শুক্রবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » নওগাঁ » ইউপি থেকে সংসদের পথে হেলাল
ইউপি থেকে সংসদের পথে হেলাল
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: আগামী ১৭অক্টোবর উপ-নির্বাচন হতে যাচ্ছে নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে। উপ-নির্বাচনে ৩৩জন মনোনয়ন প্রত্যাশীকে পরাজিত করে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন হেলাল। তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন ও রাণীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। ২৭ জুলাই ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ আসনের এমপি ইসরাফিল আলম মারা গেলে আসনটি শূণ্য ঘোষণা করা হয়।
জানা গেছে, ১৯৬৪সালের ১২জুলাই আওয়ামীলীগ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন আনোয়ার হোসেন হেলাল। তার প্রথম পরিচয় তিনি একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এরপর একজন রাজনীতিবিদ। তার বাবা মরহুম আজিম উদ্দীন সরদার ১৯৭৫সালে উপজেলার ১নং খট্টেশ্বর রাণীনগর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার এবং ১৯৯১সালে ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। আওয়ামীলীগের দু:সময়ে এই পরিবারটিই উপজেলা আওয়ামীলীগের বাতিঘর হিসেবে ভ’মিকা পালন করেছে। সন্ত্রাসী দল সর্বহারা ২০০০সালের ১৯জুন তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম নজুকে দিনে-দুপুরে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করে। নিহত শহীদ নজরুল ইসলাম তৎকালীন সময়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। যখন উপজেলাতে ভয়ে কেউ আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেনি তখন এই পরিবারের সদস্যরা রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছে।
আনোয়ার হোসেন হেলাল জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রথম ২০০৩সালে ১নং খট্টেশ্বর রাণীনগর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৯সালে দলীয় সমর্থন নিয়ে রাণীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে বিজয়ী হন। ইউনিয়ন এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন তৎকালীন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আল ফারুক জেমস।
২০১৪সালে আবারও নৌকা প্রতীক নিয়ে রাণীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে তৎকালীন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আল ফারুক জেমসের কাছে পরাজিত হন। ২০১৯ সালে রাণীনগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে দলীয় সমর্থন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ গ্রহণ করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন তিনি। এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন একডালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিএ। হেলাল তার রাজনৈতিক জীবনে একবার ইউপি চেয়ারম্যান এবং দুবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৪সাল থেকে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন।
সচেতন মহল ও সাধারন মানুষদের দাবী এই অঞ্চলের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে নৌকার কোন বিকল্প নেই। সরকার দলীয় সাংসদ ছাড়া সার্বিক উন্নয়ন একেবারেই অসম্ভব। তাই ভোট দিয়ে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। এছাড়া হেলাল তৃনমূল পর্যায়ের একজন ত্যাগী নেতা। সাধারন মানুষদের ভালো-মন্দ তিনি খুব ভালো করেই জানেন। তাই আগামী উপ-নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন যোগ্য ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত করেছেন। এছাড়া সুন্দর, আনন্দমুখর, শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠানের সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছে এই অঞ্চলের সকল শ্রেণিপেশার ভোটাররা।
আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি আমার রাজনীতির ক্যারিয়ার বিবেচনা করে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। আমার প্রতি তিনি আস্থা রেখেছেন। নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এ আসনটি তাকে উপহার দেবো ইনশাল্লাহ। কারণ আমি এই অঞ্চলের রাস্তা-ঘাটের ধুলা নিয়ে খেলা করে বড় হয়েছি। শুধু রাণীনগর নয় আত্রাই উপজেলার প্রতিটি মানুষ আমাকে ও আমার পরিবারকে চেনে এবং জানে। তাই আমার বিশ্বাস দেশনেত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে সবাই আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। আর আমি এমপি নির্বাচিত হলে এক সময়ের ‘বাংলা ভাই’ নামে পরিচিত জেএমবি ও সর্বহারা নামক সন্ত্রাসী বাহিনী আবার যেন মাথা চাড়া দিতে না পারে এবং এলাকার মানুষ যেন শান্তিতে থাকতে পারে সেই শান্তির সুবাতাস ধরে রাখতে যা যা করা প্রয়োজন আমি সরকারের সহায়তা নিয়ে তাই করবো।