মঙ্গলবার ● ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » জয়পুরহাট » হারানো প্রাণ ফিরে পেল ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার
হারানো প্রাণ ফিরে পেল ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার
নিশাত আনজুমান, আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি :: বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকার পর গত কয়েক দিন থেকে প্রত্মতাত্ত্বিক নিদর্শন পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার জাদুঘর খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন পর পাহাড়পুর জাদুঘর খুলে দেওয়ায় দর্শনার্থী, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা খুশি হয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের টিকিট কাউন্টার খোলার পর কর্মকর্তা, কর্মচারী, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ-আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। প্রথম ভাগে অল্প সংখ্যক দর্শনার্থী এসেছেন। তারা কাউন্টারে গিয়ে টিকিট সংগ্রহ করে বৌদ্ধবিহারের ভেতরে ঢুকেছেন। দোকান পাটগুলোতে বেড়েছে কেনাবেচা।
আজ মঙ্গলবার সকালে বৌদ্ধবিহারের ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, শ্রমিকেরা বাগানের পরিচর্যা ও রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কয়েকজন দর্শনার্থী ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
সাপাহার উপজেলা সদর থেকে আসা কাওছার আহম্মেদ বলেন, করোনায় পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বন্ধ রয়েছে ভেবেই তিনি পরিবার নিয়ে এসেছেন। কিন্তু এখানে এসে জানলেন, বৌদ্ধবিহার খুলেছে। এখন নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে।
পোরশা উপজেলা সদর থেকে আসা দর্শনার্থী জুঁই বলেন, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার খুলে দেওয়া হবে, আমরা তা আগে জানতাম না। এখানে আসার পর জানলাম। তবে বৌদ্ধবিহারের মূল মন্দিরের সিঁড়ি ভাঙা থাকায় সেখানে যেতে পারিনি।
পাহাড়পুর বাজারের দোকানি জুয়েল হোসেন বলেন, করোনায় দীর্ঘদিন পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বন্ধ ছিল। এ কারণে কেনাবেচাও কমে গিয়েছিল। বৌদ্ধবিহার খোলার পর দোকানে বেচাকেনা আগের চেয়ে একটু বেড়েছে।
মূল গেটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাহেলা বেগম বলেন, দর্শনার্থীদের মাক্স পরা বাধ্যতামূলক। তারা মাক্স ছাড়া কোনো দর্শনার্থীকে ভেতর যেতে দিচ্ছেন না। তা ছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দর্শনার্থীদের ভেতরে ঘোরাঘুরি করতে বলা হচ্ছে। পাহাড়পুর ইউপির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার দর্শনার্থীদের খুলে দেওয়ায় আমরা সবাই খুশি।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের টিকিট কাউন্টারের বুকিং সহকারী সরজিত পাল জানান, এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টিকিট কাউন্টার খোলা থাকবে। জনপ্রতি টিকিট ২০ টাকা। বুধবার ৪ হাজার টাকার বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে।
মঙ্গলবার আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে দর্শনার্থী একবারেই কম। এ দিন দুই হাজার ৪০০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। পাহাড়পুর জাদুঘরের অফিস সহকারী বরুণ কান্তি বলেন, গত ১৯ মার্চ থেকে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বন্ধ ছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।