মঙ্গলবার ● ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » কাউখালীতে স্থানীয় টেকসই ভুমি ব্যাবস্থাপনা প্রযুক্তির উপর কৃষক প্রশিক্ষণ
কাউখালীতে স্থানীয় টেকসই ভুমি ব্যাবস্থাপনা প্রযুক্তির উপর কৃষক প্রশিক্ষণ
কাউখালী প্রতিনিধি :: কাউখালী উপজেলায় স্থানয়ি টেকসই ভুমি ব্যাবস্থাপনা প্রযুক্তির উপর দিন ব্যাপিএক কৃষক প্রশিক্ষণ আজ সোমবার উপজেলা অফিসার কল্যান ক্লাবে সম্পন্ন হয়।
দিন ব্যাপি প্রক্ষিণ কার্য্যক্রমে সভাপতিত্ব করেন কাউখালী উপজেলা কৃষি অফিসার কাজি শফিকুল ইসলাম। অনুষ্টানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষ্ন প্রসাধ মল্লিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শতরুপা তালুকদার, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রাশিদুজ্জামান ইমরান প্রমুখ।
এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ গোলাম মাওলা, হ্লামুচিং মারমা, তৈয়ব নুর সাগর, উজ্জল ত্রিপুরা সহ আরো অনেকে। প্রশিক্ষণটির আয়োজনে ছিলেন কাউখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ইএলইউএলডি-এসএলএম প্রকল্প পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা। উপজেলার চার ইউনিয়ন হতে মোট ২০ জন কৃষক দিনব্যাপি এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করেন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়।
কাউখালীতে পাহাড়ের পাদঁদেশে কয়েকশত পরিবারের ঝুঁকিপুর্ন বসবাস
কাউখালী :: পার্বত্য জেলা রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদঁদেশে কয়েকশত পরিবার ঝুকিঁপুর্ন অবস্থায় বসবাস করছেন বলে জানা যায়।
সুত্র জানায়, কাউখালী উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ঘাগড়া, বেতবুনিয়া, কলমপতি, ফটিকছড়ির প্রায় এলাকার মানুষজন পাহাড়ের উপর এবং পাহাড়ের পাশে, পাহাড়ের পাদদেশে সাধারন মানুষ জন দির্ঘদিন যাবৎ বাড়ি ঘর বাগান সৃজন করে বসবাস করে আসছে। কিন্তু গত জুন মাসে শুরু হওয়া বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারনে এসব এলাকার লোকজনের, গবাধী পশুর, ফলজ, বনজ বাগানের ক্ষয় ক্ষতি হয়।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে ঘাগড়া ইউনিয়নের রাঙামাটি –চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু পাশে ঘাগড়া কলা বাগান, জনুমা ছড়া, ছেলা ছড়া, হেডম্যান পাড়া,বেতছড়ি, ঘিলাছড়ি, বেতবুনিয়া ইউনিয়নের গোধারপাড় আবুল হোসেন গুচ্ছগ্রাম, রাউজানঘোনা, গজালিয়া পাড়া, কলমপতি ইউনিয়নের সুগারমিল আদর্শ ৃগ্রাম, ডাববুনিয়াছড়া, তারাবুনিয়া, মাঝেরপাড়া, পোয়াপাড়া,হাতিমারা ফটিকছড়ি ইউনিয়নের বার্মাছড়ি এলাকা, ক্ষিরাম, চা-বাগান এলাকা সহ প্রায় পাহাড়ী গ্রামগুলির সাধারন মানুষজন ছোট ছোট পাহাড়ের উপর পাহাড়ের পাশে পাহাড় ঘেষে মাটির ঘর, টিনের ঘর, বেড়ার ঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছেন দির্ঘদিন যাবৎ। কথা হয় বেতবুনিয়ার সামাপ্রু মারমা, সুগারমিলের নিমাপ্রু মোঃ সুমন, নাইল্যাছড়ির সামিনা মারমা, জাদে, ঘিলাছড়ির সোহাগ তালুকদার, ধন মোহন চাকমা, সাজু মিয়াদের সাথে তাদের সকলের একই কথা পাহাড়ী এলাকায় আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করি আমরা এখন এই বাড়িঘর ছেড়ে কোথায় যাব। তা ছাড়া এই ছোট ছোট ছেলে মেয়ে গরু চাগল হাস-মরগী নিয়ে কোথায় যাব।
তা ছাড়া যেভাবে বৃষ্ঠি হচ্ছে তাতে করে কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের উপর এবং পাহাড়ের পাশে বসবাসরত মানুষের সমস্যা হতে পারে।
অন্যদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝুকিঁতে বসবাসরত এসব পরিবারদের বিষয়ে কথা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শতরুপা তালুকদারের সাথে। তিনি বলেন, বর্ষণ তো হচ্ছে এটা প্রকৃতির নিয়ম তারপরেও আমরা প্রশাসনের পক্ষ হতে পাহাড়ের পাশ থেকে জনসাধারনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রচার চালাচ্ছি। এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে আমরা লোকজনকে নিরাপদে চলে আসার জন্য সর্বাত্বক চেষ্ঠা অব্যাহত রেখেছি।
এ ব্যাপারে সরকারের উর্দ্ধেতন কর্তৃপক্ষের এবং উপজেলা প্রশাসনের জোরালো ভুমিকা রাখা এবং দ্রুত এসব এলাকার পাহাড়ের উপর এবং পাহাড়ের পাশে এবং পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত পরিবার গুলিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন।