শুক্রবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে তরুণী গণধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
বিশ্বনাথে তরুণী গণধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের ইসবপুর গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের পিতৃহারা তরুণী গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রাহেল মিয়া (৩৬) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে স্থানীয় ভূরকী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ইসবপুর গ্রামের আবদুল খালিকের পুত্র।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আলোচিত ওই গণধর্ষণের ঘটনায় মূলহোতা একই গ্রামের মন্নান মিয়ার পুত্র আনোয়ার মিয়াকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিতে গণধর্ষণে রাহেলও জড়িত বলে জানায় আনোয়ার। সেই প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া রাহেলকে আগামীকাল (শুক্রবার) সিলেটের আদালতে প্রেরণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের ইসবপুর গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের পিতৃহারা তরুণী গত ১ জুলাই রাতে গণধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার ১২ দিন পর গত ১৩ জুলাই সোমবার বিশ্বনাথ থানায় একই গ্রামের মন্নান মিয়ার পুত্র আনোয়ার মিয়া (৪০), রিয়াছদ আলীর পুত্র সুজন মিয়া (৩০) ও মৃত ফজর আলীর পুত্র শায়েস্তাবুর মিয়ার (৩০) নাম উল্লেখ করে এবং দু’জনকে অজ্ঞাত আসামী রেখে মামলা (নং-১১) দায়ের করে ভিকটিম তরুণী। ১৬ জুলাই রাতে ঘটনার মূলহোতা আনোয়ার মিয়াকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
বিশ্বনাথে স্বামীর বাড়ি থেকে গৃহবধু নিখোঁজ
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে হেপী বেগম (২২) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী গতকাল (১৬ সেপ্টেম্বর) বুধবার বিকেল থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের সরুয়ালা গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী আবদুল হামিদের স্ত্রী। এ ঘটনায় তার ভাসুর ফরহাত আহমদ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্বনাথ থানায় সাধারণ ডায়েরী (নং-৭২৫) করেছেন।
ডায়েরীতে উল্লেখ করা হয়, আবদুল হামিদ সৌদি আরবে থাকায় তার বৃদ্ধা মাকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করে আসছেন স্ত্রী হেপী বেগম। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান হেপী। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান মেলেনি।
হেপী বেগমের ভাসুর ফরহাত আহমদ সাধারণ ডায়েরী করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘কেউ তার সন্ধান পেলে বিশ্বনাথ থানা পুলিশকে অবগত করার অনুরোধ করছি।’