শনিবার ● ১০ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিশ্বনাথ থেকে বালাগঞ্জের ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার
বিশ্বনাথ থেকে বালাগঞ্জের ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বালাগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকৃত মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামীকে বিশ্বনাথ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বালাগঞ্জ থানা পুলিশ বুধবার দিবাগত রাতে এক অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট মামলার আসামী হাসান মিয়া (২৫)কে গ্রেফতার করেছে। সে উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের নশিওরপুর গ্রামের লকুছ মিয়ার ছেলে। বালাগঞ্জ থানার এসআই তপন চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে অভিযানকালে বিশ্বনাথ থানার রামপাশা ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান এ ব্যাপারে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত আসামী অটোরিক্সা (সিএনজি) চালক হাসান গত ১অক্টোবর সকাল আনুমানিক ১১টায় উপজেলার বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নের আয়না মার্কেট (গোরাপুর) থেকে ভিকটিমকে অটোরিক্সা (সিএনজি) গাড়িতে তুলে। ভিকটিম (নারী) দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের নশিওরপুর গ্রামে তার সৎ পিতার বাড়ি যাওয়ার পথে ওই সময় গাড়িতে উঠলে অপরাধীরা তাকে সিলেট শহরের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় রাজন মিয়া (১৯) নামে আরেকজনকে আসামী করা হয়েছে।
ঘটনার পর ভিকটিমের মামা বাদী হয়ে বালাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-০২, তারিখ: ০৫ অক্টোবর ২০২০।
বিশ্বনাথে গণধর্ষণ মামলার আসামী ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের ইসবপুর গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের পিতৃহারা তরুণী গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী শায়েস্তাবুর মিয়ার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালতের বিচারক ফারজানা সমু চৌধুরী ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী জানান, ‘আজই (বৃহস্পতিবার) আসামী শায়েস্তাবুর মিয়াকে রিমান্ডে নিয়ে আসা হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের ইসবপুর গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের পিতৃহারা তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার ১২ দিন পর গত ১৩ জুলাই সোমবার বিশ্বনাথ থানায় একই গ্রামের মন্নান মিয়ার পুত্র আনোয়ার মিয়া (৪০), রিয়াছদ আলীর পুত্র সুজন মিয়া (৩০) ও মৃত ফজর আলীর পুত্র শায়েস্তাবুর মিয়ার (৩০) নাম উল্লেখ করে এবং দু’জনকে অজ্ঞাত আসামী রেখে মামলা (নং-১১) দায়ের করে ভিকটিম তরুণী। ঘটনার মূলহোতা আনোয়ার মিয়া, শায়েস্তাবুর ও আদালতে আনোয়ারের দেয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিতে অভিযুক্ত একই গ্রামের আবদুল খালিকের পুত্র রাহেল মিয়া বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
বিশ্বনাথে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা দায়ের : গ্রেফতার ১
বিশ্বনাথ : বিশ্বনাথ উপজেলা ১নং লামাকাজী ইউনিয়নের সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের সাহেব নগর পয়েন্টে গত ৫ অক্টোবর রাত ৯টায় সংগঠিত ছিনতাইয়ের ঘটনায় সুহেল মিয়া নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। ৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় উদয়পুর গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার পিতার নাম মোঃ মকরম আলী। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী শাহনুর হোসাইন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৫ অক্টোবর কেশবপুর গ্রামের মোঃ শাহনুর হোসাইনের পুত্র আকমল হোসেন ও তার সহ সহযোগী গোবিন্দগঞ্জ ও গোলচন্দ বাজার থেকে ঔষধ কোম্পানীর টাকা সংগ্রহ করে লামাকাজীতে আসার পথে সাহেব নগর পয়েন্টে তাদেরকে মারপিট করে ৮৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন শাহনুর হোসাইন বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানা একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯ ধারায় মামলাটি রেকড করে। (মামলা নং-০৪/২০, তারিখ ০৬/১০/২০২০ইং)। এই মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ সুহেলকে গ্রেফতার করে। সুহেলের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ জিআর ১৪২/২০১৮ইং, বিশ্বনাথ জিআর ২৯/২০১৯ইং দুটি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গোপেষ চন্দ্র।