শনিবার ● ১৭ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে উপজেলা চেয়ারম্যানের অভিযোগ
শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে উপজেলা চেয়ারম্যানের অভিযোগ
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলায় ২১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত মূল্যে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ে প্রধান শিক্ষকদের বাধ্য করে ২৮ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রংপুর বিভাগীয় উপ-পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সরকার সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যায়লগুলোতে শিক্ষক হাজিরা শতভাগ নিশ্চিত করার জন্য ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। পরবর্তীতে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠলে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপন বন্ধ করে দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। কিন্তু পলাশবাড়িতে সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে করোনাকালীন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও উপজেলা শিক্ষা অফিস স্লিপ ফান্ডের টাকায় ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয় করতে প্রধান শিক্ষকদের বাধ্য করে।
টেক লক নামে ৯০০০-এ নামের ডিজিটাল বা বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিনের বর্তমান বাজার মূল্য ৯ হাজার টাকা। কিন্তু উপজেলা শিক্ষা অফিস মনোনীত ‘অ্যাকটিভ পাওয়ার’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২২ হাজার টাকা মূল্যে মেশিন ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন প্রধান শিক্ষকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ক্লাস্টার ভিত্তিক হাজিরা মেশিন নিতে হচ্ছে ‘অ্যাকটিভ পাওয়ার’ নামের প্রতিষ্ঠানের লোকের কাছ থেকে। প্রতিটি মেশিনের মূল্য ধরা হয়েছে ২২ হাজার টাকা। এসব মেশিন নিম্নমানের বলেও তারা মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ বলেন, তিনি উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি। অথচ তাকে না জানিয়ে স্লিপ ফান্ড থেকে অতিরিক্ত মূল্যে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয় করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি জানান, ‘বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিনের বাজার মূল্য ৯ হাজার টাকা। অথচ বাজার মূল্যের অতিরিক্ত ১৩ হাজার টাকা দিয়ে ২২ হাজার টাকায় মেশিন ক্রয়ের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দিয়ে প্রধান শিক্ষকদের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এতে মেশিন ক্রয় বাবদ ২৮ লাখ ৮ হাজার টাকা আত্মসাতের পায়তারা চলছে’। এ ব্যাপারে তিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তবে বক্তব্য জানার জন্য বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা পলাশবাড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস সালাম মোবাইল ফোনে তিনি জানান, তার মা অসুস্থ, তিনি বাড়ি যাচ্ছেন। অভিযোগ সংক্রান্ত ব্যাপারে আর কোনো কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।