বৃহস্পতিবার ● ৮ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন
নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন
তারেক জাহিদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: দেশব্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের এইচএসএস সড়কের দলটির জেলা কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে জেলা বিএনপি। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। এতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড. এস এম মশিয়ুর রহমান, সদস্য সচিব এ্যাড. এম এ মজিদসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তারা বলেন, সরকারের ব্যার্থতার কারণেই দেশব্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতন। সরকার ধর্ষন-নারী নির্যাতন বন্ধ করতে পারছে না। ব্যার্থতার এই গ্লানি নিয়ে সরকারের পদত্যাগের দাবী জানান তারা। অপরদিকে একই দাবিতে শহরের পায়রাচত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করে জলা নাট্য সমন্বয় পরিষদতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সংগঠনটির নেতাকর্মীসহ সাংস্কৃতিক কর্মীরা অংশ নেয়। এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা নাট্য সমন্বয় পরিষদের সভাপতি রুবেল পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক তারেক হোসেন পল্লব, ঝংকার শিল্পী গোষ্ঠির পরিচালক শান্ত জোয়ার্দ্দার, সিও সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সামসুল আলম, ঝিনেদা থিয়েটারের সভাপতি একরামুল হক লিকু, অংকুর নাট্য একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন জুলিয়াস, বিহঙ্গের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান লিটন, উই এর শরিফা খাতুনসহ অন্যান্যরা। বক্তারা, ধর্ষণ বিচার আইন সংশোধন করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড করার দাবী জানান।
ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের বেশীরভাগ স্থানেই ছোট-বড় গর্তে ঘটছে দূর্ঘটনা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি একটি মহাসড়ক। মহাসড়কটির বেশীরভাগ স্থান-ই ছোট-বড় গর্তে পরিপূর্ণ, প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। মহাসড়কটির ডাকবাংলা ত্রিমোহনী অংশে রাস্তার মাঝখানে উড়ছে লাল পতাকা। দেখেই বোঝা যাচ্ছে এখানে বিপদ! ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের উত্তর নারায়নপুর ত্রিমোহনী থেকে শুরু করে ডাকবাংলা বাজার পর্যন্ত রাস্তায় বিশাল আকারের বড় বড় গর্ত তৈরী হয়েছে। তার মধ্যে উত্তর নারায়নপুর ত্রিমোহনী ইসলামি হাসপাতাল সংলগ্ন বকুল মেটালের ও লিটন স্টিল হাউজের সামনের গর্তটি সবচেয়ে ভয়াবহ! এখানে প্রতিদিন কোনো না কোনো ছোট-বড় দূর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। তাই সাধারণ পথচারীদের সাবধানতার জন্যই এই পতাকা উড়িয়েছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে পথচারী সহ স্থানীয়রা জানান, ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি যাতায়াত করে। এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। রাস্তাটি দিয়ে ঢাকা,চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানসহ সম্পূর্ণ বাংলাদেশেই যাতায়াত করা যায় এবং এটি মুজিবনগর যাওয়ার অন্যতম একটি রাস্তা। এতো বড় গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি যদি চলাচলের অনুপযোগী হয়, আর প্রতিদিন এখানে দূর্ঘটনা ঘটতে থাকে তাহলে সরকারের সম্মান ক্ষুন্ন হবে বলে মন্তব্য করেন পথচারী ও স্থানীয়রা। ঝিনাইদহের কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন পথচারীগন।
কালীগঞ্জে ছাত্রদলের নব গঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ
ঝিনাইদহ :: নবগঠিত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা, পৌর ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার একটি অংশ। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের হাসপাতাল সড়কের দলীয় কার্যালয় থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এসময় মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা, ‘পকেট কমিটি মানি না মানবো না, পকেট কমিটি বাতিল চাই, অবিলম্বে বাতিল চাই’ ইত্যাদি শ্লোগান দেন। গত মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর-২০) কালীগঞ্জ উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের কমিটি জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়। ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটিতে উপজেলা শাখায় আহবায়ক মারুফ বিল্লাহ, মৌসুম উদ্দিন শোভনকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৌমেনুজ্জামান সমিন এবং সাধারন সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মানিক। অপরদিকে পৌর ছাত্রদলের কমিটিতে জুয়েল রানাকে আহবায়ক ও তরিকুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন। এছাড়া কলেজ ছাত্রদলের কমিটিতে সাজিদ হাসান জনিকে আহবায়ক ও কামরুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করেন। কমিটি ঘোষণার পর থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কালীগঞ্জ উপজেলার একটি অংশ এই কমিটিকে স্বজনপ্রীতি, বিবাহিত, অছাত্র, চাকুরীজীবি ও দোকানের বেতনভূক্ত কর্মচারী, একক স্বেচ্ছাচারিতাসহ এ কমিটিকে পকেট কমিটি আখ্যা দিয়ে কমিটির বিরোধীতা করে আসছেন। এসময় বিক্ষোভকারীরা কেন্দ্রিয় সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক ও গত নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফিরোজের পোষ্টার পোড়ানোসহ নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে তারা কমিটি বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একর্মসূচীর অংশ হিসেবেই বৃহস্পতিবার সকালে নবগঠিত এ কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একাংশ। মিছিলটি শহরের হাসপাতাল সড়কের দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হলে কিছু দুর যাওয়ার পর পুলিশের বাঁধার সম্মুখিন হয়। পরে দলীয় কার্যালয়ে এসে সমাবেশে জড়ো হয়। এসময় কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক আবু তাহের হিরুর সভাপতিত্বে ও রাকিব হাসানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ন-আহবায়ক নাজমুল হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব, ইকলাস, ইয়ারুল, ওয়াসিম আকরাম, শাওন, আলফেড বিশ্বাস, শিমুল প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, যারা দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়ে, জেল জুলুম গ্রেফতার নির্যাতন সহ্য করে এবং দলের কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া অনেক নেতা-কর্মীকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। তাছাড়া অছাত্র স্কুলের গন্ডি পেরোতে না পারা ও অযোগ্যদের দিয়ে এক নেতার ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রকে প্রভাবিত করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে যা, জাতীয়তাবাদের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি। বক্তারা আরো বলেন, দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম দুর্বল করার জন্য তার ক্ষমতার দাপটে ত্যাগী, শিক্ষিত ও যোগ্যদের বাদ দিয়ে অযোগ্য, অছাত্র, বিবাহিত, চাকুরীজীবী, আত্বিয়-স্বজন, দোকানের বেতনভূক্ত কর্মচারী নিয়ে এ কমিটি গঠন করেছেন। সমাবেশ থেকে তারা অবিলম্বে এই পকেট কমিটি বাতিলের দাবি করে ত্যাগী, শিক্ষিত ও যোগ্যদেরকে নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের জন্য জেলা ছাত্রদল, বিভাগীয় টিম, কেন্দ্রিয় ছাত্রদল এবং ছাত্রদলের সাংগঠনিক অবিভাবক, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় বক্তারা বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, দলের নেতা-কর্মিদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মিথ্যা মামলায় আটক ছাত্রদলের নেতা-কর্মিদের নিঃশর্ত মুক্তিও দাবী করেন।
যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের স্থায়ী কার্যক্রম শুরু
ঝিনাইদহ :: যানজট নিরসন, অবৈধ পার্কিং বন্ধসহ ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম সহনীয় রাখতে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ট্রাফিক পুলিশের স্থায়ী কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চৌরাস্তা ও কবিরপুর তিনরাস্তা মোড়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়। জানা গেছে, শৈলকুপা পৌর শহরের চৌরাস্তা মোড়, কবিরপুর তিন রাস্তা মোড়, হাসপাতাল গেটসহ সাপ্তাহিক বাজারের দিনে অস্বাভাবিক যানজট সৃষ্টি হয়। পুলিশ ও অনসার সদস্য দিয়ে এ যানজট নিরসন সম্ভব হচ্ছিল না। তাই যানজট নিরসনে স্থায়ীভাবে ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম চালু করেছে জেলা পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে বলে জানা গেছে। জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর ইসমাইল হোসেন জানান, জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ সালাহউদ্দীন আহমেদের নির্দেশনায় এখন থেকে শৈলকুপায় যানজট নিরসনে স্থায়ীভাবে দু‘জন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। শৈলকুপা শহরকে যানজটমুক্ত করার পাশাপাশি অবৈধ যানবাহন চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।