রবিবার ● ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে নুরুল খুনের ঘটনা তদন্তে পিবিআই`র ধীরগতি
বিশ্বনাথে নুরুল খুনের ঘটনা তদন্তে পিবিআই`র ধীরগতি
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সিরাজপুর গ্রামে মাদ্রাসা ছাত্র নুরুল আমীন হত্যা মামলাটি তদন্তে পিবিআই`র ধীরগতির অভিযোগ করেছেন মামলার বাদি নিহতের ভাই মঞ্জুরুল আমীন।
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় লজিং বাড়িতে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিলেন মাদ্রাসাছাত্র হাফিজ নুরুল আমীন ওরফে লাইস মিয়া। সে বিশ্বনাথ কামিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী ও পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসী গ্রামের মৃত সজ্জাদ আলীর ছেলে।
মামলার বাদি মঞ্জুরুল আমীন বলেন, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখে মামলার তদন্তকারী অফিসার আওলাদ হোসেন আমাকে ও আমার বড় ভাই রুহুল আমিন রুয়েলকে ফোন করে বলেন সকাল নয়টা থেকে দশটার ভিতরে সিরাজপুর থাকার জন্য,তিনি আমাদের বলেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশ সুপার আসবেন। আমরা ঘটনাস্থলে দুপুর ১ ঘটিকা পর্যন্ত থাকার পর আমাদের ফোনে আওলাদ হোসেন আমাদের বলেন আজকে পরিদর্শনে আসা সম্ভব হচ্ছে না, অন্যদিন আসবো, আপনারা চলে যান।
নিহত নুরুল আমীনের বড় ভাই রুহুল আমিন রুয়েল প্রতিবেদককে বলেন মামলার দায়িত্ব পাওয়ার পর পিবিআই এর অফিসার আওলাদ হোসেন খুব তৎপর থাকলেও ১ম দিন আসামীদের বাড়ি পরিদর্শনের পর অদৃশ্য কারনে তৎপরতা কমে গেছে বলে মনে হচ্ছে ।
সিরাজপুর এর স্থানীয় মেম্বার মামুন আমাদের বলেছিলেন থানা পুলিশ বলেন আর পিবিআই বলেন এগুলো দিয়ে কিছুই হবেনা। আসামি পক্ষের টাকা আছে। আমাদের মনে হচ্ছে মেম্বার মামুনের কথাই সঠিক। প্রয়োজনে আমরা সিলেটের ডিআইজি মহোদয় সহ উর্ধ্বতম মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো, আমার ভাইয়ের খুনের আসল রহস্য উন্মোচন এর জন্য।
রুহুল আমিন বলেন‘এই খুন কিশোর ছেলে রাতুলের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তার সঙ্গে অন্তত আরও দুই তিন জন খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।
উল্লেখ্য গত ৮ই এপ্রিল মধ্যরাতে সদর ইউনিয়নের পুরান সিরাজপুর গ্রামের সেলিম মিয়ার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
তার বুক, পেট ও পায়ে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে গৃহকর্তা সেলিম মিয়া, হেলাল মিয়া, ও কিশোর ছেলে আশফাক আহমদ রাতুলকে আটক করেছিল বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। পরে রাতুলকে আটক রেখে সেলিম মিয়া ও হেলাল মিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নিহত মাদ্রাসা ছাত্রের ভাই রুহুল আমিন জানান দীর্ঘ চার বছর ধরে গ্রামের সেলিম মিয়ার বাড়ীতে লজিং থাকতো আমার ভাই নুরুল আমীন। লজিং পরিবর্তনের জন্যে তার সহপাঠী ও শিক্ষকদের সহায়তা চেয়েছিলো সে। শবে বরাত শেষে ওখান থেকে অন্যত্র চলে যাবার কথা ছিলো তার। সেলিম মিয়ার ভাই লন্ডন প্রবাসী বেলাল মিয়া ও তার মা বিভিন্ন কৌশলে শবেবরাত পর্যন্ত তাদের বাড়িতে রাখেন । বেলাল মিয়া ঘন ঘন নুরুলের কাছে ফোন করে বলতো হুজুর আপনে এত দিন আমার বাড়িতে ছিলেন আমার অনুরোধ শবেবরাত পর্যন্ত থাকেন তার পর যেখানে খুশি চলে যান। শবেবরাত দিন রাতেই আমার ভাই নুরুল আমিনকে পরিক্ষল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
মামলার প্রসঙ্গে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) উপ-পরিদর্শক আওলাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন আছে,তদন্ত শেষে সব কিছু জানা যাবে।এর আগে কোন মন্তব্য করা সম্ভব নয়।
বিশ্বনাথে আব্দুল মান্নান আর নেই : বাদ আসর জানাযা
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথ পুরানবাজারের বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী, প্রবাণী মুরব্বী, ও মাসিক বিশ্বনাথ ডাইজেস্ট সম্পাদক এবং বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম জুবায়ের এর পিতা আব্দুল মান্নান আজ শনিবার (১৯ সেপ্টম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট নগরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ইন্তেকাল করেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারিরিক অসুস্থতায় ভোগছিলেন। মুত্যুকালে তিনি ছেলে, মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্বীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, আজ বাদ আসর কারিকোনা গ্রামস্থ বায়তুল মামু’র জামে মসজিদে জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
মরহুম আদ্দুল মান্নানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ। শোক প্রকাশকারীরা হলেন প্রেস ক্লাব সভাপতি কাজী মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী শিপন, যুগ্ম-সম্পাদক এমদাদুর রহমান মিলাদ, সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, শহিদুর রহমান, অসিত রঞ্জন দেব, নূর উদ্দিন, জামাল মিয়া, মো. আবুল কাশেম।
ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নানের দাফন সম্পন্ন, শোক
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথ পুরানবাজারের বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী, প্রবাণী মুরব্বী, ও মাসিক বিশ্বনাথ ডাইজেস্ট সম্পাদক ও বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম জুবায়ের এর পিতা আব্দুল মান্নানের দাফন আজ শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কারিকোনা গ্রামস্থ বায়তুল মামু’র জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানাযার নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা ই্ব্রাহিম খলিল।
তরুন সংগঠক আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় জানাযার নামাজের পূর্বে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস. এম. নুনু মিয়া, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী, বিশিষ্ঠ ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ফয়জুর রহমান, মরহুম আব্দুল মান্নানের বড় ছেলে মাসিক বিশ্বনাথ ডাইজেস্ট সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জুবায়ের।
এসময় বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
জানাযার নামাজ শেষে মরহুম আব্দুল মান্নান-কে কারিকোনা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মরহুম আব্দুল মান্নান আজ শনিবার শনিবার (১৯ সেপ্টম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট নগরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারিরিক অসুস্থতায় ভোগছিলেন।
মুত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে, ৩ মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্বীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে মরহুম আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সিলেট ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ‘নিখোঁজ’ এম. ইলিয়াস আলী’র স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। তিনি এক শোক বার্তায় বলেন, বিশ্বনাথবাসী একজন প্রবীণ ব্যবসায়ীকে হারাল যার শুন্যতা সহজে পুরণ হওয়ার নয়। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
মরহুম আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সিলেট ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ‘নিখোঁজ’ এম. ইলিয়াস আলী’র ছোট ভাই ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক এম. আসকির আলী।
তিনি এক শোক বার্তায় বলেন, মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
মরহুম আদ্দুল মান্নানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ। শোক প্রকাশকারীরা হলেন প্রেস ক্লাব সভাপতি কাজী মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু, সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী শিপন, যুগ্ম-সম্পাদক এমদাদুর রহমান মিলাদ, সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, শহিদুর রহমান, অসিত রঞ্জন দেব, নূর উদ্দিন, জামাল মিয়া, মো. আবুল কাশেম। ও আব্দুস সালাম মুন্না।