মঙ্গলবার ● ১৩ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » ঝালকাঠি » রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে হামলা
রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে হামলা
গাজী মো.গিয়াস উদ্দিন বশির,ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: ঝালকাঠির রাজাপুরের থানা রোডস্থ রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ক্যামেরা-ল্যাপটপসহ কয়েক লাখ টাকার মালপত্র লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে একদল সন্ত্রাসীরা। সোমবার সন্ধ্যার এ ঘটনায় রাজাপুর থানায় রাতেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি আলমগীর শরীফ।
অভিযোগে প্রকাশ, সোমবার সন্ধ্যায় মাগরিবের আজান দিলে সংগঠনের সদস্যরা থানা মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য তালা দিয়ে যায়। সংবাদ প্রকাশের জের ধরে এ সময় চিহ্নিত মাদকসেবী সরকারি রিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত বির্তকিত আবুল হাসানাত সুমন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি জাকারিয়া সুমন, মাদক ব্যবসায় ও সেবক রাজিব ফরাজি, জাকারিয়া নয়ন, দুলাল তেওয়ারী, বিএনপি নেতা কাজল শরীফ, রেজোয়ান, সোহেল, সোনাসহ আরো ১০/১২জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিক ক্লাবে হামলা চালায়। রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবের সামনের সাইবোর্ড ভাঙচুর করে এবং অফিসের দরজার তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ক্যামেরা ও ল্যাপটপ লুটে নেয় এবং টেলিভিশন-আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করে। কয়েক লাখ টাকা মূল্যের মালামাল লুটে নিয়ে আরো লক্ষাধিক টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত করে। সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি রহিম রেজা ও সম্পাদক এনামুল হক অভিযোগ করে জানান, সাংবাদিকরা মাগরিবের নামাজ পড়তে গেলে তখন সুযোগ বুঝে অফিসে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। কি ব্যবস্থা নেয় তার অপেক্ষায় আছি। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় না আনা হলে পরবর্তিতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এমন নেক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সাংবাদিকরা জানান, রাজাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবন সংস্কার করে ভাড়া চুক্তিতে সাংবাদিক ক্লাবের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবার পুর্বেই চুক্তি ভঙ্গ করে ভবন ছাড়ার নোটিশ দেয়ায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। বিচারাধীন মামলায় স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশকে লঙ্গন করে আদালত অবমাননা করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতকেও যথাযথভাবে অবহিত করা হবে। হামলার ঘটনায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। অপরদিকে কৃষি ব্যাংকের সামনের একটি পরিত্যক্ত অবহেলিত ভবন ভাড়া চুক্তিতে নিয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে এই হামলাকারীরাই ভাংচুর করে। এ ঘটনায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন। তিনি জানান, রাজাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবন ভাড়া নিয়ে সংস্কার করে ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। সম্প্রতি স্কুল পরিচালনা কমিটির সাথে প্রেক্ষাপটের কারনে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। বিচারাধীন মামলায় স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশকে ল্ঘংন করে আদালত অবমাননা করা হয়েছে। থানায় জিডি করেছি, এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হবে। এ ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে থাকায় অভিযুক্তদের মতামত পাওয়া যায়নি। রাজাপুর থানার ওসি মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তি আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে একটি সাধারন ডায়েরি করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে হামলার পর জড়িতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি, জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।