মঙ্গলবার ● ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ৩ দিন আগের নির্মাণ হওয়া ১৯ কোটি টাকার রাস্তা উঠে গেল সাত দিনে
৩ দিন আগের নির্মাণ হওয়া ১৯ কোটি টাকার রাস্তা উঠে গেল সাত দিনে
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ-ডাকবাংলা সড়কের ২৩ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই উঠে যাচ্ছে পিচ। ২৩ কিলোমিটার এ সড়ক নির্মাণের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে সোমবার সকালে দেখা গেছে, ২৩ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৪ কিলোমিটার রাস্তায় পিচ ঢালাই দেওয়া হয়েছে। ঢালাইয়ের পাঁচদিনের মাথায় কালীগঞ্জ উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকায় প্রায় আধাকিলোমিটার রাস্তার পিস ঢালাই উঠে যাচ্ছে, সরে যাচ্ছে খোয়া। স্থানীয়রা সড়কের পিচ-খোয়া হাত দিয়েই উঠিয়ে ফেলছে। জানা গেছে, পিএমপি প্রকল্পের অধীন ঝিনাইদহের ডাকবাংলা বাজার-কালীগঞ্জ সড়কের ২৩ কিলোমিটার মজবুতিসহ ওয়ারিংকোর্সের কাজ চলছে। খুলনার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড কাজটির প্রকৃত ঠিকাদার। তবে বাস্তবে কাজটি করছেন স্থানীয় ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুম। এ সড়কটির নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। এলাকাবাসী জানায়, পাঁচদিন আগে পিস ঢালাই দেওয়া হয়েছে নতুন এ সড়কটিতে। কিন্তু নিন্মমানের সামগ্রি দিয়ে কাজ করায় পিস ঢালাইয়ের পাঁচদিনের মাথায় উঠে যাচ্ছে পিস এবং সড়কটির মাঝে মাঝে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহম্মদ জিয়াউল হায়দারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এরপর ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি তার।
ফাতেমা খাতুনের বিরুদ্ধে জাল নিবন্ধনসনদে চাকরী করার অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ফাতেমা খাতুনের বিরুদ্ধে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে চাকরী করার অভিযোগ ফাঁস হয়ে পড়েছে। এই জাল সনদ দেখিয়ে তিনি তিনটি কলেজে চাকরী করেছেন বলে অভিযোগ। বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর ওয়েবসাইডে গত ১৭ সেপ্টম্বর ১৬২১ নং স্মারকে জাল এবং আসল সনদধারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। এনটিআরসিএ’র সহকারী পরিচালক (পমূপ্র) ফিরোজ আহম্মেদ সাক্ষরিত শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যাচাই পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ন আব্দুল লতিফের কন্যা ফতেমা খাতুনের স্থলে নিজের নাম বসিয়ে কালীগঞ্জের ইয়াকুব আলীর কন্যা ফাতেমা খাতুন ২০১২ সালের ৮ম নিবন্ধন পরীক্ষার জাল সনদ তৈরী করেন। নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ন আসল ফাতেমা খাতুনের রেজি নং হচ্ছে ২০১২৮২৩০১৩। অন্যদিকে কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক ফাতেমা খাতুনের রেজি নং হচ্ছে ২২১২৮২১২০২। এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইটে মন্তব্য করা হয়েছে সনদটি সঠিক নয়। উত্তীর্ন রোল নাম্বারটি অন্য ব্যাক্তির। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কালীগঞ্জের ইয়াকুব আলীর কন্যা ফাতেমা খাতুন ২০১২ সালের ৮ম নিবন্ধন পরীক্ষার জাল সনদ নিয়ে প্রথমে যশোরের একটি কলেজে চাকরী করতেন। সেখান থেকে ইনডেক্স নিয়ে কালীগঞ্জ শহীদ নুর আলী কলেজে যোগদান করেন। এই জাল সনদের বুনিয়াদেই তিনি সরকারী বেতন ভাতা গ্রহন করতে থাকেন। কালীগঞ্জের মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজটি সরকারী করণের পক্রিয়া শুরু হলে তিনি তড়িঘড়ি করে এখানে যোগদান করেন। ফাতেমা খাতুন এখন সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। এনটিআরসিএ’র সহকারী পরিচালক (পমূপ্র) ফিরোজ আহম্মেদ সাক্ষরিত চিঠিতে বর্ণিত সনদধারী ব্যক্তি জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন মর্মে দালিলিক ভাবে প্রমানিত হওয়ায় উক্ত জাল ও ভুয়া সনদধারীর বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় মামলা রুজু করতে সরকারী মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডল জানান, আমি এখনো বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষ’র এ সংক্রান্ত চিঠি পায়নি। চিঠি পেলে দির্দেশমতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।