবা দলটির বন্ধু সংগঠন ক্ষমতাসীন দলের সাথে বুঝাপড়ার অংশ হতে পারে বলে স্থানীয় বিজ্ঞমহল ধারনা করছেন।
কিন্তু এ আঞ্চলিক দলটির নিরবতা এবং বিগত ৯ মাসের মধ্যে আগের মতো কোন কর্মসূচি না দেয়াতে রিতিমত স্থানীয়দের ভাবিয়ে তুলেছে! পাহাড়ে রাজনীতি কোন পথে যাচ্ছে ?
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-মূল) দলটির একজন কেন্দ্রীয় নেতা তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, মামলা, হামলা, গুম, অপহরণ, ধর্ষণ, ক্রাসফায়ার,ক্ষমতাসীন দল ও তাদের প্রশাসন দ্বারা সৃষ্টিকৃত সন্ত্রাসীদের কারণে পিসিজেএসএস-মূল এর নেতা-কর্মীরা সরে আছেন। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে যে হারে মিডিয়া সন্ত্রাস চলছে পিসিজেএসএস-মূল তা গভিরভাবে পর্যাবেক্ষণ করছে, তাদের দলীয় কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে চলছে বলে তিনি দাবি করেন।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল) রাঙামাটি জেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে গুত্বপূর্ণ কোন নেতা-কর্মীকে হারানো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল) রাঙামাটি জেলার সংগঠক শান্তিদেব চাকমা জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসনের মদদে সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত ইউপিডিএফ নেতা-কর্মীদের ওপর গায়েবী মামলা, অস্ত্র দ্বারা হামলা, গুম, অপহরণ, ক্রাসফায়ার করে হত্যা, ইউপিডিএফ নারী নেতা-কর্মীদের ওপর ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা ঘটছে।
তার দাবি সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা উপজেলা পর্যায়ের জুনিয়র নেতাদের দিয়ে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট গণতান্ত্রিক (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) নামের সংগঠন তৈরী করে আমাদের জুম্মদের ভিতর বিভেদ সৃষ্টি করেছে, এরা তো লোভি, লোভে পড়ে নিজস্ব জণগোষ্ঠীর মানুষকে গুলি করে মারছে, এদের ভুল একদিন, না একদিন এরা বুঝতে পারিবে, একদিন হয়তো তাদের মধ্যে সচেতনতা ফিরে আসবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-মূল) এবং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল) এর মধ্যে আগের মত লড়াইয়ের সংবাদ শোনা যায়না কেন ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের উভয় সংগঠনের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে, যার-যার এলাকায় সে সাংগঠনিক কাজ করবে। তিনি এবং তার সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কেমন আছেন জানতে চাইলে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল) কেন্দ্রীয় নেতা ও রাঙামাটি জেলার সংগঠক শান্তিদেব চাকমা বলেন “আমরা খুব কষ্টে আছি”।
সংস্কারপন্থি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-এমএন লারমা), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট গণতান্ত্রিক (ইউপিডিএফ- গণতান্ত্রিক), বাঙ্গালী গণ পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমধিকার আন্দোলন ও পার্বত্য নাগরিক কমিটি রাঙামাটি জেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে গুত্বপূর্ণ কোন নেতা-কর্মীকে হারানো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এসব সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম এ জেলায় সীমিত পরিসরে চলছে বা রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসি বাঙ্গালী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইউছুফ আলম রাঙামাটিতে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস চলাকালিন অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসি বাঙ্গালী সংগঠনের কার্যক্রম এখন চোখে পড়ার মত বা উল্লেখযোগ্য তেমন নাই।
এদিকে নবগঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙামাটি জেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে গুত্বপূর্ণ কোন নেতা-কর্মীকে হারানো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে ইদানিং রাঙামাটি জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক কার্যক্রম তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক দল সমুহের নিজেদের মধ্যে কোন্দল গ্রুপিং-লবিং প্রকাশ্যে বা গোপনে লেগেই আছে, জাতীয় রাজনৈতিক দল সমুহের মধ্যে দুরত্ব বেড়েছে এবং আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল সমুহের মধ্যে দুরত্ব বেড়েছে সর্বশেষ ক্ষমতাসীন দলের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদনকারী আঞ্চলিক দলের সাথে দুরত্ব বেড়েছে। এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষ আর বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে দুরত্ব বেড়েছে রাঙামাটি করোনাকালীন স্থবিরতার পর পার্বত্য জেলায় রাজনীতি সংকট পরিস্কার, দেখার বিষয় হচ্ছে পাহাড়ে রাজনীতি কোন পথে ?





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)