বৃহস্পতিবার ● ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ » উখিয়ায় জাল সনদ দিয়ে শিক্ষকতার যোগ্যতা অর্জনের অভিযোগ
উখিয়ায় জাল সনদ দিয়ে শিক্ষকতার যোগ্যতা অর্জনের অভিযোগ
পলাশ বড়ুয়া,উখিয়া :: (১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ : বাংলাদেশ : সময় : বিকাল ৪.১০মিঃ) জাতীয়করণের তিন বছরের মধ্যে কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ সদ্য জাতীয়করণ হওয়া সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষক চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন ৷ বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সালে দেশের সকল বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং শিক্ষকসহ প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করা হয় তবে শর্ত থাকে যে, যে সকল শিক্ষকের যোগ্যতায় ঘাটতি ছিল তাদেরকে ১ জানুয়ারী ২০১৩ ইংরেজি থেকে পরবর্তী ৩ বত্সরের মধ্যে অর্থাত্ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ ইংরেজি তারিখের মধ্যে কাম্য যোগ্যতা অর্জনের নির্ধারিত সময়-সীমা বেঁধে দেন ৷ এক্ষেত্রে কেউ ব্যর্থ হলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে তাদের চাকরি চলে যাবে৷ যে সকল শিক্ষক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তাদের বেতন বন্ধ রয়েছে উর্ধতন মহলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম ভুঁঞা৷ স্বয়ক্রিয় বাদপড়া এ তালিকায় উখিয়া উপজেলায় ৩৪জন শিক্ষক রয়েছে বলেও জানান তিনি৷জানা যায় (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) মনখালী চাকমাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল হক ও সহকারী শিক্ষক ছৈয়দ আলম এই দুই শিক্ষক ইতিপূর্বে এসএসসি পাশ সনদ দিয়ে চাকরি করে আসছিল৷ যা পরবর্তীতে সরকারের যোগ্যতা অর্জনের নির্ধারিত সময়েও কাম্য যোগ্যতা অর্জন না করে কিভাবে নতুন বেতন স্কেলের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যাদি ও সরকারি সুযোগ-সুবিধাদি গ্রহণ করছেন ? এ বিষয়ে তাদের কাম্য যোগ্যতা অর্জনের সনদ যাচাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন৷
জানতে চাইলে মনখালী চাকমাপাড়া সরকারি প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সিরাজুল হক বলেন, তিনি ১৯৭৮ সালে কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে বাশঁখালী ডিগ্রী কলেজ এর মানবিক শাখা থেকে ২য় বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন৷ তবে তাঁর রোল নাম্বার ও রেজি: নাম্বার জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন৷ অথচ শিক্ষকতার মত মহান পেশায় তিনি যোগদান করেন ২৫ ডিসেম্বর ১৯৮৯ইংরেজি ৷ ১৯৭৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা সিরাজুল হক সম্প্রতি তথ্য হালনাগাদে কেন এই সনদ অন্তভুক্ত করলেন এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন সচেতন মহল !
সহকারী শিক্ষক ছৈয়দ আলমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে বাশঁখালী ডিগ্রী কলেজ এর মানবিক শাখা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন৷ তবে একই ভাবে রোল ও রেজি: নাম্বার জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন৷ উল্লেখ্য যে, তাঁর বর্তমান পদে যোগদানের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ১৯৮৯ইংরেজি ৷
জাল সনদ দিয়ে কাম্য যোগ্যতা প্রমাণের বিষয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, কেউ দূরনীতির আশ্রয় নিয়ে এধরণের জালিয়াতি করলে তাদের সনদ যাচাই সহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান৷