সোমবার ● ১২ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » বিশ্বনাথে বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ চাষে সাফল্য নাজিম উদ্দিন
বিশ্বনাথে বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে মাছ চাষে সাফল্য নাজিম উদ্দিন
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: মাছ চাষের জনপ্রিয় কৃত্রিম পদ্ধতি, বায়োফ্লক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সফল হয়েছেন তরুণ মৎস্য চাষি নাজিম উদ্দিন। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় তিনিই প্রথম বায়োফ্লক মৎস্যচাষী। স্বল্প খরচ ও জায়গা ব্যবহার করে চার মাসের মাথায় আশানুরূপ ফলাফল পেয়েছেন তিনি।
সরেজমিন উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের লোহারশপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নাজিম উদ্দিন তার বসত ঘরের পেছনেই বায়োফ্লক মৎস্য খামার গড়ে তুলেছেন। পাশাপাশি রয়েছে তিনটি ট্যাঙ্ক। এর মধ্যে ১০ হাজার লিটারের দু’টি ট্যাঙ্কে কৈ ও ১৫ হাজার লিটারের অপরটিতে চাষ করেছেন শিং মাছ।
নাজিম উদ্দিন জানান, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বড়ভাইয়ের উৎসাহ-পরামর্শ ও সহযোগিতায় বায়োফ্লক প্রদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহী হন তিনি। পরে ঘরের পেছনের খালি জায়গায় নির্মাণ করেন তিনটি ট্যাঙ্ক। প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি শেষে গেল ১৩ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে ১২ হাজার কৈ ও ৬ হাজার শিং মাছের পোনা সংগ্রহ করে শুরু করেন চাষ। চার মাসের মাথায় এখন খামারে বিক্রি উপযোগী কৈ মাছ রয়েছে প্রায় ১ হাজার কেজি। খুচরা ১২০ টাকা ধরে যার বাজার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। শিং মাছ রয়েছে প্রায় ১৬৭ কেজি। খুচরা ২শ টাকা কেজি ধরে যার বাজার মূল্য ৩৩ হাজার ৩শ টাকা। বায়োফ্লক পদ্ধতির পরীক্ষামূলক প্রথম চাষ থেকেই খরচ বাদে তার মূনাফা হবে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩শ টাকা।
নাজিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আমি ও আমার এক বোন মিলে দৈনন্দিন কাজ-কর্মের পাশাপাশি খামার দেখা-শুনা করি। বায়োফ্লেক পদ্ধতিতে মাছ চাষে খরচ-পরিশ্রম কম। জায়গা অল্প হলেও চাষ করা সম্ভব। এ পদ্ধতি অধিক লাভজনক।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বায়োফ্লেক পদ্ধতিতে প্রথম মাছ চাষে সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়ায় চাষিকে অভিনন্দন। আমাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ-সেবা অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালী পাল বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। খামার পরিদর্শন করে চাষিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
বিশ্বনাথে ১৯ ভোট নিয়ে উপ-নির্বাচন ২০ অক্টোবর
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথে একটি ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন মাত্র ১৯ টি ভোট নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওয়ার্ডটি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড।
আগামী ২০ অক্টোবর এই ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে উপজেলা নির্বাচন অফিস।
কিন্তু ওয়ার্ডের ছয়টি ভোটার এলাকার মধ্যে চারটি ভোটার এলাকা পৌরসভায় অর্ন্তভূক্ত হয়েছে। আর বাকি দুইটি ভোটার এলাকায় ভোট রয়েছে মাত্র ১৯টি।
জানা গেছে, গত ২৭ এপ্রিল দৌলতপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান ছোরাব আলীর মৃত্যূবরণ করলে ওই ওয়ার্ডের সদস্য পদ শুন্য হয়।
এরপর নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ৫ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীকও বরাদ্ধ দেয়া হয়। কিন্তু, ওই ওয়ার্ডে চড়চন্ডি, ছত্রিশ উত্তর, মিয়াজনের গাঁও, হাবড়া, নতুন হাবড়াবাজার, পুরান হাবড়াবাজার নামে ছয়টি ভোটার এলাকায় মোট ভোট সংখ্যা ২ হাজার ৭৫১জন। এরমধ্যে নতুন হাবড়াবাজার, পুরানহাবড়া বাজার ছাড়া বাকি ৪টি ভোটার এলাকা নবগঠিত বিশ্বনাথ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে অর্ন্তভূক্ত হয়েছে। আর ওয়ার্ডে বাকি থাকে নতুন হাবড়াবাজার, পুরান হাবড়াবাজার এলাকা। যার মধ্যে নতুন হাবড়াবাজারে ৫টি ও পুরান হাবড়াবাজারে ১৪টি নিয়ে মোট ১৯টি ভোট রয়েছে।
পৌরসভার বাসিন্দারা ভোট দিতে না পারলে ওই ওয়ার্ডে মাত্র ১৯ ভোটার ভোট দিতে পারবেন। এদিকে, নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তাদের প্রচার প্রচারণাও ব্যাপক উৎসবমূখর পরিবেশে চলছে।
কিন্তু সচেতন মহল বলছেন, ওই ওয়ার্ডে নির্বাচন হলে পরবর্তিতে অনেক নির্বাচনী জটিলতা সৃষ্টি হবে। আর এই জটিলতাকে পুঁজি করে সুযোগ সন্ধানী প্রতিনিধিরা নিজেদের পদে আসীন থাকতে নানা অপচেষ্ঠা চালাতে পারেন।
ফলে আটকে যেতে পারে পৌরসভাসহ ৫টি ইউনিয়নের নির্বাচন। এতে করে দূভার্গের কবলে পড়বে ওই এলাকার জণগন। এমন নির্বাচনী জটিলতা দূর করতে চাইলে ওই ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থগিত ছাড়া অন্য কোন পথ নেই বলে জানিয়েছেন তারা।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার গোলাম সারওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আগে জানতাম না যে, ওই ওয়ার্ডের একটি বড় অংশ পৌরসভায় অর্ন্তভূক্ত। গত মঙ্গলবার পৌরসভার ওয়ার্ড বিভাজনে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবরে একটি লিখিত পাঠিয়েছি ওই ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থগিত করার জন্য।
সড়ক বিভাগে অভিযোগ দিলেও কর্ণপাত করেনি কেউ ! বিশ্বনাথে সরকারী জায়গায় টয়লেট নির্মাণ
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে সড়ক ও জনপদের জায়গায় টয়লেট নির্মাণ করে সরকারি জায়গা দখল করা হয়েছে। বিশ^নাথ-রামপাশা নরশিংপুরের সড়কের পাশে টয়লেটটি নির্মাণ করছেন নরশিংপুর গ্রামের মৃত তফজ্জুল আলীর পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী ইব্রাহিম আলী। এ অভিযোগ এনে সিলেট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে গত ১৯ জুলাই অভিযোগ করেছেন একই গ্রামের মৃত মনু মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল কাইয়ুম। কিন্তু এ অভিযোগ দেয়ার আড়াইমাস পেরিয়ে গেলেও অদৃশ্য কারনে কোন ব্যবস্থা নেয়নি কতৃপক্ষ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আব্দুল কাইয়ুমের পৈত্রিক ভুমি মশুলা মৌজার (বিএস) ১৩১০ খতিয়ানের ৬২ নং দাগের ভূমি বিশ^নাথ-রামপাশা সড়কের পাশে অবস্থিত। ওই দাগের ভুমি সরকারি সি এন্ড বি ৬৫নং দাগের সঙ্গে সংযুক্ত। আর ৬১ নং দাগের মালিক ইব্রাহিম আলীর মা ও তফজ্জুল আলীর স্ত্রী সাইদুন নেছা। কিন্তু ইব্রাহিম আলী তার জায়গার পাশে সড়ক ও জনপদের সরকারি জায়গায় একটি টয়লেট ও একটি ট্যাংকি নির্মাণ করে আব্দুল কাইয়ুমের ভূমির সংযোগ রাস্তা বন্ধ করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে যে কোন সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
এব্যাপারে ইব্রাহিম আলী ওই টয়লেট নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ইসমাইল আলী বলেন, ইব্রাহিম আলী তার নিজ মালিকাধীন জায়গায় টয়লেট ও ট্যাংকি নির্মাণ করেছেন। পাশেই তার মার্কেট রয়েছে। এটা যদি সরকারি জায়গা হয়, তাহলে সরকারের লোকজন এসে আপত্তি দিবে। এ বিষয়ে জানতে সিলেট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী করিব আহমদ জানান, অভিযোগ পেয়েছেন, দু’এক দিনের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।