বুধবার ● ১৪ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ : কিশোরীর গর্ভে এখন চার মাসের সন্তান
১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ : কিশোরীর গর্ভে এখন চার মাসের সন্তান
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বড়বাড়ি-বগুড়া গ্রামের ১৩ বছরের কিশোরীকে ধর্ষনের ফলে এখন তার গর্ভে চার মাসের সন্তান। আর এই সন্তান গর্ভে নিয়ে ঘরের মধ্যেই মূখ লুকিয়ে থাকছে সে। অন্যদিকে ধর্ষক ও তার সহযোগিরা মামলার আসামী হয়েও বীরদর্পে ঘুরছে এলাকায়। মাঝে মধ্যে ধর্ষিতার পরিবারের উপর চড়াও হয়ে মামলা মিটিয়ে নিতে চাপ দিচ্ছে। তাদের এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লাঠিসোটা দিয়ে বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুরও করা হয়েছে। ধর্ষিত কিশোরীর মা জানান, পাশ^বর্তী কুশবাড়িয়া গ্রামে তার বিয়ে হয়। তার দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে (২২) বিয়ে হয়েছে। ছোট মেয়ে (১৩) পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ালেখা করে। স্বামী আরেকটি বিয়ে করায় তিনি রাগ করে বাবার বাড়ি চলে আসেন। গ্রামে এসে মাসে ৫০০ টাকার বেতনে প্রতিবন্ধী নারী শাহিদা খাতুনের (৫৫) সেবা করেন। গত জুলাই মাসের ৫ তারিখ কিশোরী মেয়েকে বাড়িতে রেখে তিনি কাজ করতে যান। ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষন করে প্রতিবেশি সামায়াত মোল্লার ছেলে মিলন মোল্লা (৩৫)। একথা যানাজানি হলে মেরে ফেলার হুমকী দেয় মিলন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। ভয়ে তারা মুখ খুলতে সাহস পায়নি। এক মাস পর কিশোরী মেয়েটি বমি করা শুরু করলে ডাক্তার দেখান। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হন তার মেয়ে গর্ভবতি। এই অবস্থায় সেপ্টেম্বর মাসের ১৩ তারিখ কিশোরীর মা ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মিলন মোল্লাকে প্রধান আসামী করা হয়। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে থানায় নথিভুক্ত করতে শৈলকুপা থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। পুলিশ আদালতের নির্দেশ পেয়ে মামলাটি নথিভুক্ত করলেও আজো একজন আসামীও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। উল্টো আসামীরা ধর্ষিতা কিশোরীর বাড়িতে এসে নানা ভাবে হুমকী দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হচ্ছে মামলা মিটিয়ে না নিলে বড় ক্ষতি হবে বলে। এ বিষয়ে মামলার আসামী মিলন মোল্লা জানান, তার স্ত্রী মিতা মোল্লা মারা গেছে আনুমানিক ২ মাস হয়েছে। ১৪ বছর বয়সের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তিনি এখন পথে পথে। তিনি এই ঘটনার একটা সমাধান চান। এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আরেক আসামী স্থানীয় আবাইপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ফরিদ মুন্সি জানান, তাকে সামাজিক ভাবে ক্ষতি করতে এই মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনি এই ঘটনার কিছুই জানেন না। বিষটি নিয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, আদালতের নির্দেশ পেয়ে তারা মামলাটি নথিভুক্ত করেন। এরপর আসামী গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা করছেন। আশা করছেন দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
প্রকাশ্যে তামাকজাত পণ্য’র বিজ্ঞাপণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন খুচরা ও মুদি দোকানে মানা হচ্ছে না তামাক নিয়ন্ত্রন আইন। আইন অম্যান্য করে কোম্পানীগুলো তামাকজাত পন্যের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। এ ঘটনায় শহরের ১৫টি তামাকজাত পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ই-কোর্টে অভিযোগ দাখিল করেছে ও স্থানীয় তামাক বিরোধী জোটের সদস্য সংগঠন ‘পদ্মা সমাজকল্যাণ সংস্থা’। শহরের এইচএসএস সড়ক, হাটখোলা, শের-এ বাংলা সড়ক, হামদহ, সদর হাসপাতাল সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, খুচরা ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন তামাকজাত পন্যের বিজ্ঞাপন প্রদর্শণ করছে। প্রকাশ্যে তামাকজাত পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ হলেও কোম্পানী গুলোর ইন্ধনে দোকানিরা দোকানের সামনে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝিনাইদহ শহরের নতুন হাটখোলা মার্কেটের ইমন স্টোর, লতিফ টি স্টোর, মেসার্স মুন্সী স্টোর, শের এ বাংলা সড়কের সরকারি বালক বিদ্যালয়ের সামনে ওলিয়ার টি স্টোর, আলফালাহ হাসপাতালের সামনে মতিয়ার স্টোর, হামদহ এলাকার অপু স্টোর, জোয়ার্দ্দার স্টোর, আফাঙ্গীর টি স্টোর, আজাদ স্টোর, হাসান ফুড কনফেকশনারী, নিলয় স্টোরসহ বিভিন্ন স্থানের দোকানগুলোতে সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তামাক বিরোধী সংগঠন ‘পদ্মা সমাজকল্যাণ সংস্থা’র নির্বাহী পরিচালক মো: হাবিবুর রহমান বলেন, সরকারের আইন অমান্য করে কোম্পানীগুলো এসব প্রচার করে চলছেন। ঝিনাইদহে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট্র’র সহযোগিতায় কাজ করছে পদ্মা সমাজ কল্যাণ সংস্থা। হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা ‘ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) এবং ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে এ সংক্রান্ত বিধিমাল’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্য এর বিজ্ঞাপন বন্ধের জন্য শহরের ১৫টি তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ই-কোর্টে অভিযোগ দাখিল করেছি। আমরা আশা করি যথাযথ কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে দোকান গুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। এছাড়াও তামাকজাত পন্যের ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে প্রচারণা চালাচ্ছি।
ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম চালু হওয়ায় বদলে গেল শৈলকুপা
ঝিনাইদহ :: ২’শ বছরের পুরাতন শৈলকুপা শহরে অবশেষে চালু হলো ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম। পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলামের নির্দেশে এ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। শত শত বছর ধরে কুমার নদের পাশে গড়ে ওঠা শৈলকুপা উপজেলা একটি অন্যতম ব্যবসা কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত। লাঙ্গলবাধ, শেখপাড়া, হাটফাজিলপুর ও ভাটই বাজার এই উপজেলার পুরাতন ব্যবসা কেন্দ্র। উপজেলাটি ৪টি জেলা কুষ্টিয়া, রাজবাড়ি, মাগুরা ও ঝিনাইদহের সঙ্গে সীমানা সম্পৃক্ততা রয়েছে। ফলে অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত। এখানে রয়েছে স্থল ও নদীপথ। অপরাধপ্রবণ হিসাবেও এ উপজেলার রয়েছে নানা সমালোচনা। সহিংসতা, হানাহানি, হত্যা-আত্মহত্যা যেন নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার। এ উপজেলার বড় একটি অংশ নিয়ে গঠিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু শৈলকুপা উপজেলায় কোন ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম ছিল না। চলতি মাসের ৮অক্টোবর থেকে উপজেলাটিতে শুরু হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম। এখানে একজন টিআই, একজন সার্জেন্ট ও ২জন কনস্টবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এরা হলেন টিআই ইসমাইল হোসেন, সার্জেন্ট কনক হালদার, কনস্টবল নুরুল ইসলাম ও কনস্টবল শয়ন মিত্র। ট্রাফিক টিম খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের শৈলকুপার ভাটইবাজার, শৈলকুপা-গাড়াগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের গাড়াগঞ্জ এবং শৈলকুপা উপজেলা শহরের কবিরপুর তিন রাস্তার মোড় ও চার রাস্তার মোড়ে দায়িত্ব পালন করবেন। দুজন কনস্টবল কবিরপুর ও চৌরাস্তা মোড়ে পালাক্রমে ডিউটি করবেন। নিয়োগপ্রাপ্ত ট্রাফিক ইনেস্পক্টর(টিআই) ইসমাইল হোসেন জানান, প্রথম পর্যায়ে বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন যেমন ইজিবাইক, সিএনজি, নসিমন, করিমন, ভটভটি, আলমসাধু, নাটাহাম্বাসহ যাদের আঞ্চলিক মহাসড়ক-মহাসড়কে চলাচলের অনুমোতি নেই সেসব চালকদেরকে সচেতন করা হচ্ছে। উপজেলার চৌরাস্তা ও কবিরপুরে চিরচেনা যানজট এখন আর চোখে পড়ছে না। কবিরপুর তিন রাস্তার মোড়ের স্থানীয় ব্যবসায়ী শুশান্ত কুমার সাহা জানান, স্থায়ী ট্রাফিক দেয়ায় যানজট ও দুর্ঘটনা কমে আসতে পারে । একটি বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সুজন বিশ্বাস জানান, প্রতিদিন বাস-ট্রাক সহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে কিন্তু ট্রাফিক কার্যক্রম না থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছিল যড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।
পুলিশের সফল অভিযানে হারিয়ে যাওয়া শিশু উদ্ধার
ঝিনাইদহ :: হারিয়ে যাওয়া শিশু মোঃ রিয়াজ (১৩)কে উদ্ধার করলো ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ। রিয়াজ ভূপতিপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে। ৮ অক্টোবর সকাল অনুমান ৯ টায় সময় তার ছোট ভাইকে ভূপতিপুর গ্রামের নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পৌছিয়ে দেওয়ার জন্য নিজ বাড়ী হতে রওনা হয়। রিয়াজ তার ছোট ভাইকে মাদ্রাসায় পৌছিয়ে দিয়ে আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি। ঘটনার বিষয় রিয়াজের পিতা মোঃ মতিয়ার রহমান ঝিনাইদহ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। সাধারণ ডায়েরী করার পর ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ব্যাপক তৎপরতায় মঙ্গলবার মঙ্গলবার ঝিনাইদহ থানাধীন বিষয়খালী বাজার হতে রিয়াজকে উদ্ধার করা হয়। বুধবার উদ্ধার করা রিয়াজকে তার পিতার নিকট বুঝিয়ে দিয়েছেন মোঃ মিজানুর রহমান,অফিসার ইনচার্জ,ঝিনাইদহ সদর থানা।